মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের সূচনা শিলিগুড়িতে

Last Updated:

কোভিডবিধি মেনেই আয়োজন হবে। রথযাত্রার অনুমতি পেলেও খুব অল্পসংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে জানান কর্মকর্তারা।

 #শিলিগুড়ি: ৯ আষাঢ় অর্থাৎ বৃহস্পতিবার দেবস্নানা পূর্ণিমা। এই তিথিতেই পালিত হয় মহাপ্রভু জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা উৎসব। এই স্নানযাত্রা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের খুবই পবিত্র উৎসব। স্নানযাত্রা উপলক্ষে জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা এবং মদনমোহনের বিগ্রহ শোভাযাত্রা সহকারে গর্ভগৃহ থেকে স্নানবেদীতে আনা হয়। স্নানযাত্রার দিন কূপের জল মন্ত্র দ্বারা শুদ্ধ করে ১০৮ কলস জলে বিগ্রহ স্নান করানো হয়। স্নানপর্বের পর গজবেশে সাজানো হয়। এই উৎসবকালে মহাপ্রভু জগন্নাথদেবের দর্শন করলে সব পাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় বলে মান্যতা রয়েছে। স্নানযাত্রার পর শুরু হয় অনবসর। এই অনবসরকালে জগন্নাথদেব অসুস্থতার কারণে ভক্তগণের অন্তরালে গোপন স্থানে চিকিৎসাধীন থাকেন।
প্রথিত রয়েছে, এদিন মহাপ্রভুর জন্মতিথি। পুরীর মন্দির প্রতিষ্ঠার পর মহারাজ ইন্দ্রদ্যুম্ন এই অনুষ্ঠানের প্রচলন করেন। এদিন ২৪ জুন, ৯ আষাঢ়, বৃহস্পতিবার দেবস্নানা পূর্ণিমা, স্নানযাত্রা।
শিলিগুড়ির ইস্কন মন্দিরের কর্মকর্তা নামকৃষ্ণ দাস বলেন, ‘বিকেল চারটে থেকে এই স্নানযাত্রা শুরু হয়। সেখানে সবাই উপস্থিত থাকবেন। তবে কোভিডবিধি অবলম্বন করেই এই যাত্রা সম্পন্ন করা হয়’। নিভৃতবাসের কারণ জিজ্ঞেস করা হলে তিনি বলেন, ‘এই পুজোয় মন্দিরে ঠাকুরের দেখাশোনা, সেবা করা থেকে তাদের পরিস্কার করা, সবটাই করতে হবে স্থানীয় কাউকে। তাই এই ১৫ দিনের নিভৃতবাস। আজ থেকে এই ১৫ দিন তাঁদের পুজো নেবেন ঠাকুর’। গজবেশে সাজানো হবে তিন ভাইবোনকে বলে জানান নামকৃষ্ণবাবু।
advertisement
advertisement
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও বিশেষ পূর্ণিমা তিথিতে এই স্নান যাত্রা হয়। স্নানমঞ্চে নিয়ে আসার সময় তালপাতা এবং চামর দিয়ে তিন দেবদেবীকে বাতাস করা হয়। লোককথায়, স্নানযাত্রার পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। সেই জ্বর সারাতে নানা ধরণের মিষ্টান্ন ভোগ দেওয়া হয়।
তবে প্রস্তুতি জোরকদমে হলেও প্রশাসন ও সরকার থেকে তেমন কোনও নির্দেশিকা আসেনি মন্দির কমিটির হাতে। কোভিডবিধি মেনেই আয়োজন হবে। রথযাত্রার অনুমতি পেলেও খুব অল্পসংখ্যক মানুষ উপস্থিত থাকবেন বলে জানান কর্মকর্তারা। আগের বছরও অতিমারি পরিস্থিতিতে খুব একটা ধুমধাম করে রথযাত্রা হয়নি। এবারও একই নিয়ম বহাল থাকবে।
advertisement
ইস্কন মন্দিরের পাশে বসবাসকারী মালা গোস্বামী জানান, গত বছরও একইভাবে যাত্রা হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সংক্রমণ কমুক। তাই সরকার যা নির্দেশিকা দেবেন তাই মেনে চলব আমরা’।
ইস্কন মন্দিরের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা জানান, প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা আসার পরই পুজোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনুমতি পেলেও ইস্কন রোডের আশেপাশে পরিক্রমা করা হবে। স্বল্প দূরত্ব অতিক্রম কর হবে। এর ফলে, সংক্রমণের খুব একটা ভয় থাকবে না।
advertisement
ভাস্কর চক্রবর্তী
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
মহাপ্রভুর স্নানযাত্রা দিয়ে রথযাত্রা উৎসবের সূচনা শিলিগুড়িতে
Next Article
advertisement
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! তারপরেই, এই এলাকার পুজোর থিম দেখলে অবাক হবেন!
পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় ক্লাব এর সদস্যর এক আত্মীয়র! অন্যরকম থিম এই এলাকায়
VIEW MORE
advertisement
advertisement