ফ্যানদের মুখে হাসি ফোটালেন মেসি-রোজোরা, জিতে শেষ ১৬-য় আর্জেন্টিনা

#সেন্ট পিটার্সবার্গ : সেন্ট পিটার্সবার্গে শাপমোচন ৷ নইলে রোজো গোল করার পরই মেসি উঠে পড়লেন তাঁর সতীর্থ কাঁধে ৷ মেসি -র মাঠে আবেগের বহিঃপ্রকাশ বেশ খানিকটা নিয়ন্ত্রিত ৷ কিন্তু চাপের প্রেসার কুকারে ঢুকে থাকা একটা দল যে কি মারাত্মক অবস্থায় ছিল তা বোধহয় মেসির এই সেলিব্রেশনটা বুঝিয়ে দিল ৷

মস্কো-বুয়েনস আয়ার্স- কলকাতা ৷ ভৌগোলিক দূরত্ব সামাজিক -অর্থনৈতিক পরিকাঠামো যাই হোক না কেন ৷ মঙ্গলবারের রাতে আর্জেন্টিনা ফ্যানদের অবস্থাটা একই ছিল নিঃসন্দেহে বলা যায় ৷ তাই রোজোর শট যখন নাইজেরিয়ার গোলে ঢুকে গেল তখন সর্বত্রই যেন শাপমোচনের আনন্দ ৷

Photo Courtesy - Reuters

ডু অর ডাই এই ট্যাগলাইন  নিয়ে দুর্ভাগ্যক্রমে মেসি ব্রিগেডকে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচেই নামতে হয়েছিল ৷ জিততেই হবে নইলে ২০১৮ বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে ৷  এই অবস্থায় ম্যাচের শুরুতেই গোল তুলে নেন লিওনেল মেসি ৷  নাইজেরিয়া রক্ষণকে মাত দিয়ে বানেগার বাড়ানো বল বিপক্ষের জালে জড়িয়ে দিতে কোনও ভুল করেননি তিনি ৷ দল এগিয়ে যায় ১-০ গোলে ৷

এরপরেও একের পর  আর্জেন্টিনা আক্রমণ ঝাঁপিয়ে পড়লেও ব্যবধান বাড়েনি ৷ প্রথমার্ধ শেষ হয় ১-০ গোলে এগিয়ে ৷  ৪৯ মিনিটে অভিজ্ঞ ম্যসাচেরানোর ভুলের খেসারত দিতে হয় নীল সাদা ব্রিগেডকে ৷ বক্সের মধ্যে ফাউল করার কারণে পেনাল্টি পায় নাইজেরিয়া ৷ যদিও রেফারি VAR- র রেফারেন্স নেন৷  কোনও ভুল করেননি মোসেস ৷ তিনি গোল করে দলকে সমতায় ফেরান ৷

তাহলে কি বিশ্বকাপের আশা সত্যিই শেষ হয়ে গেল যখন ভাবছেন আর্জেন্টাইন ফ্যানরা, তখন গোলের জন্য মাঠে মেসিদের মরিয়া লড়াই ৷ তবে হিগুয়েন বেশ খারাপ খেললেন এদিনও ৷ সাজিয়ে দেওয়া বল গোলে রাখতে ব্যর্থ তিনি ৷ সমর্থকদের দেওয়া ‘গোল কানা’ তকমাটাকেই জাস্টিফাই করলেন এই অভিজ্ঞ ফরোয়ার্ড ৷

তবে ‘পিকচার আভি বাকি হ্যায় মেরে দোস্ত’ কায়দায়  ম্যাচের ৮৬ মিনিটে দারুণ এক গোল করে দলকে, দেশকে, সারা বিশ্বের ফ্যানদের কাঙ্খিত কাজটি করে ফেলেন ৷ মার্সেলোর ক্রশ ডান পায়ে গোলে ঢুকিয়ে দেন আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার ৷

প্রি-কোয়ার্টারে আর্জেন্টিনার সামনে দিদিয়ের দেশ্যঁ-র ফ্রান্স ৷ আপাতত সেই চিন্তা ভুলিয়ে জয়ের আনন্দে বুঁদ আট থেকে আশি ৷