শীতকাল মানেই সুস্বাদু খেজুর গুড়ের পাটালি! কী ভাবে তৈরি হয় হাতেকলমে দেখলে আপনিও পারবেন, শিখে নিন

Last Updated:

শীতকাল মানেই বাঙালির ঘরে খেজুর গুড়ের পাটালির বিশেষ আমেজ। এই পাটালি শুধু এক টুকরো মিষ্টি নয়, বরং এটি বাঙালির শীতকালীন ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। 

+
শীতকাল

শীতকাল মানেই খেজুর গুড়ের পাটালি

পুরুলিয়া, শান্তনু দাস: শীতকাল মানেই বাঙালির ঘরে খেজুর গুড়ের পাটালির বিশেষ আমেজ। এই পাটালি শুধু এক টুকরো মিষ্টি নয়, বরং এটি বাঙালির শীতকালীন ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। পায়েস, লুচি বা রুটি, সবকিছুর সঙ্গে এর স্বাদই আলাদা। কিন্তু এই অদ্ভুত স্বাদের পিছনে যে দীর্ঘ ও নিখুঁত প্রক্রিয়া রয়েছে তা জানলে আপনি আরও বেশি প্রশংসা করবেন খেজুর গুড়ের পাটালির। নদিয়া সহ বিভিন্ন জেলা থেকে খেজুর চাষিরা এখন পুরুলিয়া সহ জঙ্গলমহলের বিভিন্ন জঙ্গলে এসে সেখানে তাঁবু খাটিয়ে তৈরি করছেন এই খেজুর গুড়ের পাটালি।
সর্বপ্রথম খেজুর গাছে হাড়ি ঝুলিয়ে খেজুর রস সংগ্রহ করা হয়। সেই রস ঢালা হয় একটা বড় পাত্রের মধ্যে। তারপর সেই রস দীর্ঘক্ষণ জ্বাল দিয়ে ফোটান হয়। প্রায় তিন থেকে চার ঘণ্টা পর রস গাঢ় হয়ে এলে সেই পাত্র মাটির উনুন থেকে নামান হয়। পরবর্তিতে পাত্রের একদিক অল্প উচু করে রাখা হয়। এবং সেই গাঢ় গুড়কে মাটির ভাঁড়ে ঢেলে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে সেই গুড় জমাট বেঁধে তৈরি হয় পাটালি।
advertisement
advertisement
বর্তমানে এই খেজুর গুড়ের পাটালির চাহিদা ব্যাপক। এখন এই পাটালি কেজি প্রতি ১২০ থেকে ২০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যদিও দাম কিছুটা বেশি, তবে এর স্বাদ, গন্ধ এবং ঐতিহ্য, সবকিছু মিলিয়ে এটি একেবারে অমূল্য।
advertisement
খেজুর গুড়ের পাটালি শুধু খেতেই মিষ্টি নয়, দেখতেও সুন্দর এবং স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হওয়ার কারণে শরীরে নানা পুষ্টিগুণ পৌঁছে দেয়। তাই বাঙালির শীতে খেজুর গুড়ের পাটালির চাহিদা যেন বাড়তেই থাকে, আর এই ঐতিহ্যও যেন যুগের পর যুগ অটুট থাকে।
view comments
বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
শীতকাল মানেই সুস্বাদু খেজুর গুড়ের পাটালি! কী ভাবে তৈরি হয় হাতেকলমে দেখলে আপনিও পারবেন, শিখে নিন
Next Article
advertisement
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
৪ ঘণ্টার চেষ্টায় ২৪টি দমকলের ইঞ্জিন মিলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হল! কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা
  • বড়বাজারের এজরা স্ট্রিটে বৈদ্যুতিন সামগ্রীর দোকানে ভোরে আগুন লাগে, ২৪টি দমকল ইঞ্জিন নিয়ন্ত্রণে আনে.

  • দাহ্য বৈদ্যুতিক সামগ্রী ও সংকীর্ণ রাস্তার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, ল্যাডার ব্যবহার সম্ভব হয়নি.

  • প্রাথমিক অনুমান ইলেকট্রিক্যাল শর্ট সার্কিট হলেও, ফরেন্সিক পরীক্ষার পরেই আগুনের উৎস নিশ্চিত হবে.

VIEW MORE
advertisement
advertisement