Bengal SSC Recruitment: 'হাইকোর্ট তো সঠিক জাজমেন্টই দিয়েছে', ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলায় প্রধান বিচারপতি! ২২ লক্ষ ওএমআর ডেটা নিয়ে প্রশ্ন সিবিআইকে
- Published by:Salmali Das
- news18 bangla
- Reported by:Maitreyee Bhattacharjee
Last Updated:
Bengal SSC Recruitment: আজ, বৃহস্পতিবার এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গত বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দিন শুনানি হয়নি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ আজ মামলাটি শুনানির জন্য নির্দিষ্ট করেছিল আগেই।
নয়াদিল্লিঃ আজ, বৃহস্পতিবার এসএসসির ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি শুরু হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। গত বৃহস্পতিবার ওই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সে দিন শুনানি হয়নি। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ আজ মামলাটি শুনানির জন্য নির্দিষ্ট করেছিল আগেই। সেই মতো সকাল ১১টার আগেই মামলাটি শোনা শুরু করে শীর্ষ আদালত।
রাজ্যের আইনজীবীকে মামলা শুরু করতে বলা হল। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ২০১৬ সালে চারটি ক্যাটাগরিতে নিয়োগ করে রাজ্য। নিয়োগ প্রক্রিয়া ওয়েস্ট বেঙ্গল এসসসির নজরদারিতে হয়েছিল হাইকোর্টের নির্দেশে ২৫ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল হয়ে যায়। রাজ্যসরকার স্বীকার করেছিল, নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। তাঁরা সুপার নিউম্যারিক পোস্ট তৈরি করে, ওয়েটলিস্টেড প্রার্থীদের নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নেয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নেই যাত্রী! টিকিট কাউন্টার থেকে কর্মী সরাচ্ছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ… কলকাতা মেট্রোয় হলটা কী?
হাইকোর্ট সেই সুপার নিউম্যারিক পোস্টের নিয়োগেও স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। সিজেআই বলেন, আপনারা কি চাইছেন সেই স্টে তুলে দেওয়া হোক? উত্তরে রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী বলেন, না আমরা জানাচ্ছি যে, সেই সুপার নিউম্যারিক পোস্টে আমরা একটি ছাড়া কোনও নিয়োগ করিনি। এবং হাইকোর্ট সেই সুপার নিউম্যারিক পোস্টে কীভাবে তৈরি করা হল তা নিয়েও সিবিআই তদন্ত দিয়েছে।
advertisement
advertisement
শুনানিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “নম্বর কারচুপি হয়েছে। লিখিত পরীক্ষার নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে।” তার পরেই তিনি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাই করতে রাজ্যের সম্মতি রয়েছে কি না। রাজ্যের আইনজীবী জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাইয়ে তাঁদের সমর্থন রয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর সংযোজন, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এই বিষয়ে আলাদা আলাদা তথ্য দিয়েছে।
advertisement
এসএসসির আইনজীবী আদালতে জানান, নিয়োগ তালিকায় থাকা যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করা সম্ভব? তার পরেই এসএসসির উদ্দেশে প্রধান বিচারপতির প্রশ্ন, “আমাকে বোঝান কেন হাই কোর্ট বলল (যোগ্য-অযোগ্য) আলাদা করা সম্ভব নয়?”
প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়েছিল কি না, নষ্ট করলেও তা কত দিনের মধ্যে করার নিয়ম রয়েছে। রাজ্য জানায়, এক বছর পরে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়। রাজ্য আরও জানায়, ওএমআর শিটের ‘মিরর ইমেজ’ সংরক্ষণ করে রেখেছে এসএসসি। তার প্রেক্ষিতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সাধারণ ভাবে এটা সঠিক নয়।” একই সঙ্গে রাজ্যের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, “কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। এসএসসি করেনি। তারা দায়িত্ব দিয়েছিল নাইসাকে। তারাও করেনি। নাইসা আবার স্ক্যানটেককে তথ্য দেয়। তারাও সংরক্ষণ করেনি। স্ক্যানটেক স্ক্যান করেই ছেড়ে দিয়েছিল।”
advertisement
এসএসসিকে দুষে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “কোনও টেন্ডার ছাড়াই নাইসাকে দায়িত্ব দিয়েছিল এসএসসি। তারা কেন এমন করল স্পষ্ট নয়।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “অনেক কিছু গোপন করা হয়েছে। একটা জিনিস পরিষ্কার, আসল এবং স্ক্যান ওএমআর শিট একই নয়।”
আরও পড়ুনঃ ১০ দিনে কোলেস্টেরল বধ! ৫ সস্তার খাবার শিরা থেকে টেনে বের করবে খারাপ পদার্থ! সারাবছর শরীর থাকবে দুরন্ত
সিজেআই বলেন, ‘আপনারা বলছেন, টেন্টেড এবং আনটেন্ডেডদের আলাদা করা সম্ভব। কিন্তু ওএমআর শিট, যেটা বেসিক কাগজ। ইস্যু হল, যেহেতু ওরিজিনাল ওএমআর শিট নেই, তাই এটা বলা সম্ভব নয় স্ক্যানড কপি এবং ওরিজিনাল ওএমআর শিট একই কপি। তাহলে তো হাইকোর্ট সঠিক জাজমেন্টই দিয়েছে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, ‘‘ মামলা ২-৩ বছর বাদে ফাইল করা হয়েছে। এবং এসএসসির নিয়মই আছে ১ বছরের বেশি ওএমআর শিট রাখা হয় না। তাই জন্যই এই প্রশ্ন উঠছে।’’
দেশের সব লেটেস্ট খবর ( National News in Bengali ) এবং বিদেশের সব খবর ( World News in Bengali ) পান নিউজ 18 বাংলায় ৷ দেখুন ব্রেকিং নিউজ এবং টপ হেডলাইন নিউজ 18 বাংলার লাইভ টিভিতে ৷ ডাউনলোড করুন নিউজ 18 বাংলার অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস-এ ৷ News18 Bangla-কে গুগলে ফলো করতে ক্লিক করুন এখানে ৷
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
December 19, 2024 12:59 PM IST