কৃষ্ণনগরের আবৃত্তি বাগচীর বানানো দুর্গা মুকুট পাড়ি দিচ্ছে জামশেদপুরে
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
বাবার আঙুলের স্পর্শে দেবী দুর্গার মাথার ঝলমলে মুকূট অপরূপ শোভা পেত
#নদিয়া: করোনায় জর্জরিত গোটা দেশ তথা পৃথিবী। সরকার থেকে করা হয়েছিল বিভিন্ন বিধি নিষেধ। লোকাল ট্রেন এখনও রয়েছে বন্ধ। ফলে যাতায়াতের অসুবিধা লেগেই রয়েছে নিত্যযাত্রীদের। দ্বিতীয় ঢেউ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব কিছুটা কমলে পরে মানুষের আনাগোনা বেড়েছে বাজার হাটে। ফলে দেশের অর্থনীতির চাকাও ঘুরতে শুরু করেছে ধীরে ধীরে।
করোনার করালগ্রাসে প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। ঠিক তেমনিই করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত ডাকের কাজের শিল্পী আশীষ বাগচী। তবে বাবার দেখানো পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে কৃষ্ণনগর চকের পাড়ার প্রয়াত ডাকসাজ শিল্পী আশীষ বাগচীর মেয়ে আবৃত্তি বাগচী। বাবার আঙুলের স্পর্শে দেবী দুর্গার মাথার ঝলমলে মুকূট অপরূপ শোভা পেত। কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত এমনকি দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও সুখ্যাতি অর্জন করেছিল আশিস বাগচীর বিখ্যাত ডাক ও জরির কাজ। করোনার করালগ্রাসে তিনি আর নেই। কিন্তু তার দেখানো পথ ধরেই এগিয়ে চলেছে তার একমাত্র কন্যা আবৃত্তি। এবারেও জামশেদপুরে বিশাল আকারের দেবী দুর্গার মুকুট তৈরি হচ্ছে আবৃত্তির হাত ধরে।
advertisement
আশিস বাবূর সৃষ্টিকে রূপ দিতে তার সহযোগী কারিগরেরা অনবরত সাহায্য করে চলেছে আবৃত্তিকে। খদ্দেরের সাথে কিভাবে কথা বলতে হবে, কিভাবে অর্ডার মিলবে এবং কি দাম ধার্য হবে সবটাই আনকোরা আবৃত্তি কে শিখিয়ে চলেছে আশিস বাবুর সহযোদ্ধারা। তাই আশিস বাগচীর কারখানায় আজও ডাক সাজের বিশাল বিশাল মুকুট তৈরি হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের দেবী দুর্গা ও তার সন্তানদের জন্য। পুজোর আর বেশি দেরি নেই তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় তৈরি হচ্ছে দেবী দুর্গার মুকুট। গত বছর ছিল বাজার মন্দা। এবারেও যে খুব একটা ভালো তা নয়। তবে হাতেগোনা বেশ কয়েকটি মুকুট তৈরি হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পুজো উদ্যোক্তাদের জন্য। ভবিষ্যতে বাবার দেখানো পথ অনুসরণ করেই বাবার সৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে বদ্ধপরিকর অবৃত্তি বাগচী।
advertisement
Location :
First Published :
September 18, 2021 7:24 PM IST