#গোয়ালিয়র: বসের সঙ্গে ঝগড়া করে নয়, টার্গেট পূর্ণ করতে না পারার ব্যর্থতার জন্য নয়, চুরি করেও নয়। তবুও চাকরি হারাতে হল ৬ জনকে। কারণটা জানলে বিষম লাগতে পারে। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন জাগতে পারে কী কারণ? ঘটনা হল এঁরা পর্ন দেখায় দোষী। চার পুরুষ এবং দুজন মহিলা কর্মচারীকে এই অপরাধে বরখাস্ত করেছে গোয়ালিয়রের জিয়াজি বিশ্ববিদ্যালয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় সাত থেকে আটজন কর্মী এমন কাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছিলেন। ইউনিভার্সিটির মধ্যে বসে অফিস আইডি ব্যবহার করে পর্ন ভিডিও দেখছিলেন। তাঁরা একমাসে প্রায় ১২৫৬ মিনিট ভিডিও দেখেছেন। মোট আটটি আইডি দিয়ে লগ-ইন করে চলত পর্ন সিনেমার ভিডিও দেখা। এই কর্মচারীদের মধ্যে দুজন আবার নারী কর্মীও রয়েছেন।
একটি গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখতে চান বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য। পরে একটি কমিটিও গঠন করেন। সেই কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পরই এ ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে ফ্রি অ্যাক্সেস নেটওয়ার্ক রয়েছে, তা ব্যবহার করেই পর্ন ভিডিওর সাইটগুলোতে ভিডিও দেখতেন এই কর্মচারীরা। অতীতে পার্লামেন্টের ভেতর সাংসদরা অশ্লীল ভিডিও দেখে ধরা পড়েছেন। মুখ পড়েছে পার্টির।
বিদেশে একবার বিচার চলাকালীন দুজন জজ পর্ন ভিডিও দেখার অপরাধে ব্যাপক সমালোচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ভারতের বিশ্ববিদ্যালয় বা স্কুলে এমন ঘটনা বিরল। প্রযুক্তিগত উন্নতির যুগে মানুষ এই ভুল কীভাবে করে সেটাও হাস্যকর। ওই কর্মচারীদের প্রশ্ন করার পর তাঁরা জানিয়েছেন তাঁরা কম্পিউটার খুললেই নাকি পর্ন সাইট চলতে শুরু করত নিজের থেকে। কতৃপক্ষ জানতে চায় এমনটা হলে তাঁরা রিপোর্ট করেননি কেন? পরে আইটি বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন মিথ্যে কথা বলছেন ওই ছয় জন। তারপরই কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়।