Afghan Students in India: দেশে ফিরলেই তালিবানদের খপ্পরে, উভয় সঙ্কটে ভারতে থাকা আফগান পড়ুয়ারা

Last Updated:

 বুধবার দুপুরে নয়াদিল্লির আইসিসিআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস-এর সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকজন অসহায় আফগান ছাত্র (Afghan Students in India)৷ ?

#নয়াদিল্লি: আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতির কারণে ভারতে লেখাপড়া করতে এসে বিপদে ১৬ হাজার পড়ুয়া। কারও কোর্স কমপ্লিট হয়েছে, কিন্তু দেশে ফেরার উপায় নেই। কারও বাড়ি থেকে টাকা আসা বন্ধ। তাই এদেশে থাকা-খাওয়া সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারও আবার স্কলারশিপের মেয়াদ শেষ। ভারতে থাকা আফগান পড়ুয়াদের অধিকাংশই এখন তাই উভয় সঙ্কটের মুখে পড়েছেন৷ কারণ দেশে ফেরার উপায় নেই, আর ভারতেও নিজেদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত৷
বুধবার দুপুরে নয়াদিল্লির আইসিসিআর অর্থাৎ ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর কালচারাল রিলেশনস-এর সামনে জড়ো হয়েছিলেন কয়েকজন অসহায় আফগান ছাত্র। আইসিসিআর-এর কাছে তাঁদের কাতর  আর্জি, যেভাবেই হোক আর কয়েকটা মাস ভারতে লেখাপড়ার সুযোগ করে দেওয়া হোক। কারণ আফগানিস্তানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়।
স্কলারশিপ নিয়ে কেরলের গান্ধি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স ডিগ্রি শেষ করেছেন সোহরাব নুরজাই। আফগানিস্তানের হেরাট শহরে বাড়ি তাঁর। কোর্স শেষ হওয়ায় এখন তাঁকে বাড়ি ফিরতে হবে। কিন্তু, তেমন কোনও উপায়ে দেখছেন না সোহরাব। আফগানিস্তানগামী কোনও বিমান নেই। আফগানিস্তানে পরিস্থিতি ভয়াবহ। পরিবারের লোকেরা দেশে ফিরতে নিষেধই করছেন। তাই ভারতের থেকে আরও লেখাপড়া করতে চাইছেন সোহরাব। সোহরাব নুরজাই বলছিলেন, 'তালিবানরা দেশের শাসন ক্ষমতার দখল নিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারতে লেখাপড়া করার পর নিজেদের দেশে ফিরলে তালিবান যোদ্ধা হিসেবে নাম লেখাতে হবে। নচেৎ মৃত্যু অনিবার্য।'
advertisement
advertisement
এ বিষয়ে আইসিসিআর-এর ডিরেক্টর জেনারেল দীনেশকুমার পট্টনায়েক নিউজ এইট্টিন বাংলাকে জানিয়েছেন, 'আমরা বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের মধ্যে রয়েছি। সরকারও চিন্তিত। ইতিমধ্যেই যাঁদের কোর্স কমপ্লিট হয়েছে কিন্তু দেশে ফিরতে পারছেন না, তাঁরা যদি অন্য কোনও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নতুন কোর্সের জন্য ভর্তি হন,  সে ক্ষেত্রে কীভাবে সহযোগিতা করা যায় তা নিয়ে আলোচনা চলছে। আশা করা হচ্ছে খুব শীঘ্রই সমাধানের পথ বেরোবে।'
advertisement
কাবুল শহর থেকে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি কোর্স করতে এসেছিলেন আব্দুল ওয়ারিশ। স্কলারশিপ পেলেও বাড়ি থেকে লেখাপড়ার খরচ হিসেবে সামান্য কিছু অর্থ আসত। কিন্তু, সেদেশে ব্যাংক, পোস্ট অফিস, এটিএম সব আপাতত বন্ধ। এদিকে স্কলারশিপেরও মেয়াদ শেষ হয়েছে। তাই আব্দুল দ্বারস্থ হয়েছে আইসিসিআর-এর। আর্জি, আপাতত মাস্টার্স ডিগ্রি পর্যন্ত স্কলারশিপ-এর মেয়াদ বাড়ানো হোক। নচেৎ প্রাণে মরতে হবে।
advertisement
সোহরাব ও আব্দুলদের কথায়, 'তালিবানদের একবার যারা দেখেছে তারা জানে ওরা কত ভয়ঙ্কর। ভারত থেকে শিক্ষা অর্জন করে আফগানিস্থানে ফিরে চাকরি করা অসম্ভব। যদিও কয়েক মাস আগে পর্যন্ত আমরা তেমনটাই ভেবেছিলাম‌। কিন্তু দেশটা তালিবানদের হাতে চলে যাওয়ায় নিজের দেশে ফেরা আর সম্ভব নয়। তাই স্কলারশিপ ও ভিসার মেয়াদ বাড়ানোর জন্য আইসিসিআর এবং দিল্লির আফগান দূতাবাসে হন্যে হয়ে ঘুরছি। জানি না এর সমাধান হবে কিনা। আগামী দিনগুলো কেমন কাটবে আমাদের জানা নেই।'
view comments
বাংলা খবর/ খবর/দেশ/
Afghan Students in India: দেশে ফিরলেই তালিবানদের খপ্পরে, উভয় সঙ্কটে ভারতে থাকা আফগান পড়ুয়ারা
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement