#তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তমলুক, নন্দকুমার, মহিষাদল ও হলদিয়ায় রূপনারায়ণ ও হলদি নদীতে প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বর্ষার সময় তোলা হচ্ছে বালি। অভিযোগ খতিয়ে দেখে পড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিল পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসনের তরফে নির্দেশিকা জারি হয়েছে মাসখানেক আগে। কিন্তু অমান্য করেই বলি খাদানের মালিকেরা হলদিয়া মহকুমা একাধিক জায়গায় হলদি ও রূপনারায়নের চর এবং পাড় থেকে দেদার বালি তােলা হচ্ছিল বলে অভিযােগ। তা বন্ধে জেলাশাসকের নির্দেশে মহিষাদল এবং সুতাহাটা ও হলদিয়া উন্নয়ন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিকের বালি খাদানগুলিতে হাজির হয়।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশিকায় জানানাে হয়েছিল ১৫ জুলাই থেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত নদী থেকে সাদা বালি তােলা যাবে না। নির্দেশ না মানলে তৎক্ষনাৎ আইনি পদক্ষেপ করা হবে। তবে নির্দেশ অমান্য করেই হলদিয়া ব্লকে চারটি এবং মহিষাদল ব্লকে দুটি খাদানে বালি তোলার কাজ হচ্ছিল বলে অভিযােগ। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক সংশ্লিষ্ট ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের খাদান গুলিতে কাজ বন্ধের নির্দেশ দেন। সেই মতাে ব্লক আধিকারিক গিয়ে ঐ খাদান মালিকদের সাবধান করেছেন। এর পরেও কাজ চালিয়ে গেলে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
কিন্তু এরপরও খাদানগুলিতে বন্ধ রাখা হয়নি। এক বালি ব্যবসায়ী সৌরভ রায় জানায় জেলাশাসকের নির্দেশিকা আমাদের কাছে ছিল না। তাই বালি তোলার কাজ হচ্ছিল। নির্দেশিকা পেয়েছি তাই খাদানে বালি তোলার কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্ষায় এভাবে নদী থেকে বালি তােলা উচিত নয় বলে মনে করাচ্ছেন পরিবেশবিদরা। তাদের মতে, বর্ষাকালে নদীর জলস্তর অনেকটা বেড়ে যায়। এই সময়ে নদী থেকে বালি তােলা হলে তা থেকে তৈরি গর্তে নদীর গতিপথের পরিবর্তন ঘটতে পারে। যা বাস্তুতন্ত্রে প্রভাব ফেলে।
জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজী জানান, বর্ষাকালে এভাবে বালি তােলা যায় না। বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। তাও কয়েকজন বালি খাদান মালিকেরা হলদি নদী এবং রূপনারায়ণ থেকে বালি তুলছিলেন। তাদের সতর্ক করা হয়েছে। এর পরেও না শুনলে সংশ্লিষ্ট বালি খাদান মালিকদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
Saikat Shee
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Haldia, Mahisadal, Nandakumar, Purba medinipur, Tamluk