#নয়াদিল্লি : ভারতে মহিলাদের বিয়ের বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব প্রসঙ্গে সমাজবাদী পার্টির দুই সাংসদ বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। উত্তরপ্রদেশের প্রধান বিরোধী দলের এক সংসদের মন্তব্য, "মেয়েদের বিয়ের বয়স ১৬ হলেও সমস্যা নেই যদি সেই মেয়ে সচেতন থাকে। তাছাড়া ১৮ বছর বয়সে ভোটাধিকার পেলে ১৮ বছর বয়সে বিয়ের অধিকার পাবে না কেন ?" সমাজবাদী পার্টির দুই সাংসদের এহেন মন্তব্যে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
এরপর শুক্রবার দুই সাংসদের মন্তব্য কার্যত খারিজ করেছেন সমাজবাদী পার্টির সর্বভারতীয় সভাপতি অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav)। তিনি বলেছেন, "মহিলা ও মহিলাদের অগ্রগতির জন্য সমাজবাদী পার্টি গঠনমূলক পদক্ষেপ করে। এই ধরনের মন্তব্য যাঁরা করেন, সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত মন্তব্য হিসেবে দেখা উচিত। দলগত অবস্থান এই ধরনের মন্তব্য কে সমর্থন করে না।"প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স ১৮ থেকে বাড়িয়ে ২১ করার প্রস্তাব পাশ হয়েছে। এর পরেই বিরোধিতায় সরব হয়েছেন সমাজবাদী পার্টির একাধিক নেতা। অখিলেশ যাদবের (Akhilesh Yadav) দলের দু’জন সাংসদ সৈয়দ তুফায়েল হাসান এবং সফিকুর রহমান বার্কের মন্তব্য নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আরও পড়ুন:কলকাতার দুর্গাপুজোকে UNESCO-র স্বীকৃতি, রাজ্যে বাড়বে পর্যটকের সংখ্যা, আশায় ব্যবসায়ীরা
সৈয়দ তুফায়েল হাসান বলেছেন, ‘‘যদি কোন মেয়ে সচেতন থাকে তাহলে১৬ বছরেই মেয়েরা বিয়ের উপযুক্ত হয়ে যায়।’’ দলেরই আর এক সাংসদ সফিকুর রহমানের মত, আমাদের দেশের অভিভাবকেরা অল্প বয়সেই মেয়ের বিয়ে দিতে চান।সপা-র দুই সাংসদের এই মন্তব্যের পর কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি সমাজবাদী পার্টির নেতাদের মানসিকতার নিন্দা করেছেন। সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে। যদিও সপা প্রধান অখিলেশ যাদব এই বিতর্ক থেকে দলকে দূরে রেখেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘ওঁরা (হাসান এবং সফিকুর) যা বলেছেন, সেটা ওঁদের ব্যক্তিগত মত। দলের বক্তব্য নয়।’’ প্রসঙ্গত, গত বছরের জুন মাসে কেন্দ্রীয় নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রক একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি বা টাস্ক ফোর্স গঠন করেছিল। যার নেতৃত্বে ছিলেন সমতা পার্টির প্রাক্তন সভাপতি জয়া জেটলি। চলতি মাসেই রিপোর্টে পেশ করেছে সেই কমিটি। সেই রিপোর্টে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ২১-এর পক্ষে রাখার বিষয়ে মত দেওয়া হয়েছে। এরইমধ্যে মেয়েদের বিয়ের বয়স বাড়ানোর আইনি উদ্যোগের বিরোধিতা করে হাসান বলেছেন, ‘‘মহিলারা ১৬-১৭ বছর থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত সন্তানের জন্ম দিতে পারেন। বয়স বেশি হলে দু’ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এক, বন্ধ্যাত্বের সম্ভাবনা। দুই, সন্তান প্রতিষ্ঠিত হওয়ার আগেই বৃদ্ধ হয়ে যাওয়া। হতেই পারে যখন আপনি জীবনের শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছেন, তখনও আপনার সন্তান ছাত্রাবস্থায়! আমরা প্রকৃতির নিয়ম ভেঙে দিচ্ছি।’’ অন্যদিকে সফিকুর বলেছেন, ‘‘ভারত একটি গরিব দেশ। প্রত্যেকেই দ্রুত তাঁদের মেয়ের বিয়ে দিতে চান। কেন্দ্র যদি সংসদে মেয়ের বিয়ের বয়সের বিল আনে তবে আমরা তা সমর্থন করব না।’’ তারপর থেকেই সমালোচনার ঝড় বইছে।
RAJIB CHAKRABORTY
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Akhilesh Yadav