Bakreshwar: বীরভূমের ছোট্ট ট্রিপের অন্যতম জায়গা এই বক্রেশ্বর ধাম
- Published by:Ananya Chakraborty
Last Updated:
বক্রেশ্বরের মূল আকর্ষণ হলো শিব মন্দির, দেবী দুর্গা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ।
মাধব দাস, বীরভূম : ৫১ সতীপিঠের অন্যতম পিঠ হল বক্রেশ্বর। এখানে সতীর ভ্রূ যুগলের মধ্যস্থল অর্থাৎ মন পড়েছিল এবং এখানে তিনি দেবী দুর্গা রূপে পূজিত হয়ে থাকেন। তবে বক্রেশ্বরের নামকরণের পিছনে যে কথিত কাহিনী রয়েছে তাহলো, ঋষি অষ্টাবক্র মুনির নামানুসারেই এখানকার নামকরণ হয়েছে। এই বক্রেশ্বরের মূল আকর্ষণ হলো শিব মন্দির, দেবী দুর্গা এবং উষ্ণ প্রস্রবণ। এছাড়াও এখানে রয়েছে অজস্র ছোট ছোট শিব মন্দির, শ্মশান এবং বেশ কতকগুলি আশ্রম।
বছরের বিভিন্ন সময়ে বক্রেশ্বরে জেলার বিভিন্ন জায়গায় ছাড়া ও পার্শ্ববর্তী জেলার বিভিন্ন জায়গা থেকে পর্যটকদের আগমণ হয়ে থাকে। মূলত উষ্ণ প্রস্রবণ, শিব মন্দির এবং মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গার টানে এখানে পর্যটকদের আগমণ ঘটলেও বক্রেশ্বর পার্শ্ববর্তী এলাকায় বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে নেওয়া যেতে পারে অল্প সময়ের মধ্যে।
বক্রেশ্বর ছাড়াও বক্রেশ্বর পার্শ্ববর্তী এলাকায় রয়েছে পাথরচাপুরি, যেখানে রয়েছে দাতা সাহেবের মাজার। এছাড়াও বক্রেশ্বর এসে অল্প সময়ের মধ্যে ঘুরে আসা যেতে পারে আরও একটি উষ্ণ প্রস্রবণ জায়গা রাজনগর ব্লকের তাঁতলই, ঘুরে দেখে নেওয়া যেতে পারে রাজনগর, যে রাজনগর একসময় ছিল বীরভূমের রাজধানী। এখানে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রাজারা তাদের শাসনকার্য চালিয়েছেন। এখনো এখানে পড়ে রয়েছে নানান স্থাপত্য রীতির নিদর্শন।
advertisement
advertisement
বক্রেশ্বর এবং তার পার্শ্ববর্তী এলাকা ভ্রমণের ক্ষেত্রে বীরভূমের সদর শহর সিউড়ি থেকে সহজেই যানবাহন ভাড়া করে অথবা গণপরিবহণকে অবলম্বন করে যাওয়া যেতে পারে। সিউড়ি থেকে বক্রেশ্বর দূরত্ব হলো ২২ কিলোমিটার। তবে একদিনে যদি কেউ বক্রেশ্বর ছাড়াও পার্শ্ববর্তী এলাকা ঘুরতে চান তাহলে তাকে নিজস্ব গাড়ি অথবা প্রাইভেট গাড়ি ভাড়া করে যেতে হবে।
advertisement
সম্প্রতি বক্রেশ্বর পর্যটন কেন্দ্রকে আরও সাজিয়ে তোলার জন্য বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এখানে সম্প্রতি গড়ে উঠেছে কর্মতীর্থ। যেখানে বিভিন্ন হস্তশিল্পীদের হাতের কাজের জিনিসপত্র সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। বক্রেশ্বরে থাকা এবং খাওয়ার জন্য রয়েছে হোটেল।
view commentsLocation :
First Published :
October 01, 2021 8:06 PM IST