Nadia News: রাস্তার পাশে রান্না হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির খাবার, পরিকাঠামোর অভাবে বন্ধ পড়াশোনা
- Published by:Anulekha Kar
- hyperlocal
Last Updated:
শুধু তাই নয় এই পরিবেশে বাচ্চাদের ক্লাস করাতে পারছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বলে অভিযোগ করেন তারা
#নবদ্বীপ: রাস্তার দোকানের পাশে রান্না হচ্ছে অঙ্গনওয়াড়ির খাবার ,পরিকাঠামোর অভাবে বন্ধ পড়াশোনা । এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠল নদিয়ার নবদ্বীপে। নদিয়ার নবদ্বীপের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা । অভিযোগ, প্রথমে ঐ ওয়ার্ডের ইচ্ছাময়ী G.S.F.P নামে একটি প্রাইমারি স্কুলে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি নোটিস দেওয়া হয়। স্কুলের একটি ঘর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের জন্য খুলে দেওয়ার জন্য বলা হয় ঐ নোটিসে।
নোটিসে জানানো হয় যে সেই ঘরেই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বাচ্চাদের লেখা পড়া এবং তাদের জন্য খাবার রান্না করা হবে । কিন্তু কয়েক বছর পরেই মেরামতির জন্য স্কুল ছেড়ে বেরিয়ে যেতে বলা হয় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীদের ।
আরও পড়ুন: Murshidabad Football: কাতারে চলছে বিশ্বকাপ, ফুটবলে জ্বরে কাঁপছে বাংলা, জমিয়ে হল এমএলএ কাপ
advertisement
advertisement
সূত্রের খবর, পরবর্তীতে সেই ওয়ার্ডের জনপ্রতিনিধিকে জানিয়ে পাশ্ববর্তী একটি স্কুলে অঙ্গনওয়াড়ির ক্লাস চলছিল । কিন্তু প্রায় তিন দিন যাবৎ ঐ স্কুলের গেটে তালা ঝুলিয়ে বাইরে বের করে দেওয়া হয় অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের । বলা হয় আর সেখানে রান্না করা বা ক্লাস নেওয়া যাবে না । রান্নার জন্য সেখানের ঘরের রং নষ্ট হচ্ছে ।
advertisement
আগের স্কুলে ফিরে যাবার ইচ্ছা প্রকাশ করলে সেখানেও ঢুকতে দিতে চাননি ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক । নিরুপায় হয়ে বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ির স্থান হয়েছে রাস্তার পাশে একটি দোকান ঘরের সামনে এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ।শুধু তাই নয় এই পরিবেশে বাচ্চাদের ক্লাস করাতে পারছেন না অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।
advertisement
এছাড়াও তাদের অভিযোগ বারংবার উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি । এই অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে রান্না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় বাচ্চাদের অভিভাবক থেকে শুরু করে গর্ভবর্তী মায়েরা। এক অঙ্গনওয়ারি কর্মীর তরফ থেকে জানা গিয়েছে, যে এই সেন্টারে ২৫ জন বাচ্চা পরে। এবং প্রায় ৪৫ জন খাবার নেয় । ফলে কোনও সমস্যা হলে তার দায় কে নেবে ? ভবিষতে সরকারের এই পরিকাঠামোহীন ব্যবস্থার জন্য সমস্যায় পড়তে হবেনা তো কোনও বাচ্চা বা গর্ভবর্তী মায়েদের, সেই প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
advertisement
মৈনাক দেবনাথ
Location :
First Published :
December 05, 2022 7:32 PM IST