Success Story: ঠোঙা বানানো থেকে পুজোর থিমে ক্যানভাস, প্রিয়াঙ্কার 'রঙিন' সাফল্যের গল্প
- Published by:Pooja Basu
- hyperlocal
- Reported by:Bonoarilal Chowdhury
Last Updated:
হাল না ছাড়া সেই চাষির মেয়ে আজ দুশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর আঁকার দিদিমণি।
পূর্ব বর্ধমান: ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল আর্ট কলেজে পড়াশোনা করার। তবে আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তবে হাল না ছাড়া সেই চাষির মেয়ে আজ দুশোরও বেশি ছাত্র-ছাত্রীর আঁকার দিদিমণি। পুজো পার্বণে প্যান্ডেলের থিমের কাজের জন্যও ডাক আসে বহু জায়গা থেকে। পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ২ ব্লকের ছাতনি গ্রামের প্রিয়াঙ্কা ঘোষ দত্ত। ছাতনি গ্রামেই ছোট থেকে বড় হয়ে ওঠা। তিনি বাংলায় স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তবে বাংলা নিয়ে পড়াশোনা করলেও মনের মধ্যে ছিল ছবি আঁকার নেশা। অষ্টম শ্রেণীতে পড়ার সময় থেকেই তিনি ছবি আঁকা শিখতেন।
আর্ট কলেজে পড়ার স্বপ ভঙ্গ হলেও পরবর্তীতে ঠিক করেন তিনি ছবি আঁকা নিয়েই এগিয়ে যাবেন। সেইমত কলকাতার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে তিনি ছবি আঁকার জন্য ভর্তি হন। তবে সেখানে ছবি আঁকা শেখার জন্যও একটা মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন ছিল। তাই সেই খরচের যোগান দিতে একসময় তাঁকে কাগজের ঠোঙা তৈরি করে উপার্জনও করতে হয়েছে। তবে দীর্ঘ পরিশ্রমের পর আজ তিনি সফলতা পেয়েছেন। দিদিমণি এবং মহিলা শিল্পী হিসেবে তাঁর একটা নিজের পরিচিতি গড়ে উঠেছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বহু কটূক্তি শুনতে হয়েছে। তবে আমি হাল ছাড়িনি। আমার স্বামী আমাকে অনেক সাহায্য করেছে। এই জায়গায় আসতে পেরেছি আমার খুব ভাল লাগে এখন।”
advertisement
“আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন”
advertisement
প্রিয়াঙ্কা দেবী নিজের বাড়িতে আঁকা শেখানো ছাড়াও বিভিন্ন ক্লাবেও আঁকা শেখাতে যান। এছাড়া বর্তমানে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও আঁকা শেখান। তাঁর হাতে আঁকা ছবি দেখলে সত্যিই ভাল লাগবে সকলেরই। বিয়ের পরেও তিনি এই নেশা ছাড়তে পারেননি। সংসারের সব কাজ সামলানোর পরেও ছবি আঁকা শেখান। তবে তিনি তাঁর স্বামীর কাছে সবসময় সাহায্য পেয়েছেন। প্রিয়াঙ্কা দেবীর স্বামী শুভ দত্ত বলেন, “ওর আঁকা ছবি দেখে আমারও ভাল লাগে। ওর এই পরিশ্রমকে কুর্নিশ জানায়। আর শুধু আমি নই, প্রত্যেকেটা স্বামীর উচিত তাদের স্ত্রীর পাশে থাকা।”
advertisement
প্রত্যন্ত গ্রামের চাষির মেয়ে আজ আঁকার দিদিমণি। মানুষের কটূক্তি, অবহেলা এড়িয়ে বহু পরিশ্রম করে আজ তিনি এই জায়গায় পৌঁছেছেন। বড় বড় পুজোর প্যান্ডেলের থিমের কাজও তিনি করেন। ভবিষ্যতে বড় সুযোগ পেলে তিনি তাঁর প্রতিভাকে এক অন্যমাত্রায় নিয়ে যেতে পারবেন বলে জানিয়েছেন।
advertisement
বনোয়ারীলাল চৌধুরী
Location :
Kolkata,West Bengal
First Published :
April 16, 2025 7:27 PM IST
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Success Story: ঠোঙা বানানো থেকে পুজোর থিমে ক্যানভাস, প্রিয়াঙ্কার 'রঙিন' সাফল্যের গল্প