Malda News: কালি পুজোর পরের দিন শূকর বধের বিশেষ অনুষ্ঠান মালদহের যাদব সম্প্রদায়ের মানুষের
Last Updated:
পূর্ব পুরুষদের রীতি মেনে কালি পুজোর পরের দিন বিকেলে গরু মহিষের পুজো করা হয়। তারপর অশুভ শক্তির বিনাস ঘটাতে শুরু হয় বিশেষ রীতির৷
#মালদহ: কালি পুজোর পরের দিন শূকর বধ অনুষ্ঠানে মাতলেন মালদহের যাদব সম্প্রদায়ের মানুষেরা। পূর্ব পুরুষদের রীতি মেনে কালী পুজোর পরের দিন বিকেলে গরু মহিষের পুজো করা হয়। তারপর অশুভ শক্তির বিনাস ঘটাতে গরু দিয়ে একটি শূকর বধ হয়। মঙ্গলবার বিকেলে মালদহের একাধিক প্রান্তে যাদব সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই খেলায় তাঁদের গরু মহিষ নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এই খেলায় গরু ও মহিষ শিং দিয়ে গুতিয়ে শূকর বধ করে।
মালদহের হবিবপুর ব্লকের অনন্তপুর ও ইংরেজবাজার ব্লকের মহদীপুরের শতাধিক যাদব সম্প্রদায়ের মানুষজন এই খেলায় নিজের গবাদিপশু নিয়ে অংশ গ্রহণ করেন। এই খেলা দেখতে বহু মানুষ ভিড় করেন। শূকর বধের পর নিজেদের মধ্যে লাঠি খেলায় অংশগ্রহণ করেন সকলে। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই লাঠি খেলার প্রতিযোগিতা।
আরও পড়ুন Rishi Sunak: ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক Infosys প্রতিষ্ঠাতা নারায়ণ মূর্তির জামাই, জানুন তাঁর আরও ইতিহাস
এই গাই পাহুর বা শূকর বধ প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে এমনটায় দাবি বর্তমান প্রজন্মের। তাঁদের কথায় শ্রীকৃষ্ণ এই খেলার সূচনা করে ছিলেন। তারপর থেকেই যাদব সম্প্রদায়ের মধ্যে এই খেলার সূচনা হয়। মূলত অশুভ শক্তির বিনাস ঘটাতেই এই খেলার আয়োজন হয়ে থাকে। তবে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে এই খেলা। এখন জেলার গুটি কয়েক গ্রামে দেখা যায়।
advertisement
advertisement
এক সময় এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সমাজের সর্দার তৈরি হতেন। অর্থাৎ যাঁর গরু শূকর বধ করবে তিনি হবেন জয়ী। পাশাপাশি তাকেই যাদব সমাজের সর্দার করা হত। তবে এখন এর রীতি আর নেই। তবে এখন যাঁর গরু জয়ী হয় তিনি সবাইকে মিষ্টি খাওয়ান। রীতি মেনে কালীপুজো উপলক্ষে পুজোর পরের দিন এই অনুষ্ঠান ঘিরে ব্যাপক উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। খেলা শুরু হওয়ার আগে নিজেদের গবাদিপশুকে রীতি-রেওয়াজ মেনে ফুল, কলা এবং সিঁদুর দিয়ে। তারপর হয় খেলা। এখন প্রাচীন এই রীতি বহাল রয়েছে মালদহ জেলার বিভিন্ন প্রান্তে।
advertisement
হরষিত সিংহ
view commentsLocation :
First Published :
October 26, 2022 2:57 PM IST