BJP JDU alliance at stake: সনিয়াকে ফোন নীতিশের, বিজেপি- জেডিইউ বিচ্ছেদ কি সময়ের অপেক্ষা! জল্পনা তুঙ্গে

Last Updated:

বিজেপি-র সঙ্গে জেডিইউ-এর সম্পর্কে যে বড়সড় সমস্যা তৈরি হয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং-এর বক্তব্যেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷

ভাঙনের মুখে বিজেপি- জেডিইউ জোট?
ভাঙনের মুখে বিজেপি- জেডিইউ জোট?
#পটনা: বিহারের রাজনীতিতে কি ফের বড় মোড়? রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন নীতি আয়োগের বৈঠক এড়িয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার৷ এর পরেই জেডেইউ- বিজেপি সংঘাত চরমে পৌঁছেছে বলে জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে৷ তার মধ্যেই জানা গেল, কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধি৷
গত ১৭ জুলাই থেকে একমাসের মধ্যে এই নিয়ে চতুর্থ বার কেন্দ্রীয় সরকারের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করলেন নীতিশ কুমার৷ জোট সঙ্গী বিজেপি-র প্রতি নীতিশ ক্ষুব্ধ বলে তখন থেকেই খবর ছড়িয়ে পড়ে৷ রবিবারের পর সেই জল্পনাই চরমে পৌঁছেছে৷ অনেকেই মনে করছেন, জেডিইউ- বিজেপি বিচ্ছেদ এখন সময়ের অপেক্ষা৷
বিহারের মুখ্যমন্ত্রী কেন রবিবারের বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন, তা নিয়ে সরকারি ভাবে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি৷ তবে সূত্রের খবর, করোনা সংক্রান্ত কারণ দেখিয়ে বৈঠকে গরহাজির ছিলেন তিনি৷ গত ২৫ জুলাই তাঁর কোভিড ধরা পড়েছিল৷ বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, রবিবারই কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধিকে ফোন করেন নীতিশ৷
advertisement
advertisement
গত মাসেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেননি নীতিশ৷ তার আগে, গত ১৭ জুলাই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ডাকা মুখ্যমন্ত্রীদের বৈঠক এড়িয়ে যান তিনি৷ তার বদলে ওই বৈঠকে উপমুখ্যমন্ত্রী তারকিশোর প্রসাদকে পাঠান তিনি৷ এর পরে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সম্মানে দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া নৈশভোজেও যাননি নীতিশ৷
advertisement
এই টানাপোড়েনের মধ্যেই মঙ্গলবার নিজের দলের সাংসদ, বিধায়ক এবং বিধান পরিষদের সদস্যদের নিয়ে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন নীতিশ৷ যদিও, জেডিও নেতা কে সি ত্যাগির দাবি, এই বৈঠক নিয়ে এত চর্চার কিছু নেই৷ এটি রুটিন বৈঠক বলেই দাবি করেছেন জেডিইউ নেতা৷ জেডিইউ শীর্ষ সূত্রেও দাবি করা হয়েছে, জোটসঙ্গী বিজেপি-র সঙ্গে সম্পর্ক এখনও বিচ্ছেদের জায়গায় যায়নি৷
advertisement
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আর সি পি সিং দু' দিন আগেই জেডিইউ থেকে পদত্যাগ করেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর এই সিনিয়র নেতার থেকে জবাবদিহি তলব করে জেডিইউ নেতৃত্ব৷ মঙ্গলবারের বৈঠকে নীতিশ কুমারের উপস্থিতিতে আর পি সিং-এর বিষয়টি নিয়েও আলোচনা হওয়ার কথা৷
advertisement
বিজেপি-র সঙ্গে জেডিইউ-এর সম্পর্কে যে বড়সড় সমস্যা তৈরি হয়েছে, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি রাজীব রঞ্জন সিং-এর বক্তব্যেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ রবিবার তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় কোনওভাবেই যোগ দেবে না জেডিইউ৷ ২০১৯-এ দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাতেই অনড় রয়েছে বলে দাবি করেন জেডিইউ নেতা৷ একই সঙ্গে বিজেপি-র নাম করেই ২০২০ সালে বিহারে বিধানসভা ভোটে জেডিইউ-এর খারাপ ফলের পিছনে চক্রান্তের অভিযোগ সামনে আনেন রাজীব রঞ্জন৷ তাঁর অভিযোগ, ২০২০ সালে চিরাগ পাসোয়ান যে ভাবে জেডিইউ-এর কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, ঠিক সেভাবেই আরও একবার চিরাগ মডেল তৈরি করছে বিজেপি৷ এক্ষেত্রে আর সি পি সিং-কে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেই ইঙ্গিত দেন তিনি৷
advertisement
পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে বিহারকে সন্ত্রাসবাদীদের আঁতুড়ঘর হিসেবে তুলে ধরছে, তা নিয়েও তীব্র আপত্তি রয়েছে জেডিইউ-এর৷ ২০১৯ সালে লোকসভা ভোটের পরে নীতিশ কুমার কোনওভাবেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় যোগদানের পক্ষে ছিলেন না৷
আর সি পি সিং-এর সঙ্গে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক বরাবরই ভাল৷ কিন্তু গত কয়েকমাসে তাঁর সঙ্গে নীতিশ কুমারের দূরত্ব তৈরি হয়৷ গত বছর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণের সময় দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে নীতিশের সম্মতি ছাড়াই আর সি পি সিং মোদি মন্ত্রিসভায় যোগ দিয়েছিলেন বলে দাবি জেডিইউ সূত্রের৷
advertisement
এর পরে আর সি পি সিং-কে আর তৃতীয় বারের কোনও রাজ্যসভায় পাঠাতে রাজি হননি নীতিশ৷ সাংসদ পদ না থাকায় বাধ্য হয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব ছাড়তে হয় রাজীব রঞ্জনকে৷ যার জেরে নীতিশের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয় রাজীবের৷
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
BJP JDU alliance at stake: সনিয়াকে ফোন নীতিশের, বিজেপি- জেডিইউ বিচ্ছেদ কি সময়ের অপেক্ষা! জল্পনা তুঙ্গে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement