অবলা প্রাণীদের পাশে খড়দহের গৃহবধূ, ২০০-৩০০ কুকুর-বিড়ালকে রেঁধে খাওয়াচ্ছেন রোজ
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
মহামারীতে রাস্তার কোনও প্রাণী অভুক্ত না থাকে তার জন্য নিজের হাতে রান্না করে খাবার বিতরণ করছেন খড়দহের গৃহবধূ।
#রাতুল ব্যানার্জি, উত্তর ২৪ পরগনা: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে করোনা মহামারী সারা বিশ্বকে গ্রাস করে চলেছে। দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত হয়েছে দেশ তথা বিভিন্ন রাজ্য সমেত পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য। সংক্রমনের রাশ টানতে রাজ্যে ১৫ জুলাই পর্যন্ত কড়া বিধি-নিষেধ চলছে। রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমনে শীর্ষে ছিল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা। তবে সরকারের কড়া পদক্ষেপে তা অনেকটাই হ্রাস টেনেছে সংক্রমণে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তাঘাটে কম লোকজনের আনাগোনা। এই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন সংস্থা সংগঠনের পক্ষ থেকে গরীব দুস্থ মানুষের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে অনেকে। তবে রাস্তার পশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেছে খুব কম সংখ্যকই মানুষই। এদের পাশে এসে দাঁড়ালো দাঁড়িয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার খরদহ-র গৃহবধূ ঈপ্সিতা রায় চক্রবর্তী। তাকে সবাই পশুপ্রেমী বলেই চেনেন। এই মহামারীতে রাস্তার কোনো প্রাণী অভুক্ত না থাকে তার জন্য তিনি নিজের হাতে রান্না করে খাবার বিতরণ করছেন প্রতিদিন।
খড়দহ-র বিভিন্ন এলাকায় টোটো করে প্রায় প্রতিদিনই ঘুরে ঘুরে রাস্তার পশুদের জন্য খাবার বিতরণ করে যাচ্ছেন তিনি। আর্থিক অনটনের কারণে হয়তো প্রতিদিন তা করে উঠতে পারছেন না তবে এই অভুক্ত প্রাণীদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্য প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন তিনি। তার এই উদ্যোগে অনেকেই পাশে দাঁড়িয়েছেন। চাল থেকে শুরু করে সোয়াবিন, মাংস, বিস্কুট কিনে দিয়েছেন অনেকেই। প্রতিদিন প্রায় ২০ থেকে ২৫ কেজি চাল রান্না করেন, তার সাথে থাকে মাংস নয়তো মাংসের ছাট অথবা সোয়াবিন। রাত হলেই তিনি বেরিয়ে পড়েন খড়দহ প্রত্যন্ত এলাকার সেই সব অভুক্ত প্রাণীদের খাবার বিতরণে। প্রায় প্রতিদিন রাত ১২ টা থেকে ভোর চারটে পর্যন্ত চলে তার এই কর্মকাণ্ড। প্রতিদিন প্রায় ২০০ থেকে ৩০০ অবলা পশুদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন তিনি। নিজের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছেন এমনই অবলা কিছু প্রাণীদের। প্রায় ১০ থেকে ১২ টা কুকুর রয়েছে তার বাড়িতে। নিয়মিত যত্ন করছেন তাদেরও।
advertisement
তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বহু মানুষ আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন। এই পরিপ্রেক্ষিতে সাহায্য চেয়েও এখন আর মিলছে না। আগামীদিনে কিভাবে এই অবলা পশুদের মুখে খাবার তুলে দিতে পারবেন তার জানা নেই। তার কথায় তার এই কর্মকাণ্ডে অনুপ্রাণিত হয়ে যদি কিছু মানুষ এগিয়ে আসেন তাহলে ওই অবলা প্রাণীগুলি অভুক্ত থাকবে না। তাদেরও বাঁচিয়ে রাখতে হবে। তার অনুরোধ শুধু খরদহ নয় বিভিন্ন জায়গায় মানুষ যাতে এই অবলা পশুদের পাশে এসে যেন দাঁড়ায়।
advertisement
Location :
First Published :
July 05, 2021 7:54 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/Local News/
অবলা প্রাণীদের পাশে খড়দহের গৃহবধূ, ২০০-৩০০ কুকুর-বিড়ালকে রেঁধে খাওয়াচ্ছেন রোজ