'ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ' সঙ্কটে মহাকুমা হাসপাতাল

Last Updated:

মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দিয়েই চালানো হচ্ছে ময়না তদন্তের কাজ।

দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে নেই কোনও অটোপসি সার্জেন। অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের জন্য ভরসা আসানসোল জেলা হাসপাতাল। সাধারণ ক্ষেত্রে, মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের দিয়েই চালানো হচ্ছে ময়না তদন্তের কাজ। তবে কোনও অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায়, কেসের ক্ষেত্রে জটিলতা বাড়লে, প্রয়োজন পড়ে নিখুঁত ময়নাতদন্তের। প্রয়োজন হয় ময়নাতদন্তের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের রিপোর্ট। তার জন্য ভরসা সেই আসানসোল জেলা হাসপাতাল।রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মামলা সঠিক পথে চালানোর জন্য, কেসের  ইনভেস্টিগেশন অফিসারকে জমা দিতে হয় পোস্টমর্টেম রিপোর্ট। দুর্গাপুর আদালতে এই ধরনের কোন মামলার চালানোর জন্য ভরসা করতে হয় জেলা হাসপাতালে ওপর। ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ না থাকার জন্য অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়, তা মেনে নিয়েছেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ধীমান মণ্ডল।তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই প্রশাসনের তরফ থেকে এ বিষয়ে পদক্ষেপ করা হবে।দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে অটোপসি সার্জেন না থাকার জন্য সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় মৃতের পরিবার-পরিজনকে। কারণ মহকুমা হাসপাতালের অন্য দুই চিকিৎসক কোনওক্রমে ময়নাতদন্ত করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছেন। তবে তাদের নিজেদের রোগী দেখা সেরে তারপর ময়নাতদন্ত করতে সময় লেগে যায় অনেকটা। ফলে অপেক্ষার প্রহর লম্বা হয়, রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের। কখনও কখনও মহাকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত সম্ভব না হলে, মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়া হয় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। ফলে মৃতের পরিবারের লোকজন চরম সমস্যার সম্মুখীন হন।এ বিষয়ে দুর্গাপুর আদালতের সরকারি পক্ষের আইনজীবী দেবব্রত সাঁই জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে দেরি হলে মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে দেরি হয়। সাধারণ রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে, মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসকদের রিপোর্টের ভিত্তিতে কাজ চালানো যায়। তবে জটিল রহস্যজনক মৃত্যুর ক্ষেত্রে মামলা এগিয়ে নিয়ে যেতে নিখুঁত ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর প্রয়োজন হয়। সেক্ষেত্রে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেতে দেরি হলে, আইনি কাজে বিলম্ব হয়। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে একজন ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকলে, সেই কাজ গতি পাবে বলেও মত প্রকাশ করেছেন তিনি।এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেছেন, অনেক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে ভিসেরা সংরক্ষণ করতে হয়। ভিসেরা সংরক্ষন করে, তার রিপোর্ট পেতে, ভরসা করতে হয় ফরেনসিক ল্যাবের ওপর। যা এই মুহূর্তে পশ্চিমবঙ্গে একটি রয়েছে। ফলে সেই রিপোর্ট পেতে সময় লাগে আরও বেশ কিছুটা। তাই প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট যদি তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়, তাহলে ভিসেরা সংরক্ষণের রিপোর্ট পেতেও সময় কিছুটা কম লাগবে।যদিও অটোপসি সার্জন নিয়ে আশ্বাস দিয়েছেন দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে সুপার ধীমান মণ্ডল। তার আশ্বাসেই ভরসা করছেন দুর্গাপুরের মানুষ। আশা করছেন, ময়নাতদন্তের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এলে, অস্বাভাবিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে তাদের পরিবারের মানুষকে যে সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেখান থেকে রেহাই মিলবে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
'ময়নাতদন্ত বিশেষজ্ঞ' সঙ্কটে মহাকুমা হাসপাতাল
Next Article
advertisement
Rhino rescue: বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
বিপর্যয়ের সময় ভেসে গিয়েছিল তারা, অবশেষে ঘরে ফিরল ১০ গন্ডার! সফল 'অপারেশন রাইনো'
  • ১৩ দিনের অপারেশন রাইনোতে ১০টি গন্ডার উদ্ধার করেছেন বনকর্মীরা

  • বিপর্যয়ের সময় জলদাপাড়া থেকে ভেসে গিয়েছিল বেশ কয়েকটি গন্ডার

  • অক্লান্ত পরিশ্রমের পর বনকর্মীরা গন্ডারগুলোকে জঙ্গলে ফেরাতে সক্ষম হন

VIEW MORE
advertisement
advertisement