Bengal News| Paschim Midnapore: সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার !
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
Bengal News| Paschim Midnapore: এদিকে, বছর ৪৭ এর এসআই (SI) সঞ্জয় চৌধুরী'র আত্মহত্যার পিছনে কি কারণ রয়েছে, তা এখনই পরিষ্কার নয়!
#পশ্চিম মেদিনীপুর: শনিবার সাত সকালেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানায় কর্মরত সাব ইন্সপেক্টর (SI) সঞ্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে! কেশপুর গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করার পর, ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। প্রাথমিক ভাবে 'আত্মহত্যা' বলেই মনে করছেন পুলিশ আধিকারিকরা। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে হয়ত বিস্তারিত জানা যাবে। তবে, তাঁর স্ত্রী দীপশিখা চৌধুরী ক্যামেরার সামনে স্পষ্ট অভিযোগ জানিয়েছেন, আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়া হয়েছে! একধাপ এগিয়ে শ্যালক রকি পাল অভিযোগ করেছেন, "জামাইবাবু কখনোই এই কাজ করতে পারেন না! ওনাকে খুন করা হয়েছে।"
এদিকে, মেদিনীপুর শহরের কুইকোটার বাসিন্দা পুলিশ কর্মী সঞ্জয় চৌধুরীর এইভাবে মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না তাঁর এলাকার মানুষ। তাঁদের কথায়, এত শান্ত, ভদ্র, ধীরস্থির ও মিশুকে মানুষ কিছুতেই এ কাজ করতে পারেন না! এলাকার এক যুবক এই খবরে শোকস্তব্ধ হয়ে সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, "আমার পাড়ায় বাড়ি সঞ্জয় চৌধুরীর। আমরা সঞ্জু মামা বলেই ছোটো থেকে ডাকি। কত খেলেছি জাম বাগানে। কত গল্প। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। সকাল থেকে পাড়া পুরো স্তব্ধ। কেউ এটা বিশ্বাস করতেই পারছে না। আমিও না!"
advertisement
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেশপুর থানায় কর্মরত সঞ্জয় চৌধুরী শনিবার সকালে থানার ব্যারাকে নিজের রুমে ঢুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলে অভিযোগ। কেশপুর থানায় তিনি সাব ইন্সপেক্টরের দায়িত্বে ছিলেন। আজ সকালে পরিচারিকা ঘর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে দেখেন সঞ্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত দেহ! খবর পেয়ে কেশপুর থানার পুলিশ দেহ উদ্ধার করে কেশপুর হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন! মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁর দেহ পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য।
advertisement
advertisement
এদিকে, বছর ৪৭ এর এসআই (SI) সঞ্জয় চৌধুরী'র আত্মহত্যার পিছনে কি কারণ রয়েছে, তা এখনই পরিষ্কার নয়! শনিবার তাঁর অন্য সহকর্মীরা ডিউটিতে চলে যাওয়ার পর তিনি আত্মহত্যা করেন বলে জানা গেছে। মেদিনীপুর শহরের কুইকোটাতে তাঁর বাড়ি। তবে, স্ত্রী ও একমাত্র ছেলে (দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র) থাকত বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরের কোয়ার্টারে। সম্প্রতি, তিন-চার মাস আগে বিষ্ণুপুর থানা থেকে তিনি বদলি হয়ে এসেছিলেন কেশপুর থানায়। সঞ্জয়ের শ্বশুরবাড়ি মেদিনীপুর শহরের গোলাপীচকে। ঘটনার কথা শুনে পরিবারের ও শ্বশুরবাড়ির সদস্যরা শোকে মুহ্যমান! তাঁর স্ত্রী দীপশিখা চৌধুরী ক্যামেরার সামনে বিষ্ণুপুরের এক পুলিশ কর্মী'র বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ তুললেও, শনিবার বিকেল পর্যন্ত FIR করেননি! তবে, জেনারেল ডায়েরি হয়েছে। আত্মহত্যার কারণ তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
advertisement
Partha Mukherjee
view commentsLocation :
First Published :
September 04, 2021 9:28 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Bengal News| Paschim Midnapore: সাব ইন্সপেক্টর সঞ্জয় চৌধুরীর ঝুলন্ত মৃত দেহ উদ্ধার !