Travel : দিঘার কাছেই রয়েছে এই নির্জন সমুদ্র সৈকত! খুব কম খরচে ঘুরে আসুন! রইল বিস্তারিত

Last Updated:

Travel: এখানে গেলেই মন ভরে যাবে! সমুদ্র সৈকতের সঙ্গে পেয়ে যাবেন ইতিহাসে ঘেরা দারুণ এক জায়গার সন্ধান!

+
News18

News18

খেজুরি: দিঘা মন্দারমণির জন কোলাহল ছেড়ে এবার শীতে ঘুরতে আসুন খেজুরির সৈকতে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পর্যটন কেন্দ্র মানে সমুদ্র সৈকত পর্যটন কেন্দ্র। সবচেয়ে জনবহুল দিঘা, এর পাশাপাশি রয়েছে মন্দারমণি, শংকরপুর, তাজপুর। কিন্তু শীতের সময় পর্যটন কেন্দ্রগুলি পর্যটকের ভিড়ে সরগম থাকে। শীতের সময় ভিড় এড়িয়ে প্রাচীণ ঐতিহ্য সমৃদ্ধ সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়াতে চাইলে চলে আসুন খেজুরি। একদিকে ভারতের প্রথম ডাকঘর, রাজা রামমোহন রায় প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরের স্মৃতি বিজড়িত এই স্থান।
খেজুরি প্রাচীনকালের উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রথম সমুদ্র বন্দর। খেজুরের ইতিহাস কয়েকশ বছরের পুরানো। খেজুরিতে ডাচ ওলন্দাজ ও পর্তুগীজ বণিকেরা বহু সময় ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য করে আসছিল। খেজুরি সংলগ্ন হিজলিতে ১৫১৪ খ্রিস্টাব্দে পর্তুগিজ নাবিকদের জাহাজ এসে পৌঁছায়। ১৬৭২ খ্রিস্টাব্দে ক্যাপ্টেন জেমস মেরিনার নেতৃত্বে রেবেকা নামক একটি পালতোলা জাহাজ খেজুরি বন্দরে আসে তৎকালীন খেজুরির নাম ছিল কেডিগিরি। সেই থেকে শুরু হয় খেজুরি বন্দর। এরও প্রায় একশ বছর পর ইংরেজরা ১৭৫৬ খ্রিস্টাব্দে খেজুরি বন্দর গড়ে তোলে। মূলত লবণ, নীল ও দাসপ্রথার জন্য মানুষ কেনা বেচার ক্ষেত্র হিসেবে দ্রুতই খেজুরি বন্দরের নাম ছড়িয়ে পড়ে। খেজুরিতে ডাকঘর আরও কয়েক বছর পরে চালু হয়।
advertisement
১৭৭২ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ বণিকদের ইন্ডিয়া কোম্পানির খবর আদান প্রদানের জন্য খেজুরিতে প্রথম ডাকঘর স্থাপন হয়। যা ভারতের প্রথম ডাকঘর। খেজুরির বাসিন্দা ও ইতিহাস গবেষক সুদর্শন সেন জানান, “এশিয়াটিক সোসাইটি ও ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে প্রচুর বইপত্রে উল্লেখ পাওয়া যায় এই ডাকঘরের। খেজুরি বন্দরের পাশেই গড়ে উঠেছিল চারতলা ডাকঘর। ১৮৩০ সালের ১৯ নভেম্বর রাজা রামমোহন রায় এই ডাকঘরে রাত্রি যাপন করেছিলেন।”
advertisement
advertisement
ভারতপথিক রাজা রামমোহন রায় তাঁর বিলেত যাত্রাকালে কলকাতা থেকে ফোবর্স স্টিমারে সকালে যাত্রা করে সন্ধ্যায় খেজুরিবন্দর অফিসে পৌঁছান ১৯ নভেম্বর, ১৮৩০। রাত্রে খেজুরি বন্দর অফিস তথা খেজুরির প্রাচীন ডাক ও তার ভবনের অতিথিনিবাসে রাত্রি যাপন করেন। যাত্রা করে বিলেতের লিভারপুল বন্দরে পৌঁছান। শুধু তাই নয় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতামহ প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুর ১৮৪২ ও ১৮৪৫ সালে খেজুরি বন্দর দিয়েই বিদেশ যাত্রা করেছিলেন।
advertisement
খেজুরিতে এলে আপনি হুগলি নদীর মোহনা দেখতে পাবেন। বিস্তৃত বালিয়াড়ি মন ভোলাবে। এর পাশাপাশি খেজুরিতে রয়েছে হিজলী শরীফ, প্রাচীন ডাকঘরের ধ্বংসাবশেষ। প্রাচীন লাইট হাউস। অনতিদূরে সাহিত্য সম্রাট বঙ্কিমচন্দ্রের কপালকুণ্ডলা উপন্যাসের প্রেক্ষাপট। এমনকি আজও বর্তমান কপালকুণ্ডলা মন্দির। এছাড়া আশেপাশে রয়েছে অনেকগুলি সমুদ্র সৈকত। যা পুরোপুরি ভার্জিন অবস্থায়। শীতের সময় এই পর্যটন কেন্দ্রে এলে আপনি পরিযায়ী পাখিদেরও দেখতে পাবেন। রয়েছে ভারতের বৃহত্তম মৎস্য বন্দর দেশপ্রাণ মৎস্যবন্দর।
advertisement
সৈকত শী
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Travel : দিঘার কাছেই রয়েছে এই নির্জন সমুদ্র সৈকত! খুব কম খরচে ঘুরে আসুন! রইল বিস্তারিত
Next Article
advertisement
West Bengal Weather Update: শীতের আমেজ ! কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা নামবে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
শীতের আমেজ ! কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা নামবে, দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই
  • শীতের আমেজ !

  • কলকাতায় রাতের তাপমাত্রা নামবে

  • দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই

VIEW MORE
advertisement
advertisement