গতকাল হয়ে গেল কালীপুজো। দীপাবলীর এই আলোর উৎসবে অন্ধকারকে দূর করে শক্তির আরাধনায় মেতেছিল মানুষ। বহু প্রাচীনকাল থেকেই হয়ে আসছে কালী মায়ের আরাধনা। সেই কারণে বিভিন্ন জায়গার বিভিন্ন প্রাচীন ও জাগ্রত ঠাকুরের রয়েছে একাধিক পৌরাণিক কাহিনী। ঠিক তেমনই নদীয়া জেলার অসংখ্য কালীপুজোর রয়েছে রোমাঞ্চকর কিছু কাহিনী। ঠিক তেমনই একটি কাহিনী রয়েছে রানাঘাটের মা সিদ্ধেশ্বরীর। রানাঘাটের ইতিহাস ও মা সিদ্ধেশ্বরীর কাহিনী তুলে ধরা হল আজ।
আনুমানিক ৩২৫ বছর আগে জঙ্গলময় অঞ্চল ছিল চূর্ণী নদীর ধার। সেই জঙ্গলে থাকতো ডাকাত এর দল। ডাকাত দলের সর্দার ছিলেন রনা ডাকাত। ডাকাতি করার আগে তিনি মা কালী কে পূজো করে বের হতেন।যেহেতু সমস্ত মনের ইচ্ছা সিদ্ধ করতেন মা কালী তাই তার কালী মায়ের নাম দিয়েছিলেন সিদ্ধেশরী মা ।পরবর্তী কালে রনাডাকাত সাধুর সংস্পর্শে এসে তার মানসিক ও স্বভাব পরিবর্তন হয়। ডাকাতি ছেড়ে মায়ের সাধনায় মনোনিবেশ করেন। কথিত আছে রনাডাকাতের নাম অনুসারে রানাঘাট নাম হয়। রনা ডাকাতের মৃত্যু হলে মা সিদ্ধেশ্বরী জঙ্গলের মধ্যেই পরে ছিলেন । এরপর নদিয়ার রাজা তিনি স্বপ্নাদেশ পান মা সিদ্ধেশ্বরী মায়ের। জঙ্গলের মধ্যে এরপর ওই স্থানেমায়ের প্রতিষ্ঠা করেন। সিদ্ধেশ্বরী মায়ের পূজো মন্দিরে প্রত্যেক দিনপূজো হয়ে আসছে।
ভক্তবৃন্দ আসেন তবে কালী পুজোর দিন ভিড় হয় বেশী।তিনি বলেন রনাডাকতের সিদ্ধেশ্বরী মা কে এক ইংরেজসাহেব ছুঁয়ে ফেলাতে মূর্তিটি নদীতে বিসর্জন দিয়ে কোস্টি পাথরের মূর্তিতে সিদ্ধেশ্বরী মা প্রতিষ্ঠা করে পূজো হয়ে আসছে । মায়ের করুণা ও আশীর্বাদ পেতে শুধু রানাঘাট নয় আশেপাশের থেকে বিভিন্ন রাজ্য দেশে বিভিন্ন জায়গা থেকে এমন কি বিদেশ থেকেও পূজো ও মায়ের আশীর্বাদ নিতে ভিড় করেন রানাঘাট সিদ্ধেশ্বরী মন্দিরে। আর প্রত্যেক দিন পুজো হলেও কালীপুজোর দিন দূরদূরান্ত থেকে ভক্ত বৃন্দের ঢল নামে এই মন্দিরে।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Kali puja 2021