Kali Puja 2021|| কলেরা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে শুরু হয়েছিল ভট্টাচার্য্য বাড়ির কালীপুজো
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Bangla News: কেশপুর ব্লকের ১৩ নং অঞ্চলের ধলহারা গ্রামের ভট্টাচার্য বাড়ীর পূজো আজও আশেপাশের একাধিক গ্রামের মানুষের কাছে ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে।
#খড়গপুর: কলেরা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে ১৬৯ বছর আগে ভট্টাচার্য্য পরিবারের কালি পূজো আজও পূজিতা হোন প্রাচীণ রীতিনীতি মেনেই। কেশপুর ব্লকের ১৩ নং অঞ্চলের ধলহারা গ্রামের ভট্টাচার্য বাড়ীর পূজো আজও আশেপাশের একাধিক গ্রামের মানুষের কাছে ঐতিহ্য বজায় রেখে চলেছে। ১৮৫২ সালে এই পূজোর সূচনা করেছিলেন তৎকালীন ভট্টাচার্য পরিবারের কর্তা মুচিরাম ভট্টাচার্য্য।
কথিত আছে, সেই গোটা গ্রাম জুড়ে দেখা দিয়েছিল কলেরা নামক মহামারী। আর সেই মহামারী থেকে মুক্তি পেতে এই পূজো করার স্বপ্নাদেশ পেয়েছিলেন তিনি। বিজয়া দশমীর উইঢিপির মাটি খুঁড়ে আনা হয়, আর সেই উইমাটি দিয়ে শুরু হয় প্রতিমা গড়ার কাজ। এখনও পূজোর শেষে ভোরে পাখির ডাকের পর হয় পাঁঠা বলি। প্রতি বছর প্রায় ৩০/৪০ টি পাঁঠা বলি হয় এই পূজোয়। দক্ষিণা কালি রুপে পূজিতা হোন মা। পঞ্চমুন্ডি আসনেই পূজো হয় মায়ের।
advertisement
বর্তমান পূজো উদ্যোক্তাদের অন্যতম এক সদস্য বলেন, পূজোর পরের দিনেই দিতে হয় মায়ের বিসর্জন। ঠাকুর থেকে গেলে বিপদ অনিবার্য। পূজোর পরের দিন এক হাজারেরও বেশী মানুষ মায়ের অন্নভোগ গ্রহন করেন। পূজোকে ঘিরে আতশবাজি প্রদর্শনীর চল থাকলেও এখন সরকারি নিষেধাজ্ঞা মেনে তা বন্ধ রাখা হয়েছে।
advertisement
কথিত আছে, শতাধিক বছর আগে ধলহারা গ্রামের এই ভট্টাচার্য্য বাড়িতে রাতের অন্ধকারে ডাকাত দল এসেছিল ডাকাতি করতে, কিন্তু ডাকাতি না করে পালাতে হয়েছিল তাদের। পরে তারাই এসে বাড়িতে ক্ষমা চেয়ে বলেছিল, রাতে চুল খোলা অবস্থায় খড়্গ হাতে একজন মহিলা তাদের তাড়া করেছিলো। এসব ঘটনার পরে পরেই ভট্টাচার্য পরিবারের এই দক্ষিণা কালি মাকে জাগ্রত বলে মনে করেন আশেপাশের একাধিক গ্রামের মানুষ। তবে এবারও কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পূজো করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।
Location :
First Published :
November 03, 2021 11:36 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
Kali Puja 2021|| কলেরা মহামারী থেকে মুক্তি পেতে শুরু হয়েছিল ভট্টাচার্য্য বাড়ির কালীপুজো