মুর্শিদাবাদঃ ভোট আসে ভোট যায় পরিবর্তন হয় সরকারেরও।তবে আজও বদলায়নি বছর ৯৩ এর বৃদ্ধা সুশীলা বালা মন্ডলের অভাগা কপাল। বর্তমানে নেই হাঁটাচলার ক্ষমতা।চলে গেছে দৃষ্টি শক্তিটুকুও। ছেলের দিনমজুরি করা সংসারে কোনও রকমে করেন দিন গুজরান।
মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত গ্রাম শালিকার বাসিন্দা সুশীলা বালা মন্ডল। ৯৩ বছরের এই বৃদ্ধাকে দেখা যায় ঝোলা হাতে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে বড়ঞা ব্লক অফিসে এসে একের পর এক দরজায় ঢুঁ মারতে। পরে তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি জানান, শুধু আজকেই নয়, বহুদিন ধরেই তিনি এভাবে আসেন এই ব্লকে এবং চলেও যান, সামান্য একটু বার্ধক্য ভাতা যদি সরকারের পক্ষ থেকে পাওয়া যায়। তাহলে হয়তো জীবনের শেষ সময়টুকু একটু হলেও স্বচ্ছন্দে কাটত। খাবার থেকে ওষুধ টুকু হয়তো সঠিক সময়ে পাওয়া যাবে। এই আশাতেই তিনি বছরের পর বছর ধরে ঘুরে যাচ্ছেন। এই ব্লকের বিভিন্ন দরজায় ঘুরলেও কিন্তু আজও মেলে না সরকারী কোনও সাহায্য।
আরও পড়ুন: স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে! বাড়ি ফিরল স্কুল ক্লার্কের নিথর দেহ
আরও পড়ুন: পাচারের আগেই উদ্ধার লক্ষ লক্ষ টাকার জাল নোট! পুলিশের জালে চার
বড়ঞা ব্লকের বড়ঞা দু'নম্বর অঞ্চলের গ্রাম শালিকা গ্রামের বাসিন্দা এই সুশীলাবালা মন্ডল আজও এসেছেন ওই একই আশাতেই ব্লকে। তবে সরকারী দফতরে ঘুরে ঘুরে তার এখন একটাই দাবি, যাতে করে সরকারী নূন্যতম যে পরিষেবা আছে তা যেন দেওয়া হয়। তবে কবে এই পরিষেবা পাবেন বা আদৌ পাবেন কিনা তা জানেন না তিনিও। তবে সমস্যার সমাধান হোক চাইছেন তার ছেলে ও ৯৩ বছরের বৃদ্ধা সুশিলাবালা দেবীও।
কৌশিক অধিকারী
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।