#শিলিগুড়ি: অবশেষে দিনক্ষণ ঠিক হয়ে গেল পুর নির্বাচনের। নতুন বছরে অর্থাৎ ২২ জানুয়ারি হবে পুরভোট (Siliguri elections)। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে উন্নয়নের লক্ষ্যে প্রার্থী বাছাই হবে। তবে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা না হলেও, প্রচারে থেমে থাকেনি পদ্ম শিবির। পিছিয়ে নেই ঘাসফুল থেকে বাম-কং জোট শিবিরও। তবে প্রচারে নেমেই এক বিস্ফোরক মন্তব্য করতে শোনা যায় শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে। তিনি বলেন, "আইএসএফ বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও মানেই ছিল না"।
প্রসঙ্গ ছিল বাম-কংগ্রেস জোটের। এই পরিপ্রেক্ষিতে এই মন্তব্য করেন বিজেপির অন্যতম তাবড় নেতা শঙ্কর ঘোষ। শক্তি না থাকায় ফের 'শিলিগুড়ি মডেলই' হাত বাড়াল বাম-কংগ্রেস। আচমকা ওই দুই রাজনৈতিক দলের পুর নির্বাচন নিয়ে অবস্থান পরিবর্তন হওয়ায়, রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। আসন সমঝোতা নিয়ে ওই দুই রাজনৈতিক দল প্রাথমিক আলোচনাও সেরে ফেলেছে বলে সূত্রের খবর। তবে কেন আচমকা নিজেদের অবস্থান পরিবর্তন করল বাম ও কংগ্রেস, সেটাই এখন চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
এই বিষয়ে দলের কেউ মুখ না খুললেও শঙ্কর ঘোষের বক্তব্য, "আইএসএফ বা কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের কোনও মানেই ছিল না। এই জোট এককথায় নীতিহীন। এখন বামেদের উত্থানের তো কোনও প্রশ্নই নেই। আগামী কয়েক দশক রাজ্য বা কেন্দ্রে কোনও ভূমিকাই থাকবে না বামেদের। সে জোট করেও কোনও লাভ নেই"।
শিলিগুড়িতে প্রচারে বেরিয়ে নিজের প্রাক্তন দলের বিষয়ে এমনটাই মন্তব্য করলেন শঙ্কর ঘোষ (Siliguri elections)। একসময় বলা হত তিনি প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্যের ডান-হাত। ছায়াসঙ্গীও বলা হত। তবে গত বিধানসভা নির্বাচনেই সব জল্পনা কল্পনাকে সত্যি করে বাম থেকে রামে ঝাঁপ দিয়েছিলেন শঙ্কর ঘোষ। এরপর জিতেও গেলেন। হলেন বিধায়কও।
সম্প্রতি আদালতে নির্বাচন কমিশনের তরফে হলফনামা জমা হতেই আলাদাভাবে শিলিগুড়ি পুরনির্বাচনে লড়াইয়ের কথা জানিয়েছিল বাম ও কংগ্রেস। কিন্তু রাতারাতি বৈঠকে বসে ফের আসন সমঝোতায় এগোয় ওই দুই শিবির। গত পুর নির্বাচনেও শিলিগুড়ি মডেলকে হাতিয়ার করে পুরনিগম ধরে রেখেছিল বামেরা (Siliguri elections)।
এইদিকে বামফ্রন্ট নিজেদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। তাদের তালিকার মধ্যে বেশিরভাগ মুখই নতুন প্রজন্মের। ওয়ার্ডের উন্নয়নে নবীনদের ভাবনা কাজে আসবে বলে মনে করছে দল (Siliguri elections)। শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে লড়বেন প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। স্ত্রী-বিয়োগের পর নিজেকে সামলে ফের আসনে 'ফিরে' আসার চেষ্টা অশোকের। কিন্তু অন্যান্য দল থেকে এখনও প্রার্থী ঘোষণার বিষয়ে কিছু বলা হয়নি। তবে দেওয়াল লিখনে জোর দিয়েছে সব দলই।
শিলিগুড়ির বিধায়ক হওয়ার পাশাপাশি বিজেপির রাজ্য সম্পাদক পদেও নতুনভাবে নিযুক্ত হন শঙ্কর ঘোষ। তিনি বলেন, "কীভাবে ভোট এলেই কাছাকাছি আসে বাম-কংগ্রেস? মানুষ এবার প্রথম শিলিগুড়িতে অ-তৃণমূল এবং অ-বাম বোর্ড গঠন করবে। বিজেপিকে আশীর্বাদ করে জিতিয়ে আনবেন। শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করাতে পদক্ষেপ নিতে হবে নির্বাচন কমিশনকেই"।
এইদিন সকাল থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে দেওয়াল লিখন। সাম্প্রদায়িকতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, "গেরুয়া কাপড় পরলেই আমরা সাম্প্রদায়িক? এ কেমন ভাবনা বামেদের? কোন নীতিতে এরা আইএসএফের সঙ্গে জোট করেছিল?"। কটাক্ষের সুরেই এই কথা বলতে শোনা যায় বিজেপি রাজ্য সম্পাদককে (Siliguri elections)। কে দখল নিল পুরসভার। এ তো সময় ও মানুষের ভোটই বলবে।
Vaskar Chakraborty
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Jalpaiguri, Left front-Congress Alliance, Shankar Ghosh, Siliguri Municipal Election