#মালদহ : গাছ তলায় চলছে ক্লাস, নেই স্কুল ভবন। গ্রামের এক কৃষকের বাড়ির উঠান ও নির্মীয়মান বাড়িতে দীর্ঘদিন ধরেই স্কুল বসার খবর প্রকাশ হতেই স্কুল ভবন তৈরিতে তোড়জোড় জেলা প্রশাসনের। মালদা জেলা প্রশাসনের একাধিক কর্তা আধিকারিক ইতিমধ্যে নতুন স্কুল ভবন তৈরির জন্য জায়গা পরিদর্শন করেছেন। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে স্কুলের নামে নতুন জমি দিচ্ছে প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা শাসক সহ ব্লক ও শিক্ষা দফতরের কর্তা আধিকারিকেরা স্কুলটি পরিদর্শনে যান। কী কারনে স্কুল ভবন তৈরি হয়নি, কোথায় কি সমস্যা রয়েছে সমস্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখেন। সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে স্কুলের নামে জমি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মালদহের গাজোল থানার আদিনা জামতলা গ্রামে ২০১২ সালে নতুন একটি প্রাইমারি স্কুল অনুমোদিত পায়। গ্রামের একটি সরকারি খাস জমিতে স্কুল ভবন তৈরির পরিকল্পনায় প্রশাসন। ২০১৪ সালে একজন শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয় স্কুলে। শুরু হয় প্রাথমিক স্কুলের পঠন-পাঠন। প্রস্তাবিত স্কুল তৈরির জায়গাটি গ্রামের এক বাসিন্দার দখলে রয়েছে।
প্রথমদিকে রাজি থাকলেও পরে তিনি জমিটি ছাড়তে রাজি হননি। আইনি পথে হাটে স্কুল কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন অবস্থায় রয়েছে বিষয়টি। স্কুল তৈরির টাকা বরাদ্দ করার পর কাজ শুরু না হওয়ায় টাকাও ঘুরে চলে গিয়েছে। বর্তমান স্কুলের তিনজন শিক্ষক শিক্ষিকা। স্কুল ভবন নির্মাণের দাবিতে বহুবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। অবশেষে সংবাদমাধ্যমে খবর প্রকাশের পর নড়েচড়ে বসল মালদহ জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুনঃ আধুনিক মেশিনে কাটা হবে রেশম সুতো, দ্রুত চালু হচ্ছে সিল্ক পার্কমালদা জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নতুন করে ওই গ্রামেই সরকারি খাস জমিতে স্কুল ভবন তৈরি করা হবে। জেলা প্রশাসনের কর্তারা আগের জমির পাশে প্রায় ২১ শতক জায়গা চিহ্নিত করেছে স্কুল ভবন তৈরির জন্য। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে ব্লক ও জেলা প্রশাসনের মধ্যে একটি বৈঠক রয়েছে। এই বৈঠকেই জেলা প্রশাসনের কর্তারা স্কুলের নামে জমি করে দিয়ে জেলা শিক্ষা দফতরের হাতে নথিপত্র তুলে দেবেন। স্কুলের নামে জমি হয়ে গেলে স্কুল শিক্ষা দফতর থেকে ভবন নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ করবে।
আরও পড়ুনঃ আবারও শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ! এবার মালদহের মাদ্রাসায়তারপরেই সেখানে তৈরি হবে নতুন স্কুলের ভবন। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আমতলা প্রাথমিক স্কুলের ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যাবে এমনটাই দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। যদিও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোন মন্তব্য করতে এখনো রাজি হননি জেলা প্রশাসনের কর্তা আধিকারিকেরা। তবে দ্রুত কাজ চলছে এমনটাই জানিয়েছেন জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক।
Harashit Singhaনিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Malda