সঙ্গমের জন্য সময় বের করাটাই সমস্যা? ক্লান্তি ঘিরে ধরে? কী করণীয়, বলছেন বিশেষজ্ঞ

Last Updated:

নানা সমীক্ষা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়েই দম্পতিদের অনেকে এই সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন

#কলকাতা: সত্যি বলতে কী, এই সমস্যা ব্যক্তিবিশেষের একার নয়- বরং অনেকেরই! আবার নানা সমীক্ষা স্পষ্ট করে দিয়েছে যে বর্তমানে সারা বিশ্ব জুড়েই দম্পতিদের অনেকে এই সমস্যার মুখোমুখি এসে দাঁড়িয়েছেন। জীবনযাপনের দৈনন্দিন ধরন তাঁদের এতটাই ক্লান্ত করে রাখে যে পরস্পরের প্রতি শারীরিক আকর্ষণেও তাঁরা সাড়া দিতে আলস্য বোধ করেন!
এই পর্বে জনৈক পাঠিকা এই বিষয়ের প্রতিকার জানতে চেয়ে চিঠি দিয়েছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়ালকে। লিখেছেন যে তিনি এবং তাঁর স্বামী শারীরিক সঙ্গমে লিপ্ত হতে চান, অনুভব করতে চান পরস্পরের উষ্ণ সান্নিধ্য। কিন্তু দু'জনেই ক্লান্ত হয়ে থাকেন দিনের শেষে, ফলে সেই কাঙ্ক্ষিত রমণ আর তাঁদের সম্পর্কে আসে না। কখনও আবার সমস্যাটা আরও একটু জটিল হয়ে ওঠে। তাঁদের ইচ্ছা থাকলেও অন্য দিকে ঘুরে যায় আলোচনা, দু'জনেই অন্য কোনও ব্যাপারে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
advertisement
সমস্যাটা জটিল, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু এই নিয়ে কথা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞা সবার আগে একটা দিকে দৃষ্টি আর্ষণ করতে চেয়েছেন পাঠিকার এবং সবার যাঁরা এই ধরনের সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন! তিনি বলছেন যে পরস্পরের সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিত হতে চাওয়ার ইচ্ছাটাই আসল, ওটা থাকলে বাকি সমস্যা নেহাতই খুচরো!
advertisement
advertisement
কিন্তু খুচরো হলেও তা সমস্যা তো বটেই! ফলে তা কী ভাবে কাটিয়ে ওঠা যায়, তা পল্লবীর পরামর্শ মতো দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!
১. হতেই পারে, খুব সাধারণ একটা কিছু, যেমন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে ব্যস্ত আছেন দম্পতির কোনও একজন বা দু'জনেই! এক্ষেত্রে সেটা একেবারে বন্ধ করে দেওয়া ঠিক হবে না। পল্লবী বলছেন যে ওটা করতে মন চাইছে বলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সময় বাড়ছে। তাই সময়টা একটু কমিয়ে আনতে হবে। এর মাঝেই পরস্পরের কথায় সায় দেওয়া, কথা চালানো বজায় রাখতে হবে। তাতে একটা যোগাযোগ গড়ে উঠবে।
advertisement
২. এই যোগাযোগকে এবার শারীরিক দিকে নিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু সঙ্গমের আগে নয়, বরং দিনের সবটা জুড়েই সঙ্গী/সঙ্গিনীর সাহচর্য কতটা কাম্য, সেটা পরস্পরকে বোঝাতে হবে। কাজের ফাঁকে একে অপরকে নানা উত্তেজক রসিকতা, ছবি, ভিডিও পাঠিয়ে এক্ষেত্রে সেক্সুয়াল টেনশন তৈরি করা যেতে পারে। পরিণামে বাড়ি ফিরে পরস্পরের শরীরে ডুব দেওয়ার ইচ্ছা সক্রিয় হবে।
advertisement
৩. সরাসরি সঙ্গমে না গিয়ে পরস্পরকে সেনসুয়াল মাসাজের মাধ্যমেও প্রথম দিকে তৃপ্ত করা যায়। শুরুর দিকে তার মেয়াদ রাখা যায় ১৫ মিনিট। ধীরে ধীরে এর মেয়াদ যত বাড়বে, মৈথুনের জন্য মন তত বেশি করে আকৃষ্ট হবে বলে জানাচ্ছেন পল্লবী।
৪. সঙ্গমের ধরনে পরিবর্তন আনতে পারলে ভালো হয়। একঘেয়েমি কাটলে নতুনত্ব আসবে এবং তা বার বার উপভোগ করার বাসনা জাগবে।
advertisement
৫. সম্ভব হলে সঙ্গম শুধু দিনের শেষের জন্য বরাদ্দ না রেখে দিনের যে কোনও সময়ে, অর্থাৎ যখন মন চাইছে, তখনই শুরু করা যায়। এই স্বতস্ফূর্ততা পরস্পরের প্রতি টান বাড়াবে। তবে এই সবের কোনওটাই যদি কাজে না আসে, সেক্ষেত্রে কাউন্সিলরের পরামর্শ নেওয়াটা উচিৎ হবে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞা।
Pallavi Barnwal 
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
সঙ্গমের জন্য সময় বের করাটাই সমস্যা? ক্লান্তি ঘিরে ধরে? কী করণীয়, বলছেন বিশেষজ্ঞ
Next Article
advertisement
Purba Bardhaman News: 'ছায়াশত্রু' কারা? বিতর্কিত মন্তব্যের পর তৃণমূলে ঝড়, ব্যাখ্যা দিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ
'ছায়াশত্রু' কারা? বিতর্কিত মন্তব্যে তৃণমূলে ঝড়, ব্যাখ্যা দিলেন জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ
  • এবার 'ছায়া' শত্রুর নাম সামনে আনলেন পূর্ব বর্ধমান জেলার তৃণমূলে কংগ্রেসের  সভাপতি  রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। বর্ধমানে দলের বিজয়া সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন, 'এখন লড়াই বাম আমলের থেকেও কঠিন। এখন ছায়ার সঙ্গে যুদ্ধ করতে হচ্ছে।'

VIEW MORE
advertisement
advertisement