#নদিয়া : তিলে তিলে প্রতিদিনই একটি দুটি করে কাটতে কাটতে ২০ টি ফলন্ত আম গাছকে কেটে হত্যা করে ধ্বংস একটি গোটা আমবাগান। স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলেও প্রশাসনের নেই কোনও ভূমিকা, রাতের অন্ধকার থেকে শুরু করে দিনের আলোয় অবাধে ফলন্ত আম গাছ কেটে পরিষ্কার গোটা আম বাগান। ঘটনাটি শান্তিপুর ব্লকের বেলঘড়িয়া এক নম্বর পঞ্চায়েতের অন্তর্গত খেজুরতলা পাড়া এলাকার। স্থানীয়দের অভিযোগ গত কয়েকদিন ধরেই আম বাগানের মালিক নরেশ সরকার তার বাগানের কুড়িটি ফলন্ত আমগাছ চুক্তি করে বিক্রি করে দেয়। এরপরেই প্রতিদিনই একটা দুটো করে আমগাছ কাটা শুরু হয়। মঙ্গলবার গোটা আম বাগান কেটে পরিষ্কার করে ফেলা হয়। দিনের আলোয় প্রকাশ্যে কাটা আম গাছের ডালপালা সহ গুড়িগুলি নিয়ে যাওয়া হয় গাড়ি লোড করে। তবে প্রকাশ্যে গোটা আম বাগান কেটে ফেলার ঘটনায় প্রশাসনকে কোনওরকম তৎপর হতে দেখা যায়নি। যদিও প্রতিবেশীরা মৃদু প্রতিবাদের সুরে বলেন গাছ কাটা অপরাধজনক, কিন্তু চোখের সামনে দেখা ছাড়া উপায় নেই কিছু।
তবে বন দপ্তরের অনুমতি আছে কিনা এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয়রা। যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচেষ্টাই সারা রাজ্য জুড়ে চলছে অরণ্য সপ্তাহ পালন। এই অরণ্য সপ্তাহ পালনের মধ্যে দিয়ে প্রত্যেক বিধায়কদের হাত দিয়ে বিলি করা হচ্ছে গাছের চারা।
আরও পড়ুনঃ কাঁটাতারের ওপারে থাকার কারণে অসুবিধার সম্মুখীন গ্রামবাসীরাএকদিকে সবুজকে ধ্বংসের মুখ থেকে বাঁচাতে একের পর এক সরকারি উদ্যোগ অন্যদিকে দিনের আলোয় গোটা একটি আমবাগানকে কেটে ধ্বংস করে ফেলার ঘটনায় নীরব প্রশাসন। তবে পঞ্চায়েত প্রধান বলেন বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম আমাকে ওই এলাকার মানুষ কিছুই জানায়নি। এ বিষয়ে বন দফতরের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও কোনরকম প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ পঞ্চায়েতের উদ্যোগে অবশেষে মিলল পরিশ্রুত পানীয় জলযদিও পরিবেশবিদদের একাংশ মনে করছেন নিজের জমিতে গাছ লাগানো থাকলেও সেটি কাটা অত্যন্ত অপরাধ। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি সুন্দর পৃথিবী দিতে চাইলে গাছ লাগানো এবং তার পরিচর্যা করা অবশ্যই প্রয়োজন। এভাবেই নির্বিচারে একের পর এক ফলন্ত গাছ কাটা অপরাধমূলক কাজ বলে মনে করছেন তারা।
Mainak Debnathনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।