Durga Puja 2023: বেলডাঙা থেকে মুম্বই, গায়ক অভিজিতের দুর্গাপুজোতে প্রতিবছর ঢাক বাজান তিনি! চিনুন

Last Updated:

Durga Puja 2023 : মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাঁশচাতর গ্রামের বাসিন্দা লালু দাসের কদর এখন দেশজুড়ে। দুর্গাপুজো এলেই তাঁর ডাক পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ছোটবেলায় বাবার কাছেই তালিম।

+
লালু

লালু ঢাকি

মুর্শিদাবাদ: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বাঁশচাতর গ্রামের বাসিন্দা লালু দাসের কদর এখন দেশজুড়ে। দুর্গাপুজো এলেই তাঁর ডাক পড়ে বিভিন্ন জায়গায়। ছোটবেলায় বাবার কাছেই তালিম। বয়স বাড়তেই মন্মথ দাস ও ধনপতি দাসের কাছে ঢাক বাজানো শিখতে নাড়া বাঁধেন। তাঁর বাজনার জাদুতে মুগ্ধ সবাই।
১৯৮৬ সালে, মাত্র ১৮ বছর বয়সে ভারত উৎসবে, রাশিয়ায় ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। সেই শুরু হয় তাঁর বাজনার তালে পথচলা। তারপর থেকে আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। কী নেই তাঁর ঝুলিতে? বড় বড় সম্মান, পুরস্কার, বিদেশ ভ্রমণ, গুণী শিল্পীদের সঙ্গে কাজ। এত কিছুর পরেও তাঁর আক্ষেপ, বর্তমান প্রজন্ম এই পেশার প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে। তিনি আর কেউ নন, বাংলার স্বনামধন্য ঢাকি লালু দাস। লালু দাসের বাপ-ঠাকুরদাও ঢাকি ছিলেন। ফলে ছোট থেকেই ঢাক বাজানোয় হাত পাকিয়েছেন তিনি। ১৯৮৯ সালে মুম্বইয়ের আরব সাগরের তীরে বাসিন্দাদের তাঁর বাদ্যে মশগুল করেন লালু দাস।
advertisement
advertisement
তারপর থেকে প্রতি বছরই গায়ক অভিজিৎ ভট্টাচার্যের দুর্গাপুজোয় ডাক পড়ে তাঁর। ২০০৪ সালে হনলুলু অ্যাকাডেমি অফ আর্টস এর ডাকে যান হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে। ২০০৬ সালে ভয়েস অফ বেঙ্গল অনুষ্ঠানের মঞ্চে জাদু দেখায় তাঁর ঢাক। ২০০৭ সালে পাড়ি দিয়েছিলেন সিডনি-সহ অস্ট্রেলিয়ার শহরগুলিতে। এতো গেল বিদেশের কথা। দেশের এমন কোনও প্রান্ত নেই যেখানে তিনি ঢাক বাজাতে যাননি। এ হেন প্রতিভাবান শিল্পীকে সারাটা বছর পেটের দায়ে টানতে হয় ভ্যান কিংবা রিক্সা। যদিও তা নিয়ে কোনও আক্ষেপ নেই তাঁর।
advertisement
২২জন নিজের দলের ঢাকি ও কাঁসর বাদকদের নিয়ে মুম্বই রওনা দেওয়ার আগে এখন জোড় প্রস্তুতি চলছে ঢাক বাজানোর। যদিও লালু দাস বলেন,  ‘পুজোর সময় কিছুটা কাজ মিললেও, সারা বছর কিছু কাজ থাকে না তাই আগে রিক্সা, ভ্যান চালাতাম। টোটোও চালিয়েছি। কিন্তু এখন বয়স হয়ে যাওয়ায় সেসব ছেড়ে দিয়েছি। লোকের বাড়ির পুজোয় ডাক পেলে যাই। এভাবেই চলে যাচ্ছে। তবে এবছর আবার ডাক এসেছে লালু ঢাকির। পুজোর আগেই রওনা দেবেন মুম্বই।
advertisement
লালু দাস বলেন, ‘সব পেলাম কিন্তু কোনওদিন সরকারি স্বীকৃতি পেলাম না। সরকারের পক্ষ থেকে গাইয়েদের পুরস্কৃত করা হলেও, বাজিয়েদের জন্য কোনও পুরস্কার নেই।’ গলায় সন্তুষ্টির স্বর নিয়ে বললেন,ঢাক বাজিয়ে তাঁর মতো নাম কজনই বা পেয়েছেন? কিন্তু, তাঁর স্বপ্ন এই প্রজন্মকে এই পেশার প্রতি আকৃষ্ট করা। কিন্তু, তার জন্য কিছু সরকারি সাহায্যের প্রয়োজন। সরকার যদি পাশে দাঁড়ায় তা হলে আগামী দিনে আরও অনেক লালু দাস বিশ্বদরবারে বাংলাকে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে বসাতে পারবেন।
advertisement
কৌশিক অধিকারী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/মুর্শিদাবাদ/
Durga Puja 2023: বেলডাঙা থেকে মুম্বই, গায়ক অভিজিতের দুর্গাপুজোতে প্রতিবছর ঢাক বাজান তিনি! চিনুন
Next Article
advertisement
MGNREGA: মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! কোটি কোটি কৃষক শ্রমিকদের স্বার্থে আঘাত, কেন্দ্রের নয়া ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
মনরেগাকে ধ্বংস করেছে মোদি সরকার! ‘কালো আইনের’ বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ডাক সনিয়ার
  • মনরেগা প্রকল্পের নাম বদল নিয়ে এবার মোদি সরকারের বিরুদ্ধে সরব সোনিয়া গান্ধি

  • কংগ্রেসে নেত্রীর দাবি, মনরেগা প্রকল্পকে কার্যত ধ্বংস করে দিল বিজেপি

  • প্রকল্পকে বদলের আইনকে ‘কালো আইন (ব্ল্যাক ল)’ বলে উল্লেখ্য সোনিয়ার৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement