Bengal News: পকসো আইন নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজিত পূর্ব মেদিনীপুরে
- Published by:Pooja Basu
Last Updated:
শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে কেন্দ্র সরকার ২০১২ সালে চালু করে প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইন।
তমলুক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের পক্ষ থেকে জেলাশাসকের কনফারেন্স হলে পকসো (POCSO) আইন এবং অন্যান্য শিশু সম্পর্কিত আইন নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন প্রতিরোধ করতে কেন্দ্র সরকার ২০১২ সালে চালু করে প্রিভেনশন অফ চিলড্রেন ফ্রম সেক্সুয়াল অফেনসেস বা পকসো আইন। পরে ২০১৮ কেন্দ্রীয় আইনসভা পসকো আইনে পরিবর্তন আনে। শিশুদের যৌন নির্যাতনের (child abuse) নৃশংসতায় দোষীর মৃত্যুদণ্ড ও চাইল্ড পর্নোগ্রাফি রুখতে পকসো আইনের ৪, ৫ ও ৬ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়।
আরও পড়ুন Milk Free for Children: বিনামূল্যে মিলছে দুধ! গলসীর মিল্ক ব্যাঙ্ক হাসি ফোটাচ্ছে শিশুর মায়েদের মুখে
advertisement
জেলার শিশুদের উপর যৌন নির্যাতন (Child Abuse) রোধে ১৫ সেপ্টেম্বর বুধবার জেলাশাসক কার্যালয়ে পসকো আইন নিয়ে সচেতনতা শিবির আয়োজিত হয়। এই শিবিরে পূর্ব মেদিনীপুর (Bengal news) জেলার সব থানার সেকেন্ড অফিসার, স্পেশাল পি.পি, জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের আধিকারিক, এনজিও, শিশু কল্যাণ সমিতি ও জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সদস্য এবং জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিটের সকল আধিকারিকদের নিয়ে পসকো আইন নিয়ে আলোচনা হয়।
advertisement
এদিনের এই আলোচনা সভায় মূল বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্পেশাল জাজ, পসকো কোর্ট তমলুকের শ্রী লোকেশ পাঠক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার লিগাল সার্ভিস অথরিটি সেক্রেটারি শ্রী সুমন ঘোষ, প্রিন্সিপাল ম্যাজিস্ট্রেট, জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড, অর্পিত ভট্টাচার্য্য, স্পেশাল পি.পি. পূর্ব মেদিনীপুর উত্তর সখা বেরা, মেম্বার সেক্রেটারী জেলা শিশু সুরক্ষা ইউনিট এবং জেলা সমাজ কল্যাণ আধিকারিক শ্রী পূর্ণেন্দু পৌরাণিক, পূর্ব মেদিনীপুর জেলা শিশু কল্যাণ কমিটির চেয়ারপারসন ড. দিলীপ কুমার দাস, তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, অতীশ বিশ্বাস, ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পুলিশ ডি.ই.বি, পূর্ব মেদিনীপুর মাননীয় সুপ্রিয় বসু প্রমুখ।
advertisement
আরও পড়ুন Coronavirus| Bengal: উপসর্গহীন করোনা আক্রান্ত রোগী কারা? খোঁজার অভিনব উপায় বীরভূম জেলা প্রশাসনের
স্পেশাল জাজ পকসো, শ্রী লোকেশ পাঠক পকসো আইন নিয়ে বলেন, এই আইনটি একটি স্পেশাল আইন। এই আইনের উদ্দেশ্য একদিকে যেমন দোষীদের শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে সমাজের অপরাধীদেরকরা বিরত করতে হবে। অপরদিকে নির্যাতিত বা নির্যাতিতাকে সঠিক যত্ন ও সুরক্ষা প্রদান করতে হবে৷ তা করার জন্য প্রত্যেক স্টেক হোল্ডারদের আরও বেশি সেনসিটিভ হতে হবে এবং গাইডলাইন অনুসারে সঠিকভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার কথাও বলেন তিনি। এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তিনি পুলিশের ভূমিকা, ডাক্তারের ভূমিকা, শিশুকল্যাণ কমিটির ভূমিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
view commentsLocation :
First Published :
September 17, 2021 9:58 AM IST