আলমারিতে সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা জামাকাপড় হঠাৎ ফুটো হয়ে যাচ্ছে? এই ভাবে চাল ব্যবহার করলেই কেল্লাফতে!

রান্নাঘরের কোনও রহস্যময় উপাদান জামাকাপড়কে ব্যাকটেরিয়া বা আলমারির ছাতা পড়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারে? সেটা আর কিছুই নয়, চাল। ভারতীয়দের প্রধান খাদ্য। চাল সহজেই আর্দ্রতা শুষে নিতে পারে। এই কারণেই মোবাইল ফোন জলে পড়ে গেলে চালের হাঁড়িতে ঢুকিয়ে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়।

চাল দুর্দান্ত শোষণকারী। যে কোনও জায়গা থেকে আর্দ্রতা অপসারণ করতে পারে। তাই এটা আলমারিতে এয়ার কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। অনেক সময় অর্ধেক শুকনো জামাকাপড়ও আলমারিতে ঢুকিয়ে রাখা হয়। এতে পুরো ওয়ার্ড্রোবে গন্ধ তো হয়ই, সেই সঙ্গে ছাতাও পড়ে যেতে পারে। তাই এমনটা হলে আলমারির এক কোণে এক বাটি চাল রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এর সঙ্গে সামান্য এসেন্সিয়াল অয়েলও মিশিয়ে দেওয়া যেতে পারে। এটা কাপড়চোপড়কে রক্ষা তো করবেই, সেই সঙ্গে সুগন্ধও ছড়াবে।

দরকার শুধু এক বাটি চাল এবং সামান্য এসেন্সিয়াল অয়েল। এক টুকরো কাপড়ে বেঁধে আলমারিতে ঝুলিয়ে দিতে হবে। বাটিতেও রাখা যায়। চালের উপর দিতে হবে ১৫ থেকে ২০ ফোঁটা এসেন্সিয়াল অয়েল। তার পর একটা ছোট কাপড় দিয়ে সেটা ঢেকে দিতে হবে। কাপড়ের মুখে একটা রবার ব্যান্ড লাগিয়ে দেওয়া যায়। নিরাপদে থাকবে। ৩ মাস পর্যন্ত এই চাল ব্যবহার করা যায়। তবে ব্রাউন রাইস হলে এক মাস পর পর বদলে ফেলতে হবে।

চাল যে শুধু আলমারির জামাকাপড় ভাল রাখে বা ভেজা মোবাইল ফোনের জল শুষে নেয়, তা নয়। এর আরও নানা গুণ রয়েছে। অতিরিক্ত পাকা কলাকে তাৎক্ষণিক ভাবে তাজা রাখতেও সাহায্য করে। জিপ লক প্লাস্টিকে কিছু চাল নিয়ে তাতে কলা রাখতে হবে। এক ঘণ্টা এভাবে থাকুক। তা-হলেই কলা ফের তাজা হয়ে যাবে। আরও তাজা করতে চাইলে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করা যেতে পারে। মাত্র আধ ঘণ্টার মধ্যে বাদামী রঙের কলা আবার হলুদ হয়ে যাবে।