#নয়াদিল্লি: দিল্লির বুরারিতে একই পরিবারের ১১ জন সদস্যের রহস্যমৃত্যু ৷ সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রহস্যের জট ক্রমশ প্রকট হচ্ছিল ৷ অবশেষে, সেই মৃত্যুর ঘটনাকে ঘিরে থাকা আসল কারণ প্রকাশ্যে এল ৷
পুলিশের রিপোর্ট থেকে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য ৷ বিষ খেয়ে নয় ৷ ‘মোক্ষ প্রাপ্তি’ এবং মৃত বাবার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য তন্ত্রসাধনার আশ্রয় নিয়েছিলেন ওই পরিবার ৷ তান্ত্রিকের নির্দেশেই এহেন কাণ্ড ঘটিয়েছিল গোটা পরিবার ৷ তবে, তারা ভেবেছিলেন বেঁচে যাবেন সকলেই ৷ কারণ জানলে চমকে যাবেন ৷
পুলিশের দাবি, ওই পরিবারের ছোট ছেলে ললিত ভাটিয়ার সঙ্গে খুব ভাল সম্পর্ক ছিল তাঁর বাবা ভোপাল সিংয়ের ৷ ভোপাল সিংয়ের মৃত্যু মেনে নিতে পারেনি ছোট ছেলে ৷ বাবাকে হারানোর জেরে শোকস্তব্ধ হয়ে পড়েন ললিত ৷ এমনকী, এক সময় ললিতের গলার আওয়াজও একেবারে বন্ধ হয়ে যায় ৷ চিকিৎসা করেও সেই রোগ কমেনি ৷ অবশেষে, চিঠি লিখে লিখেই নিজের কথা জানাতেন ললিত ৷
ললিত পরিবারের অন্য সদস্যদের বলতেন ভোপাল সিং নাকি তাঁর সঙ্গে দেখা করতে চাইতেন ৷ পুলিশের হাতে উঠে এসেছে ললিতের সেই চিঠিও ৷ এমনকী, মৃত্যুর আগেও ললিত একটি চিঠি লিখেছিলেন ৷ সেই চিঠিতেই লেখা ছিল সমস্ত বিষয় ৷ একদম শেষের চিঠিটায় লেখা ছিল, ‘গ্লাসে জল রেখ ৷ এই জলের রং বদলে যাবে ৷ আমি আসব আর সকলকে বাঁচিয়ে দেব ৷’
মনস্তাত্ত্বিকবিদরা জানাচ্ছেন, ওই পরিবারের সকলেরই সাইকোলজিকাল ডিসঅর্ডার রয়েছে ৷ যারা এই রোগের শিকার হন ৷ তাদের মৃত মানুষ কিংবা তৃতীয় অজানা কোনও ব্যক্তির ছবি চোখের সামনে আসে এমনকী, তাদের গলার আওয়াজও শুনতে পান তাঁরা ৷ বুরারি হত্যাকাণ্ডের ১১ জনই এই রোগের শিকার ছিলেন বলে দাবি করেন ওই মনস্তাত্ত্বিক ৷ যদিও ওই পরিবারের অন্য সদস্যরা এই দাবি অস্বীকার করেছেন ৷
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।