আরব সাগর জলদস্যু মুক্ত করতে সফল ভারত

টানা সাত বছর ধরে আরব সাগরের বুকে জলদস্যুদের খেদিয়ে তাড়ানোয় লাগানো হয়েছিল ৫২টি রণতরী। অবশেষে মিলল সাফল্য। গত সপ্তাহেই দিল্লিতে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বলা হয়েছে, আরব সাগরে আর কোনও জলদস্যুর অস্তিত্ব নেই।

  • Last Updated :
  • Share this:

    #নয়াদিল্লি: টানা সাত বছর ধরে আরব সাগরের বুকে জলদস্যুদের খেদিয়ে তাড়ানোয় লাগানো হয়েছিল ৫২টি রণতরী। অবশেষে মিলল সাফল্য। গত সপ্তাহেই দিল্লিতে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে তাতে বলা হয়েছে, আরব সাগরে আর কোনও জলদস্যুর অস্তিত্ব নেই।

    তবে এই অভিযানে খরচও হয়েছে বিস্তর। আরব সাগরের কয়েকটি ‘খতরনাক’ বলে চিহ্নিত এলাকা এড়িয়ে পণ্যবাহী জাহাজগুলি ভারতীয় নৌবন্দরে ঢুকতে ঘুরপথে আসত। যার ফলে বাড়তি প্রায় ২৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হত। এখন থেকে গ্লোবাল শিপিং ইন্ডাস্ট্রির এই বিপুল খরচ বাঁচবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    আরব সাগর ঘেঁসা এডেন উপসাগরের মতো এলাকায় জলদস্যুরা ক্রমশই সাংঘাতিক হয়ে উঠছিল। ২০০৭ সাল থেকে শুরু হয় তাদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠা। যার অন্যতম কারণ ছিল সোমালিয়ার গৃহযুদ্ধ ও রাজনৈতিক অশান্তি।

    ধীরে ধীরে আরব সাগরের পূর্ব ও পশ্চিম প্রান্তেও এই জলদস্যুদের দাপট বাড়তে থাকে। পশ্চিম আরব সাগরের বিস্তীর্ণ জলতল্লাট ভারতের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু সেখানে জলদস্যুদের বাড়াবাড়ি ভারতের কাছেও ক্রমশ হুমকির চেহারা নিচ্ছিল।

    ২০০৮ সালে জলদস্যুদের তাড়াতে ভারতীয় নৌসেনা স্পেশ্যাল অপারেশন শুরু করে। পাঠানো হয় রণতরী। এডেন উপসাগর, পশ্চিম আরব সাগরে মালদ্বীপ ও সেশেলস দ্বীপপুঞ্জ-সহ বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয় ভারতীয় রণতরী। নেতৃত্বে ছিলেন ভারতের বিশেষজ্ঞ নৌসেনা কমান্ডাররা।

    প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক কর্তার যুক্তি, ২০১২ সালেও জলদস্যুদের জাহাজ লুট করার ঘটনাবলি প্রকাশ্যে এসেছিল৷ কিন্তু আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী তখন সাহায্যের হাত বাড়াতে অস্বীকার করে। এর পরেও পদক্ষেপ না নিলে ভারতীয় নৌসেনাবাহিনীর ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারত।

    First published:

    Tags: Arabian Sea, Pirates