#সুরাতঃ দু'দিন ধরে একে একে অসুস্থ হয়ে পড়ছে গ্রামের বাসিন্দারা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন পঞ্চাশের অধিক। মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন কয়েকজন। অজানা আতঙ্কে কাঁটা হয়ে ছিলেন সুরাতের (Surat) কাঠোর গ্রামের (Kathor village) বাসিন্দারা। তবে কারণ জানা গিয়েছে। সুরাত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (Surat Municipal Corporation) তরফে একপ্রকার স্পষ্ট করা হয়েছে। পানীয় জলে বিষক্রিয়া (contaminated drinking water) থেকেই এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে।
৩০ এবং ৩১ মার্চ দু'দিন ধরে যে জল সরবরাহ হয়েছে মিউনিসিপ্যালিটি থেকে সেই জল কোনও ভাবে দূষিত হয়ে যায়। একে একে অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করেন গ্রামের বাসিন্দারা। বমি, পেটে ব্যাথা থেকে নেতিয়ে পড়েন অনেকে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং বেসরকারি নার্সিংহোমে গ্রামবাসীদের লাইন পড়ে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি গ্রামের বিবেকনগর কলোনীতে পৌঁছন সুরাত মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের আধিকারিকরা। বাড়িতে বাড়িতে ক্লোরিন ট্যাবলেট দেওয়া হয় জল শুদ্ধ করার জন্য। এরপরে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণে আসে।
স্থানীয় নেতা দর্শন নায়েকের অভিযোগ, সুরাত পুরসভা ন্যূনতম নাগরিক পরিষেবা দেয় না। খাবার জল পর্যন্ত এ ভাবে দূষিত হয়ে যায়। ওই নেতা অসুস্থদের চিকিৎসা এবং মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে। এ দিকে, পুরসভার তরফে গ্রামের বিভিন্ন নলকূল, টাইমের জলের নমুনা নমুনা সংগ্রহ করেন আধিকারিকরা। সেই নমুনা প্রাথমিক পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, গ্রামবাসীদের অসুস্থতার কারণ দূষিত জল।
এ দিকে, রিপোর্ট পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে স্থানীয় প্রশাসন। পাইপলাইন পরীক্ষা করতে গিয়ে ফাটল সামনে আসে।জানা গিয়েছে, সেই ফাটলের জায়গা দিয়েই পানীয় জলের সঙ্গে মিশছিল ড্রেনের নোংরা জল। সেই জল খেয়েই এমন মর্মান্তিক পরিনতি। এ দিন পুরসভার গাফিলতি সামনে আসার পরেই তড়িঘড়ি মৃতদের পরিবারকে ১ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেন সুরাতের মেয়র হেমালি ভোঘাওয়ালা।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Surat