রাতুল ব্যানার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা: করোনা মহামারীর কারণে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল গোটা পৃথিবী। লকডাউন এর কারণে অকারনে বাইরে বেরোনো ছিল অপরাধের সমান। তবে করোনার গ্রাফ এখন যথেষ্টই নিম্নমুখী দেশ তথা পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে। কিছু ছাড় দিয়ে চলছে জনজীবন। তবে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। আর তাতেই ধৈর্য তথা মনের অভিব্যক্তি হারিয়ে ফেলছে শিশুরা। আর এই একঘেয়েমি ক্লান্তির ফলে শিশুমন আসক্ত হচ্ছে মোবাইলে। কিন্তু তার মাঝেও কৃতিত্বের ছাপ ফুটে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।
ঘরবন্দী রয়েছে শৈশব। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে শিশুমনের উত্তোরণ ঘটাতে এক নতুন দুয়ার খুলে দিয়েছে অনলাইন প্রতিযোগিতা। সর্বভারতীয় স্তরে বেশ কিছু সরকারি ও বেসরকারি সাংষ্কৃতিক সংস্থা গান, নাচ ও বিভিন্ন প্রতিযোগিতার মাধ্যমে দেশে নতুন প্রতিভা খুজেঁ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এইসব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে শতাধিক সেরার শিরোপা জিতে ইতিমধ্যেই রেকর্ড গড়েছে অশোকনগরের হিরণ। করোনাকালে ৩০৭ টি প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে ১৬০টি প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে সাড়া ফেলে দিয়েছে চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র হিরণ। তার নৃত্যের এই সাফল্যের ভিত্তিতে পাঁচটি ফর্মের উপর বিচার করে এই বছর ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডসে নাম তুলেছে হিরণ চক্রবর্তী। হিরণের নতুন সফলতায় খুশিতে আত্মহারা তার ঠাকুমা আরতি চক্রবর্তী থেকে মা- বাবা রুমকি চক্রবর্তী ও বাবা প্রোটন চক্রবর্তী সহ গোটা অশোকনগরবাসীরা।
ইন্ডিয়া বুক অফ রেকর্ডে ছেলের নাম উঠতেই হিরণের বাবা-মা জানালেন, হিরণ তার এই প্রতিভাকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলুক ভবিষ্যতের লক্ষ্যে। ইতিমধ্যেই বাংলার প্রথম শিশু নৃত্যশিল্পী হিসাবে, ম্যাজিক বুক অব রেকর্ডস-এ জায়গা করে নিয়েছে এই প্রতিভাবান শিশুটি। রবীন্দ্র, নজরুল, আধুনিক লোকনৃত্য সহ আরও অনেক ধরনের নাচে সমান পারদর্শী হয়ে, ইতিমধ্যেই বাংলার নাম আন্তর্জাতিক স্তরে পৌঁচ্ছে দিয়েছে হিরণ। হিরণের আগামীদিনের সাফল্য কামনা করে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন শিল্প-সংস্কৃতি মহলের বহু গুনী ব্যক্তিত্বরা। এমনকি অশোকনগর বাজিরাও খুশি হিরনের এই সাফল্যে। অশোকনগর বাসির কামনা আগামীদিনে এভাবেই হিরণ তার সাফল্যে এগিয়ে যাক এবং সারা বাংলা তথা অশোকনগরের নাম উজ্জ্বল করুক।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।