নদী পাড়ের ভাঙন রুখতে বাঁশের খাঁচা ফেলে চলছে পাড় বাঁধার কাজ
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
নদী পাড়ের ভাঙন রুখতে বাঁশের খাঁচা ফেলে চলছে পাড় বাঁধার কাজ
বর্ষার কারণে মহিষাদলের দনিপুরে থমকে ছিল রূপনারায়ণ নদী পাড়ের ভাঙন রােধের কাজ। বৃষ্টি থামায় দ্রুত সেই কাজ শুরু করেছে সেচ দপ্তর। ভাঙন আটকানাের কাজ চলছে জোরকদমে। দনিপুরের কাছে রূপনারায়ণ নদের গভীরতা বেশি হওয়ায় জলস্রোত বেশি হয়। ফলাফলে বারবার ভেঙে যায় ঐ অংশের নদী পাড়। তাই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সেচ দপ্তর নদী পাড়ের ভাঙ্গন রুখতে পাড় বরাবর বাঁশের খাঁচা তৈরি করে ফেলা হচ্ছে।
বাঁশের খাঁচা বেঁধে ভাঙনের মুখে ফেলা হচ্ছে আগ্রাসী রূপনারায়ণকে আটকাতে । নদী বাঁধ বরাবর ১৮০ মিটার ক্ষয়ে যাওয়া অংশে, পাড় থেকে নদীর দিকে চারস্তরে ৩০ মিটার চওড়া বাঁশের খাঁচা দেওয়া হচ্ছে। প্রথম স্তরে নিচ থেকে চারটি, দ্বিতীয়স্তরে তিনটি, তৃতীয় স্তরে দুটি এবং চতুর্থ স্তরে একটি করে খাঁচা ফেলা হচ্ছে। নদীর স্রোত আটকাতে এবং পলি সঞ্চয়ের লক্ষ্যেই এমন পরিকল্পনা সেচ দপ্তরের।
advertisement
এই কাজের জন্য খরচ খরচ বরাদ্দ হয়েছে ৬০ লক্ষ টাকা। সেচ দপ্তরের পূর্ব মেদিনীপুর ডিভিশনের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অনির্বাণ ভট্টাচার্য বলেন, ‘ডিপ চ্যানেলের কারণে দনিপুরের ওই অংশে তীব্র স্রোত থাকে নদীর। যার ফলে নদীর ঐ অংশে সবসময় ভাঙন লেগেই থাকে। বাঁশের খাঁচা দেওয়ার ফলে নদীর স্রোত সরাসরি ধাক্কা দিতে পারবে না পাড়ে। এতে ভাঙন যেমন কমবে, তেমনি পলি সঞ্চয়ও হবে।'
advertisement
advertisement
বাঁশের খাঁচা ফেলার পাশাপাশি পাড়ের ক্ষয়ে যাওয়া অংশে বালির বস্তা দিয়ে ভরাট করার কাজ করছে সেচ দপ্তর। দনিপুরের এই অংশ বাঁধ বরাবর ডিপ চ্যানেল থাকার কারণে বেশ আগ্রাসী রূপনারায়ন। নদী ভাঙ্গনের সমস্যা এখানে দীর্ঘদিনের। বছরভরই লেগে থাকে ভাঙ্গন। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড় ইয়াস ও পূর্ণিমা কোটালের জোড়া ফলায় জলস্ফীতি কারণে নদীগ্রাসে যায় ১৮০ মিটার নদী বাঁধের অংশ। ক্রমেই চওড়া কম হয়ে আসছে নদী বাঁধের। ভরা বর্ষার আগেই দ্রুত নদী বাঁধের কাজ শেষ করতে চায় পূর্ব মেদিনীপুর জেলা সেচদপ্তর।
Location :
First Published :
July 07, 2021 9:33 PM IST