নয়াদিল্লি: বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক, অশান্তি অব্যাহত। তার মধ্যেই রাজস্থান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র দেখার 'অপরাধে' ১১ জন পড়ুয়াকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মীদের দিয়ে সাসপেন্ড হওয়া পড়ুয়াদের ক্যাম্পাসের বাইরে রেখে আসা হয়। নিরাপত্তা কর্মীদের দাবি, সাসপেনশন চলাকালীন বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকতে পারবেন না পড়ুয়ারা।
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায়। রাজস্থান কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের একাংশের পক্ষ থেকে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সবাইকে নিজেদের মোবাইল ফোনে এই তথ্যচিত্র দেখার আহ্বান জানানো হয়। সেদিন রাতেই জোর করে বিশ্ববিদ্যালয়ের হোস্টেলে এভিবিপি পড়ুয়ারা ঢোকার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ। তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করা পড়ুয়াদের দাবি, কোনও পর্দার মাধ্যমে তথ্যচিত্র দেখানোর আয়োজন করা হয়নি। সবাইকে নিজেদের মোবাইলে তথ্যচিত্র দেখার আহ্বান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: এবার কি মোঘলাই পরোটার নামও বদলে দেবে বিজেপি? নামবদলের রাজনীতি নিয়ে কটাক্ষ তৃণমূলের
তাঁদের আরও অভিযোগ, এভিবিপি পড়ুয়ারা জয় শ্রীরাম এবং দেশের বিশ্বাসঘাতকদের গুলি করার মতো স্লোগান দিতেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এভিবিপি সমর্থকদের পক্ষ থেকে ২৪ জন পড়ুয়ার নামের তালিকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য চাপ দেওয়া হয়। তাঁদের চাপেই তথ্যচিত্র দেখা পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়।
বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্য়ালয়, দিল্লি বিশ্ববিদ্য়ালয়ের পরে অশান্তি ছড়ায় বাণিজ্য নগরী মুম্বইয়েও। বিবিসি-র বিতর্কিত তথ্যচিত্র প্রদর্শনীর জন্য যথারীতি কোনও অনুমতি দেননি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। টাটা ইনস্টিটিউট অফ সোশ্যাল সায়েন্স কর্তৃপক্ষ স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নির্দেশিকা না মানলে আইন অনুযায়ী কঠোর পদক্ষেপ করা হবে। যদিও তাতেও পিছু হঠতে নারাজ ছিলেন পড়ুয়ারা। শেষে নিজেদের ল্যাপটপেই তথ্যচিত্র দেখেন বিশ্ববিদ্য়ালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। তথ্যচিত্র দেখানোর প্রতিবাদে প্রবল বিক্ষোভ দেখান এভিবিপি এবং বিজেপির যুব মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। তবে জমায়েত নিষিদ্ধ হওয়ায় সেই সমস্ত বিক্ষোভকারীদেরও সরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: মোদির তথ্যচিত্র দেখানোর সময় প্রেসিডেন্সিতেও অন্ধকার, দেখানো হল যাদবপুরেও
বিজেপির মুম্বই শাখার প্রধান আশিস শেলার টুইটারে লেখেন, "এই তথ্যচিত্র নিষিদ্ধ করা উচিত পুলিশের। নাহলে আমরা যেটা করতে চাই, সেটাই করে দেখাব।"
রবিবার দিল্লি ক্য়ানটনমেন্টের কারিয়াপ্পা গ্রাউন্ডে এনসিসি-র একটি অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন "দেশকে টুকরো টুকরো করার বাহানা খোঁজা হচ্ছে। ভারতবাসীর সন্তানদের মধ্যে ফাটল তৈরির চেষ্টা চলছে।" এর পরেই প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এত চেষ্টা সত্ত্বেও ভারতবাসীর মধ্যে এভাবে ভেদাভেদ তৈরি করা যাবে না। মোদি বলেন, "একমাত্র ঐক্যের মন্ত্রের বলেই ভারত বলিয়ান হবে।"
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: BBC, BBC documentary, Narendra Modi