East Medinipur News|| রাজা রামমোহন রায়ের খেজুরী আগমনের ১৯২তম বর্ষ উদযাপন
- Published by:Shubhagata Dey
Last Updated:
Bangla News: ১৮৩০ সালে ২০ নভেম্বর তৎকালীন খেজুরি বন্দর থেকে বিলেত যাত্রা করেছিলেন ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়। রাজা রামমোহন রায় আগের দিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর খেজুরি তে আসেন এবং রাত্রিযাপন করেন।
#খেজুরী: ভারত পথিক রাজা রামমোহন রায়ের খেজুরী আগমনের ১৯২তম বর্ষ ও প্রাচীন খেজুরী বন্দর সংলগ্ন স্থানে রামমোহন মূর্তি প্রতিষ্ঠার পঞ্চম বার্ষিকী উপলক্ষে খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি'র পক্ষ থেকে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় প্রাচীন খেজুরী বন্দর সংলগ্ন এলাকায় রামমোহন মূর্তির সম্মুখে। ১৮৩০ সালে ২০ নভেম্বর তৎকালীন খেজুরী বন্দর থেকে বিলেত যাত্রা করেছিলেন ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়। রাজা রামমোহন রায় আগের দিন অর্থাৎ ১৯ নভেম্বর খেজুরীতে আসেন এবং রাত্রিযাপন করেন। রাজা রামমোহন রায়ের খেজুরী আসার দিনটি মনে রাখতে খেজুরি হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ১৯ নভেম্বর শুক্রবার।
এদিন রামমোহন ও দ্বারকানাথের মূর্তিতে মাল্য দান ও পুষ্পার্ঘ্য প্রদানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংস্থার সভাপতি ড. অসীম কুমার মান্না। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সম্পাদক ড. রামচন্দ্র মন্ডল। সার্ধ দ্বিশতবর্ষে রামমোহন শীর্যক আলোচনায় অংশগ্ৰহণ করেন ড. লায়েক আলি খান, অধ্যাপক অমলেন্দু বিকাশ জানা, রামমোহন গবেষক সুবীর ভট্টাচার্য, রামমোহন রিমেমব্র্যান্স সোসাইটির সম্পাদক প্রসূন গাঙ্গুলি, হুগলীর রাধানগর রামমোহন মেমোরিয়াল অ্যান্ড কালচারাল অর্গানাইজেশন- এর সম্পাদক দেবাশীষ শেঠ, খেজুরীর বিধায়ক শান্তনু প্রামাণিক প্রমুখ। সঞ্চালনায় ছিলেন ড. বিষ্ণুপদ জানা। এছাড়াও, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সদস্য-সদস্যা, ছাত্র-ছাত্রী, বহু গুণীজন। এঁদের মধ্যে ড. প্রবালকান্তি হাজরা, পার্থসারথী দাশ, বিমান নায়ক, স্বপন মন্ডল, সুমন নারায়ন বাকরা, ড. মিহির প্রধান, সুদর্শন সেন, জয়দেব মাইতি, ধীরেন্দ্রনাথ প্রধান, মহামায়া গোল, দুলাল আড়ি , শিশির দাস প্রমুখদের নাম উল্লেখ্য।
advertisement
দ্বিশতবর্ষে রামমোহন রায়ের জন্মভূমি হুগলীর রাধানগর গ্ৰামের জন্মভিটার পবিত্র মাটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাপন করা হয় খেজুরীর রামমোহন মূর্তি সংলগ্ন বেদীতে। মাটি স্থাপনের সময় স্বস্তিবচন পাঠ করেন শ্রীগোপাল মিশ্র। সমবেত ব্রাম্ভসঙ্গীত পরিবেশন করেন কলকাতার রামমোহন স্মরণ সমিতির সদস্য/ সদস্যাগন। অনুষ্ঠানে রামমোহন শীর্যক চিত্র প্রদর্শনী করেন সংগ্ৰাহক মধুসূদন জানা।
advertisement
প্রসঙ্গত, রাজা রামমোহন রায় বিলেত যাত্রাকালে কলকাতা থেকে ফোবর্স স্টিমারে চেপে ১৮৩০ খ্রীষ্টাব্দের ১৯ নভেম্বর খেজুরীতে আসেন। ঐদিন রাত্রি যাপন করে পরদিন ২০ নভেম্বর পালতোলা আলবিয়ন জাহাজে চেপে ইংলন্ডের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ঐতিহাসিক এই ঘটনাকে স্মরনীয় করে রাখতে খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি ২০১৭ সালে ১৯ নভেম্বর প্রাচীন খেজুরী বন্দর সংলগ্ন স্থানে রাজা রামমোহন রায় ও খেজুরী বন্দর থেকে অপর এক বিলেত যাত্রী দ্বারকানাথ ঠাকুরের পূর্ণাবয়ব মূর্তি দুটি প্রতিষ্ঠা করে। ২০১৭ সালের পর প্রতিবছর ১৯ নভেম্বর রাজা রামমোহন রায়ের খেজুরী আসার দিনটি স্মরণে রাখতে খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি বিশেষভাবে উদযাপন করে আসছে। খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতির সদস্য সুদর্শন সেন বলেন, "ভারতের নবজাগরণের অগ্রদূত রাজা রামমোহন রায়ের ভাবনাচিন্তা বর্তমানেও সমাজের জন্য প্রাসঙ্গিক। রাজা রামমোহন রায়ের জীবনী কার্যকলাপ বর্তমান প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে খেজুরী হেরিটেজ সুরক্ষা সমিতি অঙ্গীকারবদ্ধ।"
view commentsLocation :
First Published :
November 19, 2021 10:03 PM IST