পাকস্থলীর অভ্যন্তরের আস্তরণে কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধিকেই স্টমাক ক্যানসার বলে। এটা গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার নামেও পরিচিত। প্রাথমিক পর্যায়ে স্টমাক ক্যানসারের লক্ষণগুলো বোঝা যায় না বললেই চলে। তাই রোগ নির্ণয়ে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, পেটের ক্যানসারের লক্ষণ সবার আগে প্রকাশ পায় মুখে। একেবারে প্রাথমিক পর্যায়েই এমনটা হয়। (Stomach Cancer)
ত্বকে যে লক্ষণ প্রকাশ পায়: গ্যাস্ট্রিক ক্যানসার হলে ত্বকের একটি বিরল ব্যধিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেটা হল, পপুলোএরিথ্রোডার্মা অফ অফুজি। চাইনিজ জার্নাল অফ ক্যানসার গবেষণায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুসারে, সমস্ত শরীরে তো বটেই বিশেষ করে মুখে ফ্ল্যাশিং প্যাপিউলস বা চামড়ার উপর ফুসকুড়ির মতো ছোট ছোট বাম্প দেখা যায়। এর সঙ্গে ফোলাভাব থাকে। পাশাপাশি ত্বকের খোসা উঠতে থাকে। সঙ্গে তীব্র চুলকানি।
আরও পড়ুন: অর্পিতাকে মনে হয় ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে: রাকেশ
অন্যান্য প্রাথমিক লক্ষণ: ত্বকের সমস্যা ছাড়াও গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে খিদে কমে যাওয়া, হঠাত ওজন হ্রাস, পেট ব্যথা বা অস্বস্তি এবং পেট ফুলে যাওয়া। এর সঙ্গে অম্বল, বদহজম, বমি বমি ভাব এবং বমি (রক্তও থাকতে পারে)। অল্প খাবার খেলেই পেট আইঢাই করতে থাকবে। এছাড়া কম হিমোগ্লোবিনও পাকস্থলীর ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
আরও পড়ুন: ক্যাশ-কুইন অর্পিতার কাছে সোনারও পাহাড়, 'গয়নার বাক্স' খুলে আদালতে হিসেব দিল ইডি
পাকস্থলীর ক্যানসারের প্রকার: সাধারণত ২ রকমের পাকস্থলীর ক্যানসার হয়। অ্যাডেনোকার্সিনোমাস এবং অ্যাডেনোকার্সিনোমাস ২। প্রথম ক্ষেত্রে ক্যানসার কোষগুলিতে নির্দিষ্ট জিনের পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তবে প্রাথমিক স্টেজে ধরা পড়লে ওষুধের মাধ্যমে এর চিকিৎসা করা যায়। আরেকটি হল ডিফিউজ টাইপ। এটা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। এর চিকিৎসা করাও কঠিন।
গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকির কারণ: সাধারণত ৬০ বছরের বেশি বয়সীদের গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এর প্রধান কারণ হল ভুল খাদ্যাভ্যাস। নোনতা খাবার, ধূমপান, টক জাতীয় খাবার বেশি এবং ফল ও শাকসবজি কম খেলে গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। ক্যানসারের পারিবারিক ইতিহাস, পেটে সার্জারি এবং জ্বালাভাব থাকলেও গ্যাস্ট্রিক ক্যানসারের ঝুঁকি থাকে। গ্যাস্ট্রোইসোফেজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ, স্থূলতা এবং ধূমপানও গ্যাস্ট্রিক ক্যান্সারের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলতে পারে।
মুক্তির উপায়: রঙিন ফল এবং সবুজ শাকসবজিতে পরিপূর্ণ ডায়েট খেলে পাকস্থলীর ক্যানসারের ঝুঁকি কমতে পারে। এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে পুরো শস্যের খাবার খেতে হবে, যেমন হোল গ্রেন ব্রেড, সিরিয়াল, পাস্তা এবং ভাত। এছাড়া গবেষকরা দেখেছেন, অ্যালকোহল কমানো এবং টম্যাটো জাতীয় সবজি এড়ানো ক্যানসার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আচারযুক্ত খাবার, লবণযুক্ত মাংস এবং মাছ এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।