চিনে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা, ভারতে করোনা পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর নির্দেশ কেন্দ্রর
- Published by:Rukmini Mazumder
Last Updated:
বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস! চিন, জাপান, ইউএসএ, কোরিয়া, ব্রাজিল-এ বেড়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটা রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, করোনা পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার।
#নয়াদিল্লি: বছর শেষে ফের চোখ রাঙাচ্ছে করোনা ভাইরাস! চিন, জাপান, মার্কিন যুক্ররাষ্ট্র, কোরিয়া, ব্রাজিল-এ বেড়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। এই প্রেক্ষাপটে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটা রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, করোনা পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার।
মঙ্গলবার স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানায়, '' হঠাৎ করেই জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিল, চিন-এ করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া যথেষ্ট উদ্বেগের। চিনের পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে ভারত। পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে, এতে করোনার প্রজাতি ট্র্যাক করা সম্ভব ভারতের SARS-CoV-2 Genomics Consortium (INSACOG) নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এতে বোঝা যাবে ভারতে নতুন কোনও করোনা প্রজাতি এসেছে কী না। যদি জিনোম সিকোয়েন্সিং-এ নতুন কোনও প্রজাতি ধরা পরে, তবে শীঘ্র পদক্ষেপ সম্ভব হবে।''
advertisement
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটরি, প্রিন্সিপাল সেক্রেটরি, প্রতিটা রাজ্য ও ইউনিয়ন টেরিটরির স্বাস্থ্য সচিবদের চিঠি লিখে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে করোনার যে-প্রজাতি রয়েছে, তার স্বভাববিধির উপর নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজেশ ভূষণ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ভারত ফাইভ-ফোল্ড- স্ট্র্যাটেজি মেনে করোনা মোকাবিলা করে এসেছে। এই স্ট্র্যাটেজি হল-- টেস্ট-ট্র্যাক-ট্রিট-ভ্যাক্সিনেসন আর কোভিডবিধি মেনে চলা। বর্তমানে দেশে এক সপ্তাহে ১২০০-র মতো কোভিড পজিটিভ কেস সামনে আসে।
advertisement
advertisement
মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্যানেল জানিয়েছে, চিনের করোনা পরিস্থিতি বেগতিক হলেও এ নিয়ে ভারতের আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। তবে চিনের কোভিড পরিস্থিতির উপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এনকে অরোরা জানিয়েছেন, দেশে বর্তমানে কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
চিনে আবার ফিরছে করোনা আতঙ্ক! চিনের ৬০ শতাংশ ও বিশ্বের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১০ শতাংশ ফের করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷আগামী ৯০ দিন, অর্থাৎ তিন মাসের মধ্যে এই ঘটনা ঘটবে বলে মনে করছেন মহামারি বিশেষজ্ঞ এরিক ফেইজল ডিং৷তিনি চিনা কমিউনিস্ট পার্টিকে তোপ দেগে বলেছেন, সে দেশের পার্টির অর্থাৎ শাসক দলের লক্ষ্য হচ্ছে, যাঁদের শরীরে সংক্রমণ হওয়ার তাঁরা সংক্রমিত হোক, যাঁদের মৃত্যুর সম্ভাবনা, তাঁদের মৃত্যু হোক৷ দ্রুত সংক্রমণ, দ্রুত পিক, দ্রুত তার পতন ও দ্রুত সমাধান, এই হচ্ছে সে দেশের সরকারের নীতি৷ এই বিষয়ে একটি ট্যুইটও করেছেন তিনি৷ সেখানে লিখেছেন, চিনা হাসপাতালগুলি একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে গিয়েছে করোনা বিধি কিছুটা শিথিল হওয়ার পরেই৷ সেই কারণেই চিনে কম করে ৬০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন৷ তিনি আরও লিখেছেন, এ ছাড়াও পৃথিবীর মোট ১০ শতাংশ মানুষও করোনা আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে৷ পাশাপাশি লাখে, লাখে মানুষের মৃত্যু হবে কোভিডের নতুন ঢেউয়ে৷ চিনে নতুন করে করোনা মৃত্যুর খবর এসেছে সোমবারই৷ ডিসেম্বর মাসের ৪ তারিখ থেকে ক্রমে করোনা আরও বড় আকার ধারণ করতে শুরু করে৷ সে দিনই প্রথম মৃত্যুর খবর আসে৷
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
First Published :
December 20, 2022 8:52 PM IST