নদিয়া: শান্তিপুরে সাতসকালে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার হল এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ। মৃত যুবকের বাড়ি কোচবিহারে হলেও সে বেশ কিছুদিন ধরে নদিয়ার ফুলিয়ায় বসবাস করছিল। তার নাম মহেশ দাস। ওই যুবক আত্মঘাতী হয়েছে না তাকে খুন করা হয়েছে তাই নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে। যদিও এলাকার মানুষের অভিযোগ, আত্মহত্যা নয়, মহেশকে কেউ নৃশংসভাবে খুন করেছে।
তাঁত শিল্পের আঁতুর ঘর বলে পরিচিত ফুলিয়ার চটকা তলা এলাকায় থাকতেন মৃত মহেশ দাস। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তাঁর হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয়দের প্রাথমিক অনুমান, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার কথা জানাজানি হতেই এলাকায় এসে পৌঁছয় শান্তিপুর থানার পুলিশ।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানকে জেরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের, আবাস যোজনা নিয়ে পদক্ষেপ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত মহেশ দাসের আসল বাড়ি কোচবিহারে। বেশ কয়েক মাস আগে কাজের সন্ধানে ফুলিয়ায় আসে। এখানে এসে তাঁত শ্রমিকের কাজ শুরু করে। তবে বর্তমানে তাঁতের কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিল না ওই যুবক। কিন্তু ফুলিয়াতেই থাকছিল সে। মঙ্গলবার সকালে স্থানীয়রা দেখতে পায়, দুটি গাছের মাঝামাঝি গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় ঝুলছে মহেশ। পেছন দিকে তার হাত বাঁধা ছিল, পা-ও বেঁধে রাখা হয়েছিল! কেউ আত্মহত্যা করলে কী করে নিজের হাত ও পা বাঁধবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
প্রতিবেশীরা খবর দেয় পুলিশকে। শান্তিপুর থানার পুলিশ ওই যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশ দেহটি মর্গে পাঠিয়েছে। তবে স্থানীয়রা এই মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবীতে সরব হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, কে এই যুবককে খুন করেছে তা দ্রুত খুঁজে বার করুক পুলিশ।
মৈনাক দেবনাথ
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Dead body, Mysterious Death, Nadia news