দশ মাস কাটল, Lockdown-এ রেলের চাকায় পিষ্ট শ্রমিকদের পরিবার এখন মহাসমস্যায়

Last Updated:

১৬ জন শ্রমিকও বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের পরিণতি হয়েছিল ভয়ানক।

#ঔরঙ্গাবাদ: খেটে খাওয়া মানুষেরই এদেশে সমস্ত ঝক্কি পোহাতে হবে! এমনকী মৃত্যুর পরও রেহাই নেই! করোনা লকডাউনের সময় মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় রেল দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ১৬ জন শ্রমিক। সেই ঘটনা গোটা দেশকে নাড়িয়ে দিয়েছিল। অপরিকল্পিত লকডাউনের জেরে বহু শ্রমিক ভিন রাজ্যে আটকে পড়েছিলেন। একটা সময়ের পর তাঁদের হাতে টাকা ফুরিয়ে আসে। ফলে অনেকেই গ্রামের বাড়িতে ফেরার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এদিকে ট্রেন-বাস কিছুই চলছিল না সেই সময়। ফলে তাঁরা অনেকেই পায়ে হেঁটে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেযন। ওই ১৬ জন শ্রমিকও বাড়ির উদ্দেশ্যে হাঁটা শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাঁদের পরিণতি হয়েছিল ভয়ানক।
ক্লান্ত হয়ে রেললাইনের ওপর শুয়ে পড়েন ১৬ জন শ্রমিক। ভোরের প্রথম মালবাহী ট্রেন তাঁদের পিষে দিয়ে বেরিয়ে যায়। ওই ১৬ জন শ্রমিকের মৃত্যুর দশ মাস হল। কিন্তু এখনওও তাঁদের পরিবার-পরিজনেরা প্রিয়জনের মৃত্যুর প্রমাণপত্র হাতে পাননি। যার ফলে পরিবারের লোকজন ব্যাংক-বীমা এবং অন্য দরকারি কাজকর্ম করতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন। লকডাউনে কাজ হারিয়ে ১৬ জন শ্রমিক বাড়ির পথে রওনা হয়েছিলেন। রেললাইনের পাশ দিয়েই তাঁরা হাঁটছিলেন। মধ্যপ্রদেশে নিজেদের গ্রামে ফেরার উদ্দেসে রওনা হয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু পথেই রেল দুর্ঘটনায় প্রান হারান তাঁরা। সরকারি আধিকারিকরা বলছেন, ঔরঙ্গাবাদ প্রশাসন এখনও পর্যন্ত তাঁদের ডেট সার্টিফিকেট পাঠায়নি। তবে মধ্যপ্রদেশ ও মহারাষ্ট্র সরকারের দেওয়া ক্ষতিপূরণের টাকা পরিবার-পরিজনদের হাতে পৌঁছেছে।
advertisement
এক সরকারি আধিকারিক জানিয়েছেন, যেখানে মৃত্যু হয়েছে সেই জেলা থেকেই ডেট সার্টিফিকেট তৈরি হবে। ঔরঙ্গাবাদের প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে মৃতদের পরিবারের তরফে। এই ব্যাপারে এত দেরি হচ্ছে কেন, তার কারণ জানতে চাওয়া হয়েছে। ঔরঙ্গাবাদের জেলাশাসকের কাছে চিঠি দিয়েছেন মৃতদের পরিবারের সদস্যরা। মৃত মজদুর দীপক সিংয়ের স্ত্রী চন্দ্রবতী জানিয়েছেন, তাঁর স্বামীর মৃত্যুর প্রমাণপত্র হাতে না পাওয়ায় তিনি বিধবা পেনশন তুলতে পারছেন না। এছাড়া সরকারি সব কাজকর্ম আটকে রয়েছে। একই সমস্যার মধ্যে রয়েছেন আরেক শ্রমিক রাজবীরের স্ত্রী সুনিতা সিং। তিনিও বিধবা পেনশন তুলতে পারছেন না প্রত্যেকেরই ব্যাংকের কাজে আটকে রয়েছে। রেল দুর্ঘটনায় নিজের দুই ছেলে বৃজেশ এবং শিবদয়ালকে হারিয়েছেন গজরাজ সিং। তিনিও দুই ছেলের মৃত্যুর প্রমাণপত্র হাতে পাননি। সরকারি অফিসে হন্যে হয়ে ঘুরছেন তিনি।
advertisement
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
দশ মাস কাটল, Lockdown-এ রেলের চাকায় পিষ্ট শ্রমিকদের পরিবার এখন মহাসমস্যায়
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement