#নয়াদিল্লি: শীতকালে শাকসবজির বাহারে যে কোনও রান্নাই হয়ে ওঠে সুস্বাদু। ঠিক সেই কারণে রোজ টাটকা পালং শাক রান্নায় মাস্ট। কিন্তু তিনবেলা পালং শাক খাওয়া যে শরীরের জন্য খারাপ তা জানা আছে? কথাতেই আছে কোনও জিনিসই বেশি খাওয়া উচিৎ না। খেতে হবে কিন্তু পরিমাণ বুঝে। স্যালাডে বা রান্না করে অল্প পরিমাণ খাওয়া জেতেই পারে।
পালং শাকের গুণ
সবথেকে জরুরি জিনিস হল ক্যালোরি, যে খাবারে ক্যালোরি বেশি সেই খাবার একেবারে বাদের খাতায় রাখা উচিত। কিন্তু পালং শাকে ক্যালোরি খুবই কম থাকে এবং এতে থাকে নিউট্রিশনস যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়াও এতে থাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন এ, সি, কে। এটি শরীরের রক্তচাপ ও সুগারের পরিমাণ সঠিক রাখতে সাহায্য করে এছাড়াও ক্যানসারের সম্ভাবনা কমায়। ডায়বেটিসের রোগীদের এটি খাওয়া ভালো।
ক্ষতিকর দিক
রোজ পালং শাক খাওয়ার খারাপ দিকগুলো এবার জেনে নেওয়া যাক।
পালং শাকে থাকে অক্সালিক অ্যাসিড (oxalic acid) যা শরীরের বাকি উপাদান বা মিনারেলসগুলিকে কাজ করতে দেয় না। যেমন জিঙ্ক, ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এইগুলিকে আর শরীরে কাজ করতে দেয় না।
অনেকের পালং শাকে অ্যালার্জিও হয়। এতে থাকে হিস্টামিন (histamine) যা অনেকসময় ব্লাড সেলে অন্যভাবে কাজ করে এবং তাতে অ্যালার্জির সৃষ্টি হতে পারে।
এছাড়াও আসিডিটি, গ্যাস, অম্বল ইত্যাদিও হয়। ডাক্তারদের মতে পালং শাক খাওয়া উচিৎ কিন্তু অতিরিক্ত পরিমাণে নয়।
আরও পড়ুন- PCOS-এ আক্রান্ত হলে ওজন বাড়তে থাকে মহিলাদের! কী খাবেন, কী খাবেন না? জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা
কাদের জন্য পালং বেশি ক্ষতিকারক
যাদের কিডনির সমস্যা আছে, তাদের পালং শাক একেবারেই খাওয়া উচিত না। কারণ এতে থাকা অক্সালিক অ্যাসিডের (oxalic acid) পরিমাণ শরীরে বেশি হয়ে গেলে তা কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি করে।
যাদের বাতের ব্যাথা আছে, হাত পায়ের কোনও হাড় ফোলা, ব্যথা হয় এমন অবস্থাতেও একেবারেই পালং শাক খাওয়া উচিত না। কারণ তাতে এই ব্যথাগুলি আর বাড়ার সম্ভবনা থাকে।
পালংয়ে যেহেতু ভিটামিন কে থাকে তাই এটি বেশি খেলে তা শরীরে রক্তকে পাতলা করে দেয়। ফলে অনেক ধরনের সমস্যা দেখা যেতে পারে। তাই যাদের এই ধরনের রোগ আছে বা রোগের ধাত আছে তাদের ভেবে-চিন্তে পালং শাক খাওয়া উচিত।
নিউজ১৮ বাংলায় সবার আগে পড়ুন ব্রেকিং নিউজ। থাকছে দৈনিক টাটকা খবর, খবরের লাইভ আপডেট। সবচেয়ে ভরসাযোগ্য বাংলা খবর পড়ুন নিউজ১৮ বাংলার ওয়েবসাইটে।
Tags: Health Tips, Spinach