নয়াদিল্লি: জামা-কাপড়, মোবাইল-ঘড়ির মতো অনলাইনে ওষুধ কেনাও আজকাল অনেকেরই অভ্যাস হয়ে গেছে। বাড়ি থেকে পা বের করার বিষয়ে আজকাল আমরা বড়ই অলস। সে যতই ফ্ল্যাটের ঠিক নীচটাতেই ওষুধের দোকান হোক না কেন। কিন্তু, জানেন কি? অনলাইন ওষুধের দোকান বা ই-ফার্মেসির ব্য়বসা এবার নিয়ন্ত্রণ করার পথে হাঁটতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এমনকি, অনলাইনে ওষুধের ব্য়বসা চিরতরে নিষিদ্ধ হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে এ বিষয়ে এখনও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কেন্দ্র। ওষুধ, নয়া ওষুধ ও মেডিক্যাল ডিভাইস এবং প্রসাধনী ২০২৩ বিলের খসরা বিভিন্ন মন্ত্রকে পাঠানো হয়েছে। বিভিন্নি মন্ত্রকের তরফে তাদের মতামত পাঠানো হলেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, গত মাসে নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য ২০টি অনলাইন ওষুধ বিক্রয়সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক।
আরও পড়ুন: হাজিরা এড়ালেন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল, যাচ্ছেন না দিল্লি, আইনজীবীর চিঠি ED-কে
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ই-ফার্মেসি নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি নতুন বিল নিয়ে আলোচনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি, এগুলিকে নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছে বিভিন্ন মন্ত্রক। এর মাধ্যমে কোনও অসুস্থ ব্যক্তির তাঁর রোগ সংক্রান্ত গোপনীয় তথ্য সকলের সামনে চলে আসছে। এই তথ্যের কেউ দুর্ব্য়বহার করতেই পারে। বিপদে পড়তে পারেন ওই রোগী বা তাঁর পরিবার।
এ ছাড়াও, বহু ক্ষেত্রে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়াই ওষুধ দেওয়া এই সমস্ত অনলাইন সংস্থার মাধ্যমে। দামও বেশি নেওয়া হচ্ছে ইচ্ছেমতো। কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক মন্ত্রকের দাবি, অনলাইনে ওষুধ কেনাবেচা খুবই বিপজ্জনক। এর ফলে ওষুধের খুচরো বাজারে বিশাল ক্ষতি হতে পারার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ট্রেনে মোবাইল চার্জ দেন কি? জেনে রাখুন এই নিয়ম, নাহলে বিপদে পড়বেন
কেন্দ্রীয় সরকার গত মাসে বাজেট অধিবেশন চলাকালীন জানিয়েছিল, ওষুধের অনলাইন ব্য়বসা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। গত মাসে, ড্রাগ কন্ট্রোলার ডিসিজিআই নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য প্রায় ২০ টি সংস্থাকে নোটিস পাঠিয়েছিল কেন্দ্র। নোটিসে বলা হয়েছিল, এসব সংস্থা কোনও অনুমতি ছাড়াই সিডিউল এইচ, এইচ ওয়ান ও এক্স ক্যাটাগরির তালিকাভুক্ত ওষুধ বিক্রি করছে।
সূত্রের খবর, এই সমস্ত সংস্থা রোগীদের তথ্য সংগ্রহ করে। তাতে রোগীদের তথ্যগত নিরাপত্তার ঝুঁকিও বাড়ে। এ ছাড়া এসব ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অবাধে ওষুধ ব্যবহার করায় চিকিৎসকেরাও সমস্যায় পড়ছেন। প্রেসক্রিপশন ছাড়াই দেদার বিক্রি হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। সরকার দ্য নিউ ড্রাগস, মেডিক্যাল ডিভাইসস অ্যান্ড কসমেটিকস বিল ২০২৩ এবং বর্তমান ড্রাগস অ্যান্ড কসমেটিকস অ্যাক্ট ১৯৪০ এ বড় ধরনের রদবদল আনার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।