নজরদারির অভাবে হাওড়ায় বাড়ছে চাইনিজ মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা
- Published by:Piya Banerjee
Last Updated:
প্রশাসনিক নজরদারির অভাবে সুপ্রিম কোর্ট থেকে ব্যান করা হলেও হাওড়ায় বাড়ছে চাইনিজ মাঞ্জায় ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা
#হাওড়া: " পেটকাটি চাঁদিয়াল মোমবাতি বগ্গা " ছোটবেলা থেকেই এই গান শুনে বড়ো হয়েছে আপামর বাঙালি । ঘুড়ি নিয়ে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে রয়েছে একাধিক সিনেমাও । " ছোটবেলায় স্কুল ছুটির পর ঘুড়ি কিনে এনে ওড়ানো " এমন স্মৃতির সাক্ষী রয়েছেন বহু স্বনামধন্য ব্যাক্তিত্বও ।
কিন্তু বর্তমানে ঘুড়ির কথা মাথায় আসলেই যে শব্দ দুটি আসে তা "চাইনিজ মাঞ্জা । " গত কয়েক বছরে এই শব্দটির সঙ্গে ব্যাপকভাবে পরিচয় হয়েছে রাজ্যবাসীর । কলকাতার পার্ক সার্কাস এলাকায় ' মা ' ফ্লাইওভারের উপর বহু বাইক আরোহী গুরুতর জখম হয়েছেন এই চাইনিজ মাঞ্জার জন্য । কারোর পা কেটেছে তো কারোর গলা , এমনকি চীনা মাঞ্জায় আহত হয়ে বিগত কয়েক বছরে বাইক থেকে পড়ে প্রাণ সংশয় পর্যন্ত হয়েছে অনেকের।
advertisement
এবার এই চাইনিজ মাঞ্জার ভয়ানক স্মৃতি ফিরে এসছে হাওড়ার সাঁতরাগাছি ব্রিজে । ১৫ অগাস্টের দিন বিকেলে বাগনান যাওয়ার পথে এই চাইনিজ মাঞ্জার জেরেই হাতের আঙ্গুল খোয়ান এক ব্যক্তি । তারপর মঙ্গলবার বিকেলে আবারও সেই সাঁতরাগাছি ব্রিজ থেকে নামার সময়ে চাইনিজ মাঞ্জায় গলা কেটে যায় এক ব্যক্তির । গুরুতর জখম অবস্থায় তাকে নিয়ে আসা হয় হাওড়া হাসপাতালে সেখানেই চলে আহত ওই ব্যক্তির চিকিৎসা ।
advertisement
advertisement
গত বছর থেকে লকডাউনের জেরে জেলা জুড়ে বেড়েছে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রবণতা । সরকারি নির্দেশে ব্যান করা হলেও , সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই জেলা জুড়ে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে চাইনিজ ( লাইলন ) মঞ্জার ব্যবহার । যখনই এই মাঞ্জায় বড়োসড়ো কোনো দুর্ঘটনা ঘটে , তখনই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । শুরু হয় কড়া নজরদারি । তারপর আবার সারাবছর ধরে চলে সেই দায়সারা ভাব ।
advertisement
এই বিষয়ে হাওড়ার কদমতলার বিশিষ্ট ঘুড়ি ব্যবসায়ী সৌম্যদীপ্ত দেয়াসী জানান , " সুপ্রিম কোর্ট থেকে কঠোর নির্দেশিকা জারি করে চাইনিজ মাঞ্জা ব্যান করা হলেও , জেলার এক শ্রেণীর ব্যবসায়ী এই নির্দেশ কার্যত উপেক্ষা করেই এই বেআইনি মাঞ্জার ব্যবসা করছে । এই মাঞ্জা এতটাই শক্তিশালী যে এটাকে হাত দিয়ে ছেঁড়া কার্যত অসম্ভব । পাশাপাশি এই মাঞ্জায় যে সমস্ত কাঁচামাল ব্যবহার করা হয় সেগুলিও প্রচন্ড ক্ষতিকারক । যার ফলে মাঞ্জায় শরীরের কোনো অংশ কেটে গেলে তা চিকিৎসকদের পক্ষে অনেক সময় জোড়া অসম্ভব হয়ে পড়ে । শুধু মানুষই নয়, বহু পশু পাখিও ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন এই মাঞ্জার প্রভাবে । " তিনি আরও জানান , শুধুমাত্র দাম কম বলেই কম বয়সী বাচ্চাদের মধ্যে হু হু করে জনপ্রিয় হচ্ছে এই বেআইনি মাঞ্জা । তুলনামূলক বহু বছর ধরে চলে আসা কটনের মাঞ্জার দাম বেশি হলেও তাতে মানুষ বা অন্য পশুপাখির তাতে আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম বা প্রায় নেই বলেই জানান তিনি ।
advertisement
Santanu Chakraborty
Location :
First Published :
August 18, 2021 9:58 PM IST