Indigo Revolt: অত্যাচারীর চাবুক আজ স্তব্ধ, ইতিহাসের আঁধারে ফিরিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা নীলকুঠির গা ছমছমে ধ্বংসাবশেষ

Last Updated:

History of Indigo Revolt : চন্দ্রকোনার ছত্রগঞ্জের ঘন জঙ্গলের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে এক নীরব কাঠামো, পুরোনো লাল ইটের নীলকুঠি।

+
লাল

লাল ইটের পুরোনো নীলকুঠি

চন্দ্রকোণা, পশ্চিম মেদিনীপুর, মিজানুর রহমান: চন্দ্রকোণার ছত্রগঞ্জের ঘন জঙ্গলের ভিতরে দাঁড়িয়ে আছে এক নীরব কাঠামো-পুরনো লাল ইটের নীলকুঠি। সময়ের ক্ষয়ে ভাঙা দেওয়াল, গাছপালায় ঢেকে যাওয়া বারান্দা আর চিমনি সদৃশ উঁচু টাওয়ার, যেন ইতিহাসের পাতায় জমে থাকা ধুলো মুছে আবার বলছে এক ভুলে যাওয়া অধ্যায়।এখানে একসময় চলত নীলচাষ। শিল্পবিপ্লবের পর ইউরোপে নীলের চাহিদা বাড়তেই ব্রিটিশরা বাংলার মাঠে নেমে পড়ে। পশ্চিম মেদিনীপুরের বগুরি পরগনা-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলে গড়ে ওঠে নীলকুঠি। তারই অন্যতম সাক্ষী এই ছত্রগঞ্জের কুঠিবাড়ি।
স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ দাসের কথায়, “১৮৫০-এর দিকে দু’জন ইংরেজ বণিক মিস্টার লবার্ট আর মিস্টার ওয়াটসন এই কুঠি বানান। তার পরই শুরু হয় বাধ্যতামূলক নীলচাষের যুগ।” আজ সেই কুঠি নিঃসঙ্গ দাঁড়িয়ে আছে। ইতিহাসের দিকে তাকিয়ে যেন দীর্ঘশ্বাস ফেলছে। নীলচাষের শুরুটা কৃষকদের জন্য লাভজনক মনে হলেও, সময়ের সঙ্গে তা পরিণত হয় এক নির্মম শোষণে। জমিদারদের ইশারায় গরিব কৃষকদের বাধ্য করা হত নীল চাষে। তাঁদের আদেশের উত্তরে অনিচ্ছা প্রকাশ করলেই নেমে আসত অকথ্য অত্যাচার।গ্রামের মানুষের মুখে এখনও গল্প শোনা যায়। রাতে কুঠির দিক থেকে চাবুকের শব্দ, চাষিদের আটক রেখে নীলের রঙ বের না হওয়া পর্যন্ত কাজ করানো, আর ঋণের নামে ফাঁস তৈরি করে রাখা ছিল অত্যাচারের চরম পর্যায় । এই অন্যায়ের ফলেই সমগ্র বাংলায় ছড়িয়ে পড়ে বিদ্রোহের ঢেউ, ইতিহাসের পাতায় যার নাম নীল বিদ্রোহ, সময়কাল ছিল ১৮৫৯-৬০।
advertisement
কৃষকেরা একসুরে বলে উঠেছিল “নীল আর নয়! ধান চাই, বাঁচার অধিকার চাই!” নীল চাষের জেরে পুড়েছিল বহু কুঠি, ভেঙে পড়েছিল ব্রিটিশ জমিদারি ব্যবস্থার অহঙ্কার। সেই বিদ্রোহের আগুন ছত্রগঞ্জেও পৌঁছেছিল বলে এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা। সময় বদলেছে,নীলচাষ নেই, জমিদারিও নেই। কিন্তু ইতিহাসের দালানটির অবস্থা বদলায়নি। অযত্নে-অবহেলায় ধীরে ধীরে জঙ্গলে মিলিয়ে যাচ্ছে এই নীলকুঠি। গাছপালার শিকড় ভেদ করে উঠেছে পুরনো ইটের গায়ে।
advertisement
advertisement
আরও পড়ুন : রাত পোহালেই অঘ্রাণের পূর্ণিমা! করলা, উচ্ছে-সহ এই ৪ সবজি ভুলেও খাবেন না! অভাব, অসুখ ও অমঙ্গলে ছারখার সংসার!
ভাঙা ছাদে দিনের আলো চকচক করে পড়ে, আর ভেতরটা একেবারে খালি।তবুও দাঁড়িয়ে আছে নীরবে অভিযোগহীনভাবে।একসময়ের নির্মমতার, সংগ্রামের ও বিদ্রোহের সাক্ষী হয়ে স্থানীয়দের আশা,  একদিন হয়ত পুনরুদ্ধার হবে স্থানটি। ইতিহাসকে চিনবে নতুন প্রজন্ম, কারণ এই নীলকুঠি শুধু একটি নির্মাণ নয়, বাংলার কৃষক বিদ্রোহের রক্তমাখা দলিল, এক অধ্যায়ের নিস্তব্ধ প্রহরী।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Indigo Revolt: অত্যাচারীর চাবুক আজ স্তব্ধ, ইতিহাসের আঁধারে ফিরিয়ে নিয়ে যায় জঙ্গলের ভিতরে দাঁড়িয়ে থাকা নীলকুঠির গা ছমছমে ধ্বংসাবশেষ
Next Article
advertisement
Supreme Court on Sonali Khatun: অন্তঃসত্ত্বা সোনালিদের বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশ, কেন্দ্রকে নমনীয় হওয়ার পরামর্শ সুপ্রিম কোর্টের!
সোনালিদের বাংলাদেশ থেকে ফেরানোর নির্দেশ, কেন্দ্রকে নমনীয় হতে বলল সুপ্রিম কোর্ট!
  • সোনালি খাতুনদের বাংলাদেশ থেকে ফেরাতেই হবে, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের৷

  • মানবিকতার খাতিরেই কেন্দ্রকে নমনীয় হতে বললেন প্রধান বিচারপতি৷

  • সোনালিদের ফেরানো হবে বলে লিখিত ভাবে শীর্ষ আদালতকে জানাল কেন্দ্র৷

VIEW MORE
advertisement
advertisement