Murshidabad Tourism: শাহজাহানের রাজত্বকাল, শত বছরের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী মুর্শিদাবাদের এই কামান!

Last Updated:

শাহজাহানের রাজত্বকালে সুবাদার ইসলাম খাঁর আদেশে ১৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে তৈরি করা হয় । তবে বর্তমানে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে এই জাহানকোষা কামান।

+
শাহজাহানের

শাহজাহানের রাজত্বকাল, শত বছরের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী মুর্শিদাবাদের এই কামান!

মুর্শিদাবাদ: জাহানকোষা কামান। বর্তমানে সংরক্ষণের অভাবে পড়ে রয়েছে। মুর্শিদকুলি খাঁর পরবর্তী নবাবের আমলেও এখানে অস্ত্রাগার ছিল। সেই অস্ত্রাগারের কোনো নিশানা আজ আর নেই। শুধু লোকমুখেই জানা যায় সেই কথা।
তবে ইতিহাস বুঝি পৃথিবীর বুকে তার আপন জায়গাটি ঠিকই করে নেয়। তাই আজও সেই জায়গায় ইতিহাসের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে একটি কামান। নাম তার ‘জাহান কোষা’ কামান। শাহজাহানের রাজত্বকালে সুবাদার ইসলাম খাঁর আদেশে ১৬৩৭ খ্রীষ্টাব্দে তৈরি করা হয় । তবে বর্তমানে ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে আছে এই জাহানকোষা কামান। সংরক্ষণের দাবি করেছেন পর্যটক থেকে টোটো চালক সকলেই।
advertisement
advertisement
শোনা যায়, মুর্শিদকুলি খাঁ ঢাকা থেকে রাজধানী মুর্শিদাবাদে স্থানান্তর করার সময় এই কামানটি এখানে নিয়ে আসেন। তাই ইতিহাসের সাক্ষী এই কামান। যা আজও ইতিহাস বহন করছে এই কামান। জাহান কোষা কামান এই কামানটি তৈরিও করেন জনার্দন কর্মকার। কামানটির দৈর্ঘ ৫.৫০ মিটার, প্রস্থ ১.৭০ মিটার ও ওজন আনুমানিক ৭৯০০ কেজি।কামানের গায়ের লেখা থেকে জানা যায়, ১৬৩৭ খ্রিস্টাব্দের অক্টোবর মাসে এটি তৈরি করা হয়।
advertisement
দিল্লির মসনদে তখন সম্রাট শাহজাহান। ঢাকার সুবেদার তখন ইসলাম খাঁ। ঢাকার দারোগা শের মহম্মদ ও হরবল্লভ দাসের তত্ত্বাবধানে মিস্ত্রি জনার্দন কর্মকার এই কামানটি নির্মাণ করেন। এই কামানটি দাগার জন্য ১৭ কেজি বারুদ ব্যবহৃত হতো।কামানটি কোনো কারণে ক্রুদ্ধ হয়ে নদীপথে চলে যাওয়ার সময় একটি অশ্বত্থ গাছ এটিকে জড়িয়ে ধরেছিল। বহুকালই নাকি কামানটি সেই অবস্থায়ই ছিল। তারপর সরকার কামানটিকে ওই অশ্বত্থগাছ থেকে আলিঙ্গনমুক্ত করে এই উঁচু বেদিটির ওপর স্থাপন করে।
advertisement
বর্তমানে কামানটি যে গ্রামে আছে তার নামও তোপগ্রাম। যদিও নাম গ্রাম, তবে আসলে এটি গ্রাম নয়। মুর্শিদাবাদ শহরের পাশেই এটি। কাটরা মসজিদে যাওয়ার পথেই এই গ্রামের অবস্থান। কামানটি নবাবী আমলে লোহার একটি চাকার ওপর স্থাপিত ছিল, যা বর্তমানে আর নাই। জাহান কোষা কামানদীর্ঘদিন এটি মাটির নিচেই পড়ে ছিল। কালক্রমে একটি গাছের কাণ্ডে আটকা পড়ে এটি জেগে উঠেছিল।
advertisement
তারপর এটিকে উঁচু বেদির ওপর স্থাপন করেছে। কামানটি তৈরিতে অষ্টধাতু ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে আছে সোনা, রূপা, দস্তা, তামা, জিঙ্ক, টিন, লোহা ও পারদ আছে বলে জানা যায়।মুর্শিদাবাদ হাজারদুয়ারী দর্শনে এলেও অনেকের কাছে অজানা এই ইতিহাসের দর্শনীয় স্হান। তবে নতুন করে সংরক্ষণ করে আবার জানুক ইতিহাস, আসুক পর্যটকরা চাইছেন সকলেই।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Murshidabad Tourism: শাহজাহানের রাজত্বকাল, শত বছরের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী মুর্শিদাবাদের এই কামান!
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement