নদিয়া: গোটা দেশজুড়ে পালন করা হচ্ছে ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রত্যেক ঘরে তিরঙ্গা দিবস পালন করতে বলেছেন। প্রায় ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের থেকে মুক্তি পেয়েছিল ভারত। তবে স্বাধীনতার সূর্য অস্ত গিয়েছিল এক বিশ্বাসঘাতকের জন্য। জানা যায় ভারতবর্ষের শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজউদ্দৌলার ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধে ব্রিটিশ বাহিনীর কাছে হেরে যাওয়ার পরই নেমে আসে বাংলায় পরাধীনতার অন্ধকার যুগ। নবাব সিরাজউদ্দৌলা ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির কাছে তার সেনাপতির বিশ্বাসঘাতকতার জন্য পরাজিত হন পলাশীর যুদ্ধে। পলাশীর যুদ্ধের ময়দান আজও সেই স্মৃতি বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছে। নদীয়া জেলার সদর শহর কৃষ্ণনগর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত পলাশীর যুদ্ধের ময়দান যাকে বলা হয় "দা ব্যাটেল গ্রাউন্ড অফ পলাশী"। সিরাজউদ্দৌলার ইংরেজদের বিরুদ্ধে শেষ যুদ্ধের স্মৃতি হিসেবে আজও এখানে রয়েছে একটি তার স্মৃতির উদ্দেশ্যে বিশালাকার এক মনুমেন্ট। যা দেখতে এখনও প্রতিবছর বহু মানুষ আসেন।
আরও পড়ুন: 'বাঁচবে না কেউ', মমতা-মোদি বৈঠকের আগে পিনারাই বিজয়নের তুলনা টানলেন সুকান্ত মজুমদার
৩৪ নং জাতীয় সড়কের থেকেই দেখা যায় সাদা রঙের সিমেন্টের বড় একটি গেট। গেটের নীচ দিয়ে রাস্তা স্বাগত জানাচ্ছে পলাশীর ময়দানে যাওয়ার। সেই গেট অতিক্রম করে গ্রামের আঁকাবাঁকা রাস্তা দিয়ে কিছুক্ষণ গেলেই দূর থেকে দেখা যাবে একটি বিশালাকার মনুমেন্ট। যাতে খোদাই করে লেখা রয়েছে, \"ব্যাটেলফিল্ড অফ পলাশী\"। কয়েক বছর আগেও এই স্থানে চোখে পড়ার মতো কিছুই ছিল না। পলাশীর যুদ্ধের ময়দানে যাওয়ার google লোকেশন:
২০০৭ সালে পলাশীর যুদ্ধের ২৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে তৈরি হয় এই মনুমেন্ট। ভারত বাংলাদেশ পাকিস্তান পিপলস ফোরামের উদ্যোগেই স্থাপন করা হয় এই মনুমেন্ট।তারপর থেকে আর কোনও খোঁজ খবর কেউই রাখেন না। সরকারি উদ্যোগ বলতে শুধুমাত্র একটা ছোট্ট বোর্ড যাতে সংক্ষেপে লেখা রয়েছে পলাশীর সেই অন্ধকারময় ইতিহাসের কথা। এছাড়াও পলাশীর এই ময়দানে পরাজিত নবাব সিরাডউদ্দৌলার রয়েছে একটি আবক্ষমুর্তি। রাজ্যের তথা দেশের অনেকেই এখনও হয়তো জানেনই না যে মুর্শিদাবাদের ততকালীন নবাব যে পলাশীর যুদ্ধে পরাজিত হয়েছিলেন সেই পলাশী আসলে নদিয়া জেলাতে রয়েছে।
আরও পড়ুন: অর্পিতাকে কতটা চেনেন? পার্থর জবাবে ইডি আধিকারিকদের মাথায় হাত!
রণভূমি আজ তৃণভূমি ও ঝোপ জঙ্গলে ভরা। চরম অবহেলার শিকার এই ঐতিহাসিক গুরুত্বে ভরা জায়গাটি। এলাকার মানুষের ক্ষোভ, না কেন্দ্র না রাজ্যের কোনও সরকারই এই পলাশীকে নিয়ে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়নি এপর্যন্ত। অবিলম্বে এই জায়গাটিকে সংরক্ষণ করে এর গুরুত্ব অনুযায়ী মর্যাদা দেওয়ার দরকার রয়েছে বলেই জানান এলাকার বাসিন্দারা। --মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।