Coronavirus Fourth Wave: বাড়ছে করোনার গ্রাফ! বাধ্যতামূলক না হলেও এখনই মাস্ক পড়া ছাড়বেন না!
- Published by:Arjun Neogi
- news18 bangla
Last Updated:
Coronavirus Fourth Wave: বিশ্বব্যাপী টিকাদান কর্মসূচি চললেও এখনও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরার উপর জোর দিয়েছেন।
#নয়াদিল্লি: মাস্ক পড়াকে অনেকেই স্বাস্থ্যকর অভ্যাস মনে করেন না। বরং জোর করে চাপিয়ে দেওয়া নিয়ম ভাবেন। আর সেই কারণেই সরকারের তরফে কোভিড বিধিনিষেধ শিথিল করার পরে অনেকের মধ্যে মাস্ক পড়ায় অনীহা দেখা দিয়েছে। কিন্তু মাস্কই একমাত্র কোভিড রোখার উপায় উপায় যা কোভিড টিকা আসার আগে করোনভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ছিল।
প্রসঙ্গত, কোভিডকে বিশ্বব্যাপী মহামারী ঘোষণা করার পরই মাস্ক পরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। যা কার্যত অকল্পনীয় মাত্রায় সংশ্লিষ্ট রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করেছিল। যদিও স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং লকডাউনও সংক্রমণ ঠেকাতে কার্যকরী ছিল। কিন্তু বেশ কয়েক মাস আগে সরকারের তরফে কোভিড বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। এখন অবশ্য ছবিটা আলাদা- কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা কমে এলেও এবং বিশ্বব্যাপী টিকাদান কর্মসূচিচললেও এখনও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা মাস্ক পরার উপর জোর দিয়েছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: Shoes Theft is Good sign: টাকা পয়সা না পোড়া কপাল! মন্দিরের বাইরে থেকে জুতো চুরি হলে ভাগ্য খুলবে না চরম ক্ষতি?
করোনা ভাইরাসের মিউটেশন হয়েই চলেছে
advertisement
এখনও পর্যন্ত ভাইরাসটির বিভিন্ন মিউটেশন হয়েছে যার মধ্যে পাঁচটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা উদ্বেগের ভ্যারিয়েন্ট হিসাবে নির্দেশ করেছে। বিশেষজ্ঞরা এই ভাইরাসটির নতুন ভ্যারিয়েন্টের সম্ভাবনার বিষয়ে সতর্ক করেছে। অতীতেও কোভিড সংক্রমণের একাধিক ঢেউয়ের সঙ্গে ভাইরাসটির লক্ষণ, কার্যকারিতা এবং এমনকী হাসপাতালের ব্যবস্থারও পরিবর্তন ঘটেছিল। তবে শুধুমাত্র একটি বিষয় যা ধারাবাহিক ছিল তা মাস্ক পড়া। সেক্ষেত্রে টিকাকরণ কর্মসূচি চালু থাকলেও মারণ ভাইরাসকে মাস্কই প্রাথমিকভাবে প্রতিরোধ করতে পারে।
advertisement
শ্বসনতন্ত্রকে প্রথম আক্রমণ করে
কোভিড একটি শ্বসনতন্ত্রের সংক্রমণ, যদিও কখনও কখনও শরীরের অন্যান্য অঙ্গকেও আক্রমণ করে। করোনাভাইরাস বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নাসারন্ধ্র এবং মুখ দিয়ে প্রবেশ করে এবং শ্বসনতন্ত্রে বাড়তে থাকে। তাই সংক্রমণ ঠেকানোর একমাত্র উপায় হল নাক ও মুখের মাধ্যমে ভাইরাসের প্রবেশকে সীমিত করতে হবে। তবে মাস্ক নাক ও মুখ ঠিকমতো ঢেকে রাখলেও বারে বারে হাত স্যানিটাইজ করলে তবেই শরীরে ভাইরাসটির প্রবেশের সম্ভাবনা কমে।
advertisement
আরও পড়ুন: India Post Account: Post office-এর লেনদেনের নিয়মে বড়সড় বদল! লক্ষ লক্ষ গ্রাহক সরাসরি প্রভাবিত
সংক্রমণ চেন কেটে দেবে মাস্ক
কোভিড মহামারীর সময়ে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা উপসর্গহীন রোগীদের নিয়ে সবচেয়ে বেশি অসুবিধায় পড়েছিলেন। আসলে এই ধরনের রোগীদের কোনও উপসর্গ থাকে না বলে নিজেদের অবস্থা নিয়ে সচেতন ছিলেন না। কিন্তু উপসর্গহীনরা অন্যদের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারতেন। তাই সুস্থতার জন্যে মাস্কই প্রথম এবং প্রধান সুরক্ষা হিসাবে কাজ করবে। মাস্ক সংক্রামিত ব্যক্তির উপসর্গ থাকুক কিংবা না থাকলেও শ্বাস-প্রশ্বাস, হাঁচি এবং কাশির ড্রপলেটে থাকা ভাইরাসগুলিকে সুস্থ ব্যক্তির শরীরে প্রবেশ আটকাবে।
advertisement
সমীক্ষা বলছে, মাস্ক তাৎপর্য্যপূর্ণভাবে কোভিডের বিস্তার কমায়
২০২১ সালের ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে বেশি মাস্ক ব্যবহারের কারণে নতুন কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ৫৩% কমেছে। পাশাপাশি হাত ধোয়া এবং শারীরিক দূরত্ব কোভিড গ্রাফ কমিয়েছে। তবে এর মধ্যে মাস্ক পড়াই সবচেয়ে কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আবার ২০২২ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে সংক্রামিত ব্যক্তি এবং তার সংস্পর্শে আসা মানুষজন মাস্ক না পড়ে থাকলে সংক্রমণের হার ২৬% বেড়ে যায়। যা উভয়েই মাস্ক পরলে প্রায় ১৩% এ কমে আসে।
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
July 04, 2022 8:23 PM IST