#নাগপুর: নাগপুরের বাড়ি থেকে পুরীর জগন্নাথদেবের রথের চাকা গড়ানোর অনুমতি প্রধান বিচারপতির। অলৌকিক! অবিশ্লেষণীয়! অদ্বিতীয়! কী বলবেন একে! ২৪ ঘণ্টা আগে পুরির জগন্নাথদেবের রথের দড়িতে টান দেওয়ার অনুমতি। তাও আবার সেই সুপ্রিম নির্দেশেই। যে সুপ্রিম কোর্ট ৪দিন আগে রথের চাকায় লাগাম পড়িয়ে দেয় করোনা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে। শীর্ষ আদালতে সোমবার রথযাত্রার চাকা গড়ানোর সুপ্রিম অনুমতি । ভার্চুয়াল শুনানি শেষে কিছু শর্ত জুড়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
কোভিড-১৯ প্রোটোকল মেনে হবে রথযাত্রা। পুরীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে রথের যাত্রা। জগন্নাথদেবের রথযাত্রার অনুমতি দিয়ে প্রধান বিচারপতি এস. বোবদে'র বেঞ্চ জানিয়েছে, ওড়িশা সরকারের কোভিড মোকাবিলার জন্য নির্দিষ্ট নির্দেশিকা মেনে হবে রথযাত্রা। ভার্চুয়াল শুনানিতে এদিন মহারাষ্ট্রের নাগপুরের নিজের বাড়ি থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধান বিচারপতি। শুনানি পর্বে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা প্রধান বিচারপতির উদ্দেশ্যে কিছুটা মজা করে বলেন, " জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মামলাকে ঘিরে প্রধান বিচারপতির ড্রইংরুম দেখার সৌভাগ্য হল!"প্রত্যুত্তরে প্রধান বিচারপতি সলিসিটর জেনারেলকে 'ধন্যবাদ' জানাতে ভোলেননি।
মঙ্গলবার রথের রশিতে টান পড়া নিয়ে এদিন দুপুর পর্যন্ত কোন আশাই ছিল না। তবে পুরীতে রথ তৈরীর কাজ তরতর করে এগিয়ে চলেছিল সোমবার সকাল থেকে। রথযাত্রা নিয়ে ওড়িশা সরকারের নতুন অবস্থান আশাবাদী করে তোলে কোটি কোটি জগন্নাথ ভক্তকে। ওড়িশা সরকারের তরফে সিনিয়র আইনজীবী হরিশ সালভে সুপ্রিম কোর্টকে জানান, পুরি শহরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা। রথযাত্রার রীতি নির্ধারণ করে পুরী মন্দির পরিচালন সমিতি। এক বছর রথ না গড়ালে ১২ বছর বন্ধ রাখতে হবে রথযাত্রা, এমনটাই রীতি। কেন্দ্র ও মন্দির পরিচালন সমিতির সঙ্গে আলোচনা প্রেক্ষিতে রথযাত্রা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবা যায়। রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট হতেই সুপ্রিম কোর্ট রথের রশিতে টান দেওয়ার অনুমতি দিয়ে দেয়। ১৮ জুনের নির্দেশ পরিমার্জন করে শীর্ষ আদালত জানায় কোভিড-১৯ প্রোটোকল মেনে হবে জগন্নাথদেবের রথযাত্রা।