করোনা কালে কমেছে কাঁকড়ার দাম, মাথায় হাত সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
ভোজন রসিকদের চাহিদা কম, ফলে করোনা কালে কমছে কাঁকড়ার দাম, মাথায় হাত সুন্দরবনের মৎস্যজীবীদের
রুদ্র নারায়ন রায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: জঙ্গলজীবি মানুষদের (fishermen) পেট চালাতে নির্ভর করতে হয় জঙ্গল কিংবা খারীর উপর। জঙ্গলের কাঠ, মধু ও খারীর মাছ, কাঁকড়া সংগ্রহ করে বিক্রি করেই চলে সংসার। বেঁচে থাকার লড়াই এখানে খুব শক্ত। পরিবারের কোন সদস্য উপার্জনের আশায় জঙ্গলে প্রবেশ করলে, পরিজনেরা জানে না সে সশরীরে ফিরে আসতে পারবেন কিনা। তবু আতঙ্ক কে উপেক্ষা করেই ছোট ছোট দলে প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মাছ ও কাঁকড়া সন্ধানে যান হিঙ্গলগঞ্জ কালীবাড়ি, সামশেরনগর সহ বেশকিছু গ্রামের মানুষেরা।
সুন্দরবনের (Sundarban) ভেতরে ঢুকে হিংস্র বাঘ, কুমির, সাপের মুখ থেকে জীবনের বাজি রেখে কাঁকড়া সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। সংগ্রহ করা এই কাঁকড়া বাজারে বিক্রি (Crab price) করেই তাদের সংসার চলে। ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকায় করে চার-পাঁচ জনের একটি দল প্রায় এক মাসের খাবার নিয়ে বনের ভেতরে গিয়ে, কাঁকড়া সংগ্রহ করে নিয়ে আসেন। গত কয়েক বছর ধরে করোনা মহামারীতে লকডাউন এর কারণে, কাঁকড়ার দাম কমে যাওয়ায় মাথায় হাত পড়েছে এই সমস্ত এলাকার প্রায় ৩০০ জন মৎস্য জীবির (fishermen)। করোনার জন্য ভারত থেকে চীন, নেপাল ও অন্যান্য দেশে কাঁকড়া রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। দেশের মধ্যে যে সমস্ত হোটেল বা রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেগুলিও আগের মত চালু নেই। সতর্কতার কারণে বহু মানুষ খাওয়ার তালিকা থেকে সরিয়ে রাখছেন কাঁকড়াকে। ফলে বাজারে চাহিদা অনেকটাই কমে গিয়েছে। কষ্ট করে ধরে নিয়ে আসা কাঁকড়ার দাম পাওয়া যাচ্ছে না বিক্রি করে। আগে প্রতি কেজি কাঁকড়া (crab price per KG) ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা করে বিক্রি হতো। সেই কাঁকড়ার দাম এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
advertisement
এতটা মন্দা বাজার হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন এই প্রত্যান্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা। এই কাঁকড়া ধরা ছেড়ে তারা যে অন্যান্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হবেন, তাও হতে পারছেন না। করোনাকালে (coronavirus pandamic) অন্যান্য কাজও প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। কি করে চলবে সংসার, বাড়ির বউ বাচ্চাদের মুখে কিভাবে অন্ন জোগাবেন তার! চিন্তায় দিশেহারা এই প্রত্যন্ত সুন্দরবন অঞ্চলের মৎস্যজীবীরা।
advertisement
Location :
First Published :
August 28, 2021 12:22 PM IST