দিল্লিঃ বিবেক বিহার এলাকায় মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় বিপুল চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ৷ জানা গিয়েছে, গত ৮ মার্চ এই মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে ৷ ঘটনার তদন্তে নেমে এদিন কিছুটা কিনারা করতে পেরেছে পুলিশ ৷
দিল্লি পুলিশ মঙ্গলবার জানিয়েছে যে ৭ মার্চ মধ্যরাতে অটোরিক্সা উল্টে দুর্ঘটনার কবলে পরে চার বন্ধু। তার মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়। সেই মৃত যুবকেরই দেহ উদ্ধার করা হয় ৮ মার্চ।
পুলিশ জানিয়েছে, ৭ মার্চ মধ্যরাতে হোলি পার্টির পরে চার বন্ধু একটি অটো নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়েছিল । অটোটি পবন নামে এক বন্ধুর, যিনিই গাড়িটি চালাচ্ছিলেন। নন্দ নগরী এলাকায় অটোটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে উল্টে যায়। দুর্ঘটনায় আহত হন নীতেশ। তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে, বাকি তিনজন তাঁকে ঘটনাস্থল থেকে অটোতে করে বিবেক বিহার এলাকার একটি আন্ডারপাসে ফেলে দেয়। সময়মতো চিকিৎসা না পাওয়ায় আহতের মৃত্যু হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
আরও পড়ুনঃ প্রেমিকের সঙ্গে পলাতক স্ত্রী, ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ, মাথা ন্যাড়া করে ক্ষোভ প্রকাশ এই ব্যক্তির
সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করার সময়, পুলিশ আন্ডারপাসের কাছে মৃতকে ফেলে দেওয়ার ফুটেজ দেখেছিলেন। ইনপুট এবং আরও তদন্তের ভিত্তিতে, পুলিশ শেষ পর্যন্ত তিন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। পবন এবং ব্রিজ মোহন নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অপর নাবালক অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (আইপিসি) ধারা ৩০৪, ২০১ এবং ৩৪ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময়, মৃতের বাবা রাজেন্দ্র গুপ্তা ঘটনাটি নিছক একটি দুর্ঘটনা বলে মানতে নারাজ এবং অভিযোগ করেছেন যে তাঁর ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
নীতেশের বাবা জানিয়েছে, ‘‘আমার ছেলে ৭ মার্চ সন্ধেয় হোলির পার্টিতে গিয়েছিলেন এবং তারপরে ফিরে আসেননি, আমরা তাঁকে অনেক খোঁজার চেষ্টা করেছি। তার বন্ধুরা তাঁকে নিয়ে গিয়েছিল। প্রায় তিন দিন পর ১০ মার্চ, আমরা জানতে পারি যে নীতেশ মারা গিয়েছে। পুলিশ আমাদের জানিয়েছে যে আন্ডারপাসে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়। আমরা ১১ মার্চ ময়নাতদন্তের পর নীতিশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছি ৷’’
আরও পড়ুনঃ দেশকে সব থেকে বেশি সংখ্যক আইপিএস কিংবা আইএএস অফিসার উপহার দিয়েছে এই গ্রাম! জানুন সেই গল্প
নিহতের বোন বেবী গুপ্তাও নিতেশের মৃত্যুতে বন্ধুদের জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন এবং বিচার দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন ‘‘অভিযুক্তদের মধ্যে একজন ৮ মার্চ আমাদের সঙ্গে দেখা করেছিল, কিন্তু তারপরও সে আমাদের দুর্ঘটনার কথা জানায়নি। জিজ্ঞাসা করা হলে, জানায় নীতেশ কোথায় সে এই বিষয়ে কিছু জানে না । আমার বিয়ে আগামী মাসে হতে চলেছে, এবং নীতেশ এই বিষয়ে অনেক প্রস্তুতি নিয়েছিল। আমাদের ছয় বোনের একমাত্র ভাই ছিল সে। আমার অসুস্থ বাবা ফল বিক্রেতার কাজ করেন। আমরা ন্যায়বিচার চাই, এবং দোষীদের কঠোর শাস্তি হওয়া উচিত’’
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Crime News, Delhi