Travel | Bengal News: ঠিক যেন জয়চন্ডী পাহাড়ের যমজ ! পুজোতে ঘুরে আসুন ভান্ডার পাহাড় থেকে

Last Updated:

Travel | Bengal News: জয়চন্ডী পাহাড় থেকে ভান্ডার পাহাড়ের দূরত্বও খুব বেশি নয়। প্রথম ঝলকে ভান্ডার পাহাড়কে আপনার জয়চন্ডীর যমজ বলেই মনে হবে।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ভান্ডার পাহাড়ের হিলটপ ভিউ।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা ভান্ডার পাহাড়ের হিলটপ ভিউ।
#পশ্চিম বর্ধমান:  একদিনের মধ্যে ছোটখাটো পাহাড়ে ঘুরে আসতে চান? তার সন্ধান পাবেন পশ্চিম বর্ধমানে (paschim bardhaman)। আসানসোল (Asansol)  বা দুর্গাপুর (Durgapur) থেকে অল্প দূরত্বের মধ্যেই রয়েছে ভান্ডার পাহাড়।
এই পাহাড়কে পশ্চিম বর্ধমানের জয়চন্ডী (Jaychandi hill) বললেও ভুল হবে না। জয়চন্ডী পাহাড় থেকে ভান্ডার পাহাড়ের দূরত্বও খুব বেশি নয়। প্রথম ঝলকে ভান্ডার (Bhandar Hill) পাহাড়কে আপনার জয়চন্ডীর যমজ বলেই মনে হবে।
হাতের কাছে যারা পাহাড় খোঁজেন, তারা গন্তব্য হিসেবে প্রথমেই বেছে নেন পুরুলিয়াকে (Travel)। ছোটনাগপুর মালভূমির উপর অবস্থিত এই জেলায়, ছোটখাটো পাহাড়ের অভাব নেই। পুরুলিয়ার পরিচিত পাহাড়গুলির মধ্যে অন্যতম জয়চন্ডী পাহাড়। সত্যজিৎ রায়ের 'হীরক রাজার দেশ' ছিল এখানেই। শ্যুটিং হয়েছিল এই পাহাড়েই।
advertisement
advertisement
যদি পুরুলিয়া মোটামুটি ভাবে আপনার ঘোরা হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে পুজোর ছুটিতে একটা দিন ঘুরে আসতে পারেন ভান্ডার পাহাড়(Travel) থেকে। ৩০০ সিঁড়ি ভেঙ্গে পাহাড়ের মাথায় উঠলেই, আপনার চোখে ধরা দেবে মনমুগ্ধকর দৃশ্য। পাহাড় থেকে অনতিদূরে স্থায়ী দামোদর। অন্যপাশে খনি শহর আসানসোল। আর ছোটখাটো বহু সবুজ পাহাড়ের ভিড়। সব মিলিয়ে ভান্ডার পাহাড়ের হিলটপ ভিউ মোহিত করে দেবে আপনাকে।
advertisement
পাহাড়ের মাথায় রয়েছে একটি শিব মন্দির(Travel)। এক সাধক তাঁর অমরনাথ যাত্রা সফল হওয়ার পর, স্মৃতির উদ্দেশ্যে এই শিব মন্দিরটি নির্মাণ করেন। শিবমন্দিরে নিত্য পুজো হয়। বর্তমানে সেবাইত যিনি রয়েছেন, তিনি প্রতিদিন ৩০০ সিঁড়ি ভেঙ্গে ওপরে ওঠেন সকালবেলা। পুজোর পরে, দুপুরের খাওয়াদাওয়া সারেন ওখানেই। তারপর সন্ধ্যারতি সেরে  নিচে নামেন।
আপনি যদি সকাল-সকাল ভান্ডার(Travel) পাহাড়ের মাথায় পৌঁছে যেতে পারেন, তাহলে পাহাড়ের মাথায় একাকী শিব মন্দিরের পুজো দেখার সৌভাগ্য হবে। আপনার পাহাড়ের মাথা থেকে, দামোদরের কোলে সূর্যাস্ত আপনার মনের মনিকোঠায় থেকে যাবে অনেকদিন।
advertisement
বর্ষার পরে ঘন সবুজ পাহাড়(Travel), সুদূর বৃস্তিত প্রকৃতির সৌন্দর্য, আর নিরিবিলিতে সময় কাটানোর সুযোগ দেবে এই জায়গা।আসানসোল শহরের শেষ প্রান্তে অবস্থিত এই ভান্ডার পাহাড়, শহরের গুপ্তধন বললে ভুল হবে না। কারণ পর্যটক মহলে এখনও বিশেষ পরিচিতি পায়নি ভান্ডার পাহাড়। এলাকা বেশ ফাঁকা। সব মিলিয়ে পুজোর সময় একটা ছুটির দিন কাটানোর জন্য আদর্শ জায়গায় ভান্ডার পাহাড়।
advertisement
আপনি যদি পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দা হন, তাহলে খুব সহজেই ঘুরে আসতে পারেন ভান্ডার পাহাড় থেকে। আসানসোল থেকে গাড়িতে ৪৫ মিনিটের জার্নি করলেই আপনি ভান্ডার পাহাড় পৌঁছে যাবেন।
আসানসোল থেকে ভান্ডার পাহাড়ের দূরত্ব ২৩ কিলোমিটার. দুর্গাপুর থেকে ভান্ডার পাহাড় যেতে এক ঘন্টার একটু বেশি সময় লাগে। দুর্গাপুর থেকে ভান্ডার পাহাড়ের দূরত্ব ৬১ কিলোমিটার।
advertisement
কলকাতা থেকে আপনি ভান্ডার পাহাড় ঘুরে যেতে পারে। হাওড়া স্টেশন থেকে আসানসোল স্টেশনে এসে, আপনাকে টাক্সি অথবা গাড়ি নিয়ে পৌঁছতে হবে ভান্ডার পাহাড়ে(Travel)। কলকাতা থেকে ভান্ডার পাহাড়ের দূরত্ব ২৩২ কিলোমিটার। তাই পুজোর সময় একদিন ছুটি কাটানোর জন্য, দেখে আসতে পারেন জয়চন্ডী পাহাড় এর যমজকে।
Nayan Ghosh
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Travel | Bengal News: ঠিক যেন জয়চন্ডী পাহাড়ের যমজ ! পুজোতে ঘুরে আসুন ভান্ডার পাহাড় থেকে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement